আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

@ আহলান ওয়া সাহলান: মাহে রমজান

জন্মোপার থেকে পৃথিবী হয়ে অনন্তে >>> ©www.fazleelahi.com

“আদম সন্তানের প্রতিটি সৎকর্ম তার জন্য, কেবলমাত্র রোযা ব্যতীত; কেননা তা আমার জন্য আর আমিই এর প্রতিদান দেব...” –কথাগুলো বলেছেন আমাদের প্রতিপালক মহান আল্লাহ্ তা’আলা এবং হাদীসে কুদসীর মাধ্যমে আমাদের জানিয়েছেন প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। [আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বর্ণিত হাদীস, বুখারী: ১৯০৪, মুসলিম: ১১৫১] মানুষেরা তাদের স্রষ্টার পক্ষ হতে সৎকর্মের ব্যাপারে আদেশপ্রাপ্ত এবং নিষেধপ্রাপ্ত হয়েছে সকল প্রকার অসৎকর্মের ব্যাপারে। তন্মধ্যে বড় বড় ইবাদাতগুলো সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী। যদিও সত্যিকার মুমিন জীবনের সম্পূর্ণটুকুই ইবাদাতের মধ্যে শামিল। সৃষ্টির উদ্দেশ্যের সাথে শামিল ইবাদাতের সবগুলোই মানুষের নিজের, শুধুমাত্র রোযাকে আল্লাহ্ নিজের বলে আখ্যা দিয়েছেন।

অথচ বলার ক্ষেত্রে যাবতীয় ইবাদাতের কথায় আমরা বলে থাকি- ‘আল্লাহর জন্য’। কিন্তু তিনি বলেন: না, সবগুলোই তোমাদের নিজেদের কিন্তু সিয়াম আমার জন্য। বিশ্লেষক আলেমগণ এর বিভিন্ন ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন- কেউ কেউ বলেন: দুনিয়ার যাবতীয় ইবাদাতে মানুষকে অংশীদার বানানো যায়, যাকে ইসলামী পরিভাষায় রিয়া বা লোকদেখানো ইবাদাত বলা হয়। কিন্তু রোযার ক্ষেত্রে তা অসম্ভব, তাই কেউ রোযা পালন করলে তা কেবল মাত্র তার প্রতিপালক আল্লাহর জন্যই নিরংকুশভাবে করতে হবে। এক্ষেত্রে যদি কেউ রোযা না রেখে লোকদেরকে বলে বেড়ায় যে, সে রোযাদার, তবে তা মিথ্যাচার কিংবা প্রতারণা হবে মাত্র।

কারো কারো মতে: আখেরাতে আল্লাহ্ তা’আলা যখন বান্দাদের ভালো-মন্দের বিচার করবেন, তখন পৃথিবীতে অন্যের হক বিনষ্টকারীদেরকে হকদারের পাওনা আদায় করতে হবে। সেদিন লেনদেন হবে পূণ্য-পাপে। কিন্তু রোযার প্রতিদান এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে না, কেননা আল্লাহ্ পূর্বেই জানিয়ে দিয়েছেন যে, রোযা তাঁর জন্য এবং এর প্রতিদানও তিনিই প্রদান করবেন। বছর ঘুরে ঘুরে নানাবিধ মৌসুম যেমন আমাদের দুয়ারের কড়া নাড়ে, আমাদের আঙিনায় উৎসব ঘটায়, আমাদের অন্তরসমূহকে আনন্দে আন্দোলিত করে; তেমনি মুমিনদের জন্য পবিত্র রমজান মাস এক মহাপূণ্যের মৌসুম। এ মৌসুমের ফসল তোলার জন্য তারা কোমর বেঁধে নেয়, যেমনটি বেঁধে নিতেন মুমিনদের মহান শিক্ষক মুহাম্মাদুর্ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

মাসগুলোর মধ্যে রমজান মাসকে আল্লাহ্ বিশেষ মর্যাদা দান করেছেন এবং আমাদের জন্য এতে রেখেছেন ‘স্বল্প আয়ুতে অধিক কল্যাণ অর্জনের বিবিধ ব্যবস্থা’। তাই আর অপেক্ষা কিসের? আসুন প্রস্তুত হই, প্রস্তুতি নেই এ মৌসুমে নিজ নিজ সৎকর্মের গোলা ভরে নেয়ার। (ধারাবাহিক)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।