আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গত কয়েকদিনের আকামনামা! (চূড়ান্ত মাত্রার ভালগারিজম বিদ্যমান, তাই পিচ্চিদের প্রবেশ নিষেধ)

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!

(21+sl) দেশ বদলের কথা নিয়ে অনেক কথা তর্ক করছি, খালি কথা না কিছু করনেরও চেস্টা করতাছি। কিন্তু সেই দিন এক পোলা মুখের উপর বইলা দিলো," তোর মেইন সমস্যা কি জানস? সভ্যতা গঠনে যখন কেউ মারা যায় তখন তার দাম নাই। কিন্তু যখন তোর জান নিয়া টানাটানি লাগবো তখন সেইটার মূল্য অনেক বেশী! তোর আদর্শ বুর্জোয়া!" আমি টাস্কি খাইয়া গেলাম। আর দেশ গঠনের তর্কে যামু না, তয় একটা কথা কই, আমেরিকায় একসময় গুলি কইরা কবুতর মারা আর মানুষ দুইটাই সমান কথা।

খালি পার্থক্য এইটাই, কবুতর মরলে খাওন যায় কিন্তু মানুষ গুলি খাইলে ফাসি দিলে সেইটারে নিয়া কিছু করন যায় না! যাই হোউক, আইজকা আমি কিছু কনফেস করুম! বিগত কয়েক সপ্তাহের কনফেস! আদর্শ ধুইয়া কি পানি খাওন যায় কি না জানি না তয় শয়তানি কইরা মজা পাওন যায় মেলা! ১) গত মাসে রানা ভাইয়ের বিয়া গেছে। মাইয়া নাকি সিঙ্গাপুরে থাকে, উচ্চশিক্ষার্থে অস্ট্রেলিয়া ফ্লাই মারবো আর ওরও মাইগ্রশন হইয়া গেছে। সবাই টাকা দিলো ক্যাশ কিন্তু আমি দিলাম একটা বড় প্যাকেট! এক হাজার টাকার মধ্যেই প্যাকেট ভইরা শেষ। কি দিছি? কিছু ডুরেক্স, কিছু সেনসেশন, আর কিছু রাজা! উপরে লেইখা দিছি মোল্লা নাছির উদ্দিন! ২) গুলশান দুইয়ে কুপারসে থিকা খাওন কিন্যা সিএনজি খুজতাছি যামু কাকরাইল। এমুন সময় একটা সিগনালের জন্য গাড়ী থাইমা জানালার কাচ নামাইয়া এক সুন্দরী জিগাইলো,"আচ্ছা, ওয়েস্টিন টা কোনদিকে?" ভাব নিয়া সোজা তাকাইয়া আঙ্গুল দেখাইয়া কইলাম সোজা নাক বরাবার গিয়ে কালভার্ট পার হয়ে বায়ে ঢুকে দ্বিতীয় ডানে ঢুকে তারপরের বায়ে গেলেই দেখবেন ৩০ তলা মাথা।

" ওরা ধন্যবাদ বইলা সোজা রওনা দিলো আর আমি হাসতে হাসতে নিজেরে কইলাম," সুন্দরী, দেইখা আসো বাংলার বস্তি!" ৩) এলাকার মোয়াজ্জেম ভাই নয়া ডিভিডি কিনসে সনির দাম মোটে ৭০০০ টাকা। ফাটাফাটি। জীমে দেখা হইয়াই কইলো," রনি বাড়ী লও। " বাড়ী গিয়া দেখলাম বেভারিয়ার সাথে হোম থিয়েটার আর ডিভিডি। আমি কইলাম," ভাইজান একটা ডিভিডি দেখনের খায়েষ জাগছে।

" সে কইলো,"এই জন্যই তুমারে আনা। কয়টা ভালো ভালো মারামারি মুভীর নাম লেইখা দাওতো। " মাথায় এক বুদ্ধি খেইলা গেলো," আগে দাওয়াত দিতে হইবো। বনি করবেন আমাগো দিয়া। আমি এখনই নাম লেইখা দিতাছি।

