আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

" উৎসের সন্ধানে "- কুড়িয়ে পাওয়া ডায়েরী থেকে

আমি আজ এসেছি এইখানে..মানব হয়ে

এক এবং শূন্য, এ দু-য়ের মাঝে পার্থক্য কি? এক ঈশ্বর বাদীরা 'এক' এর পূজারী। বহু ঈশ্বর বাদীরা 'এক ও শূন্যের' সমষ্টির পূজারী। তাহলে শূন্যের পূজারী কারা? নাস্তিকরা? যদি তাই হয়, তবে সব ধর্ম বিশ্বাসী এবং অবিশ্বাসী, সকলেই কি প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে, 'এক' এবং 'শূন্য' এ দুটি অংকের পূজারী নয়? সবাই কোনো না কোনো আইডলিজমে বিশ্বাসী। সত্যিকারের নিরপেক্ষ কেউ নেই। কিন্তু আমরা কোনো ধর্ম বা আদর্শে পরিপূর্ণ বিশ্বাসী কি? এবং বিশ্বাস করে কোনো আদর্শ কে সামগ্রিক ভাবে লালন-পালন করা কি সম্ভব? সম্ভব নয়-তাহলে সে চেষ্টাই নিরর্থক। তাহলে কি আমরা অবিশ্বাসী? নাকি এটাই আমাদের নিজস্ব বিশ্বাস? অদৃশ্যকে বিশ্বাস না করলেও, আমরা যে বিশ্বাস করছিনা, এটাই কি আলাদা একটা কঠিন বিশ্বাস নয়? অদৃশ্য ঈশ্বরকে অবিশ্বাস করার অর্থই কি এই নয় যে; তাকে স্বীকার করে নেয়া। সবাই নিজ নিজ বিশ্বাস নিয়ে হেঁটে চলেছে, জীবন নামক এক অচেনা-অজানা, অন্ধকার খানা-খন্দ ময়, এলো-পাথাড়ী, দুর্গম-দুর্লঙ্ঘ পথ ধরে, অনিশ্চিত মৃত্যুর দিকে। জন্ম থেকে যার চলা শুরু, মৃত্যুতেই কি তার শেষ? আমরাই কি আলাদা ভাবে 'এক' এবং 'শূন্য'? নাকি আমরাই এর সমষ্টি? আমরাই কি এই মহাবিশ্বে পরম শক্তিমান? 'এক' এবং 'শূন্যে'র বাইরে বাস করে, অনেকটা অচেনা অদৃশ্যমান দানবের মত শক্তিশালী 'অসীম' বা 'ইনফিনিটি'। এই শব্দটির সঠিক ব্যাখ্যা এখনো আমাদের কাছে অজানা। তবে কি এই 'অসীম' বা 'ইনফিনিটি'ই আমাদের সৃষ্টির উৎস?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।