আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছিনহুয়াংতাওয়ের জীবন

সামহোয়ারইনব্লগ কনফুসিয়াস ক্লাস

আইসিবিসি ব্যাংকে একাউন্ট খোলা: ছিনহুয়াংতাও (চীনের পূর্বাঞ্চলীয় হপেই প্রদেশের সাগর তীরবর্তী শহর) এসেছি ২ তারিখে। গতকাল গিয়েছিলাম আইসিবিসি ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে। এই প্রথম বিদেশি ব্যাংকে একাউন্ট খুলছি। বাংলাদেশের মানুষ নাকি বিদেশি ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে খুব পছন্দ করে, সুইস ব্যাংক...... আরো কত কত ব্যাংক নাকি আছে। দেশে নিজের নামে প্রথম ব্যাংক একাউন্ট খুলেছিলাম ডাচ বাংলা ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড শাখায়।

একদিন লোক পাঠিয়েছিলাম একাউন্ট ওপেনিং ফরম আনতে, ওরা দেয়নি। সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে একাউন্ট খুলতে হবে। আসলে এটা ফাইজলামি ছাড়া আর কিছু না। কারণ ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে গেলে আপনার একজনকে নমিনি করতে হবে। তাকে নিশ্চই আপনার ব্যাংকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।

অন্যান্য ব্যাংক একাউন্ট ওপেনিং ফরম দিয়ে দেয় (যেমন, ব্যাংক এশিয়া)। বাসা থেকে নমিনির স্বাক্ষর নিয়ে আসা যায়। ডাচ বাংলা ফরমে এবং নমিনির ছবির পিছনে নমিনির নাম লিখে দিতে বললো। পরে বুঝেছি, এটা আসলে ভুয়া স্বাক্ষর। আল্লাহ না করুন, যদি মরে যাই, স্বাক্ষর না মিললে ডাচ বাংলা আমার টাকা নমিনিকে দিবে না।

আমাকে সহজে একাউন্ট খুলে দেওয়ার নামে মূলত আমার টাকাকে অনিরাপদ করে রাখাই ডাচ বাংলা ম্যানেজমেন্টের উদ্দেশ্য। পরে ব্যাংক এশিয়ায় একাউন্ট খুলতে গিয়ে কোন অবস্থাতেই নমিনির ভুয়া স্বাক্ষর তার এলাউ করলো না। বললো, অবশ্যই বাসায় ফর্ম নিয়ে নমিনির স্বাক্ষর নিয়ে আসুন। নয়তো আপনার কিছু হলে আমরা টাকা দিতে পারবো না। বাসায় গিয়ে স্বাক্ষর নিয়ে আসা..... একটু সময় ব্যয় হলেও টাকাটা আপাতত: একাউন্টধারীর মৃত্যুর পরও নিরাপদে থাকবে।

ডাচ বাংলায় একাউন্ট খোলার সময় আমি ব্যাংকের পিয়ন হিসেবে কিছু সময় কাজ করেছি। কারণ ফর্মটা নিয়ে তারা আমাকে বিভিন্ন টেবিলে পাঠিয়েছে, কাউন্টারে পাঠিয়েছে। তারা আমার কাছ থেকে চার্জ কিন্তু কম নেয়নি। আমার ডেবিট কার্ড এখানে, একটা কাউন্টারেই আমি ফর্ম জমা দেওয়ার পর, বিভিন্ন তথ্য ইনপুট করে আধাঘন্টার মধ্যেই মাত্র ১৬আরএমবি জমা নিয়ে ডেবিট কার্ড দিয়ে দিয়েছে। এই কার্ড প্রায় সব মার্কেটে, এটিএমে ব্যবহার করা যাবে।

অনলাইনেও পেমেন্ট করা যাবে। সবুজ বাটনে চাপ দেওয়ার মানে হচ্ছে আপনি সন্তুষ্ট কাউন্টারের সামনে একটা মেশিন আছে, এখানে নিজের ইচ্ছেমতো পিন নম্বর বাছাই করার সুযোগ আছে। বাংলাদেশে একাউন্ট খোলার পনের দিন পর ডাকযোগে (ডাচ বাংলা) কার্ড আসে। তারপর ব্যাংকে গিয়ে পিন নাম্বার নিয়ে আসতে হয়। অন্যান্য ব্যাংকের ক্ষেত্রে (ব্যাংক এশিয়া) ব্যাংকে গিয়ে কার্ড নিয়ে আসতে হয়, পিন নাম্বার ওরাই দিয়ে দেয়।

এই যন্ত্রটিতে সার্ভিস সম্পর্কে মতামত দেওয়ারও সুযোগ আছে। সেবাদানকারী ব্যক্তির সেবা আপনার পছন্দ হলে সবুজ বাটন চাপবেন, না হলে অন্য বাটন চাপবেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.