" টারজান থ্রি এক্স থিকা শুরু কইরা বাজারের হটস্ট এ্যাডাল্ট ডিভিডির নাম লেইখা দিলাম সাথে এ্যালিফ্যান্ট রোডের দোকানের নামসহ। আমি অবশ্য তার বাসায় যাই নাই, তবে আজকে রাইতে যামু! দেখি কেমুন চলছে! ৪) বাসায় বড় কাকা আসছিলেন কয়েকদিন আগে। আইলেই তাবলীগ নিয়া টানাটানি করে। হের লগে টাইম লাগাইলে মজা নাই। বাপে ৫০০ টাকার নোট ধরাইয়া কইলো বাজার করতে।

ভালো মন্দ কিছু রাধবো বলে! মনের ভিতর একটা শয়তানী খেইলা গেলো! চইলা গেলাম সাভার। রহিমা আফরোজের ব্যাটারী ফ্যাক্টরীর বড় পোস্টে আছে মুনির। আছে একটা ফ্লাট। অবশ্য গিয়া দেখি মদনে দুবাই উড়াল দিছে কিন্তু রাইখা গেছে কামরা! কি আনন্দ ঘরে ঘরে! ৫) শিহাব ইংল্যান্ডের কাগজ জমা দিবো। আমারে কইলো ওর লিগা একটা বায়োডাটা বানায় দিতে একটা নির্দিস্ট ফরমেটে।

বানাইয়া দিলাম ৬ পৃস্ঠার সিভি। তয় ভিতরে একটু ঝামেলা কইরা রাখলাম। এই যেমন ওয়ার্ক এক্সপেটিয়েন্সের এক জায়গায় লেখা গেছে, এক্সপেরিয়েন্সড অব মেইনটেইনিং থ্রী গার্ল ফ্রেন্ডস এ্যাট এ টাইম উইথাউট ম্যারেজ (বিবাহ ছাড়াই তিন তিন খান মাইয়া মেইনটেইন করা), পারসোনাল ডিটেলস এ ফাদারের নাম জহুরুল আলম আর মাদারের নাম তোফায়েল চৌধুরী! আর জেনডারে দিছি নার্ড! মেইল কইরা দিছি ওরে, আল্লা মালুম চক্ষু বুইজা জমা দিলে মার্ডার কেস! ৬) আমাগো কোম্পানীর সিইও র নামে দিয়া কেএলটির ফ্রী রেজিস্ট্রেশন করাইলাম। আশ্চর্য্যের ব্যাপার হলো বেটার সিরিয়াল নম্বর লটারীতে টিইকা গেছে। এখন ওরে জানাই কেমনে, বস আপনে কোরিয়ার লটারিতে টিকা গেছেন, টাড়াতাড়ি লোটা কম্বল গুছান।

অবশ্য তার নামে গত বার একটা ডিভির ফর্মও পূরন করছিলাম! ঠিকানা দিছইলাম ২০২, গরম পানির গলি, করাচী, পাকিস্হান! টিকছে কিনা এইটা জানা হয় নাই! মনে পইড়া গেলো অনার্স ফাস্ট ইয়ারে প্রিইন্জ্ঞিনিয়ারিং কোর্সে একটা কোটেশন লেটার লিখতে দিছিলো টেন্ডারের উপর। আমি সেইখানে যেইসব কোটেশন দিছিলাম: ক) টেন্ডারের উপরনীচ: রসময় গুপ্ত খ) সাফল্যের ১০ উপায়: কামিনী রায় গ) রড সিমেন্টের ব্যাবসা: আলী আহাম্মদ (এইটা আমার নিজের নাম) ঘ) টেন্ডার কোটেশন আর দালালী: হিম চন্দ্র রায় (এইটা ঐ স্যারের নাম) ঐ লেখার উপর কে কত পাইছিলো সেটা উনি আজও প্রকাশ করেননি!উনি অবশ্য জার্মানীতে চইলা গেছে মেলা আগে! তবে ঐ সাবজেক্টে আমি পাশ করেছিলাম বি পেয়ে!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।