আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১/১১ এবং একজন সাধারন নাগরিকের প্রতিক্রিয়া

ইচ্ছে করে হারিয়ে যাই তোমার সীমানায়

আমি একজন সাধারন বাংলাদেশী নাগরিক। গড়পড়তা হয়তো বলা যাবে না। কেননা এখনো নিজের প্রয়োজন ছাড়াও অন্যদের কথা কিছুটা ভাবার চেষ্টা করি। জানিনা আর কতদিন এটা ধরে রাখতে পারবো। রাজনীতি করার কোন যোগ্যতা আমার নেই।

তবে ভীষনভাবে রাজনীতি সচেতন। কোন লাভ হয়নি এবং হবেও না। দূর্ভাগ্য আমার প্রয়োজনীয় মূল তিনটি গুনাবলী এখনো অর্জন করতে পারিনি। মিথ্যা বলায় পারদর্শী হওয়া, দূর্নীতি করা ও তার প্রশয় দেওয়া এবং নেতা-নেত্রী যা বলবে তাতে চোখ বন্ধ করে জী হুজুর বলা। বিবেকের কোন দংশন থাকা চলবে না।

এমনকি আমার নেত্রীজান যদি বলেন আরিচা ঘাটের ঐ পাড়ের সমস্ত অংশ ওনাদের বা দাদাদেরকে দিতে চাই। আমাকে বলতে হবে ঐ জী হুজুর। এখানে চিন্তার কোন অবকাশ নেই। বিবেকের কোন তাড়না নেই। আমাদের অনেক আশা ছিলো, ভালোবাসাও ছিলো তেনাদের প্রতি।

আজ আর আশা নেই, ভালোবাসাও নেই। এখন যা চলছে বকওয়াসগিরি বা বাৎচিতের পালা। এরপর আবার আমরা শুরু করবো নতুন করে পুরানো সংসার। সেই লগি-বৈঠা ও উন্নয়নের রাজনীতি। দুদকের চেয়ারম্যান বলেছেন বটে, জামিন দিলেই তো আর সব শেষ হয়ে গেল না।

মামলা শেষ হচ্ছে না এখুনি। তা ঠিক। কিন্তু আমরাতো ঘরপোড়া গরু। এ প্রসঙ্গে আমার সেই গল্পটি মনে পড়ে যাচ্ছে, ঘরে ঢুকে চোর একটা একটা করে সব চুরি করে গোছাচ্ছে আর ভীরু গৃহকর্তা ঘুমের ভান করে সব দেখছে আর ভাবছে দেখি আর কি করে। সবশেষে চোর পগার পার হয়ে যাওয়ার পরেও বেকুবটা ভাবছে- শালা যাবে কোথায়, অত সহজ, তোমাকে আমি ধরবোই।

আর কিছু বলা মনে হয় লাগবে না বুদ্ধিমান পাঠকগণকে। যদিও রাজনীতিবিদরা আমাদেরকে ঠিক বিপরীতটায় ভাবে। বর্তমানে বিচারালয়গুলো স্বাধীন। এটা আমাদের বিরাট পাওয়া। কিš' আমাদের শ্রদ্ধেয় উপদেষ্টাগণ ভবিতব্য সম্পর্কে বলার যথেষ্ট জ্ঞান রাখেন।

কাল কোর্টে কি ঘটবে, কে কে জামিন পাবে উনারা হয়তো তা আগেভাগেই বুঝতে পারেন। সব বদহজম হয়ে যাচ্ছে। ভুল হয়তো একটায় ওনাদের। বিড়াল প্রথম রাতে মারতে ভুলে গেছিলেন। যার ফলে অনেক নতুন নতুন পদ্ধতি, পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও ফর্মূলা বের করতে হয়েছে বার বার প্রয়োজনের তাগিদে।

যার ঘানি হয়তো বাঙ্গালীকে সামনে অর্ধশতক টানতে হবে। তবে হ্যাঁ, কেউ যদি ১/১১-র পরে শতভাগ জিতে থাকেন, তিনি হলেন খালেদা জিয়া। এটা তার দূরদর্শিতার ফল। তিনি আজ মুক্ত হয়েছেন কারো অনুকম্পায় নয়। সম্পূর্ন আইনের লড়াইয়ে।

তিনি যা চেয়েছেন তাই হয়েছে। সেটা যেভাবেই হোক। নতি স্বীকার করেছে সব ঝানু আমলাগণ। নিশ্চিতভাবেই আমরা ফিরে যাচ্ছি আবার আমাদের জন্য রক্ষিত সেই পুরোনো অবস্থানে। জানিনা আবার আমাদের দিবা স্বপ্ন দেখার জন্য কতকাল অপেক্ষা করতে হবে।

হে পরম করুনাময় তুমি শান্তি বর্ষণ কর এই অভাগা আমাদের প্রতি। এদেশ তুমি দান করেছো এক নদী রক্তের বিনিময়ে ধর্ষকামী পাকিন্থানীদের হটিয়ে। যে দেশের জন্মলগ্নে তুমি পাঠিয়েছিলে একজন সৎ, সাহসী, বিবেকবান দূরদর্শী নেতা শ্রদ্ধেয় তাজউদ্দীনকে। তাঁকে আমরা তাঁর প্রাপ্য সম্মান দিতে পারিনি। আমাদেরকে ক্ষমা করো প্রভু।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।