আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বই পড়ার যুগ আর নাই

জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই

ঢাকা শহরে বাসযাত্রা মানে পুলসেরাত পার হওয়া। কোন সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে তার কোন গ্যারান্টি নাই। ঘণ্টাখানেক সময় প্রতিদিন নষ্ট হওয়া তো মামুলি ব্যাপার। মানে মাসে ৩০ ঘণ্টা, বছরে ৩৬০ ঘণ্টা। এই সময়টা মানুষ কাটায় এফএম শুনে, মোবাইলে গান শুনে বা বিরক্তি প্রকাশ করে।

অথবা গরমে হাসফাস করতে করতে খিস্তিখেউর করতে করতে। আমার ফর্মুলাটা শোনেন। আমি মোবাইলে হেডসেট ব্যবহার করি। আমার প্রিয় একাধিক গান সেট করে বাসে উঠি। আর সাথে থাকা ব্যাগে রাখি কমপক্ষে দুটি বই।

প্রায় সময়ই সেসব বই হয় উপন্যাস। কখনও কখনও ম্যাগাজিনও পড়ি। আজকালকার ম্যাগাজিন অবশ্য পড়ার নয়, দেখার বিষয়। যাই হোক, এত লোক বাসে ওঠে, তার মধ্যে একমাত্র হাদা লোকটি আমিই। নইলে কোন খিস্তিখেউর না করে, গরমে বিরক্ত না হয়ে, মোবাইল ফোনে অন্য মানুষদের না জ্বালিয়ে কিভাবে উপন্যাসের মতো অনর্থক বিষয়ে নাক গুঁজে বসে থাকি ? অবশ্য ভালো গান বাজলে উপন্যাসের জগত থেকে কখনও কখনও গানের জগতে হারিয়ে যাই।

কখনও হারাই এফএম এর কচকাচানির ভেতর। কী যে ভালো লাগে ! আহ, বেঁচে থাকা কত সুন্দর ! ট্রাফিক জ্যাম এত ভালো ! পাগলের সুখ মনে মনে - প্রবাদটাকে সার্থক করে বেশ আছি ট্রাফিক জ্যামের মধ্যে বই পড়া নিয়ে। সুখ আরও পাই, যখন দেখি দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমার মতো হাদারাম একটিও নেই। কেননা ৫৬ সিটের সেই বাসে একমাত্র আমি ছাড়া আর কারও হাতে বই নেই।

যুগ বদলে গেছে। মানুষ এখন দেখে আর শোনে। কেউ পড়ে না। মোবাইল ফোন আর স্যাটেলাইট টেলিভিশনের দাপটে আমরা বই পড়া ভুলে গেছি। যাক, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, ভালোই লাগে।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।