আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শব ই বরাত

আল বিদা

এখন জুম্মার সময় লুকায় থাকলেও এককালে কিছু নামায পড়তাম। আর 'শব ই বরাত' তো ছিল ঈদের রাতের চেয়েও আনন্দের। তখন 9/10 এ পড়ি। ঈশার নামাযের পর হুজুর বয়ান করতেন। তারপর লম্বা একটা দোয়া ধরতেন।

অতঃপর জ্বিলাপি। জ্বিলাপি নিয়ে বাসায় চলে যেতাম। বাসায় রাতের খাবার খেয়ে শাল চাপিয়ে বেরিয়ে পড়তাম। মসজিদে সবাই এক হয়ে শুরু হত আমাদের পরিব্রাজন। যেকোন একদিক দিয়ে গিয়ে ঘুরে অন্যপথ দিয়ে আবার মসজিদে আসতাম।

পথে যত মসজিদ পড়ত সব মসজিদে কয়েক রাকাত নামায পড়তাম এবং অন্তত ৫ টাকা (১ ইটের দাম) আব্বা আম্মার পক্ষে দান করতাম। এভাবে প্রায় ১০/১২ মসজিদে ঘুরে ১০০ রাকাত নামায পড়া হত। শুনেছি পরকালে এইসব মসজিদ সাক্ষী দিবে আমার নামাযের। যখন এলাকার মসজিদে ফিরতাম তখন সেহরীর সময় হয়ে যেত। অনেকেই সেহরী করতে যেত।

বাকিরা মসজিদে জিকির করত বা নামায পড়ত। আমি ঘুমাতাম। এখন শুনি 'শব ই বরাত' বলে কিছু নাই। তবে এই উৎসব থাকলে ভালই। অন্তত কিছু নফল ইবাদত হয়।

আর রোযার একটা প্রস্তুতি চলে আসে। ইদানিং খুব মৃত্যুভয় হচ্ছে। পরকালে বড়ই শরমিন্দা হতে হবে। আমি ছোয়াব নিয়ে ভাবি না। অনেক মাইনাস এ আছি।

শুধু শুকরিয়া জানাতে চাই। রাস্তায় কত অসুস্থ বিকলাঙ্গ দেখি। আল্লাহ আমাকে অনেক ভাল রেখেছেন। দয়া করে ১ বার সূরা ফাতিহা ৩ বার ইখলাস ১ বার আয়াতুল কুরসী আর ৭ বার দুরুদ পড়ুন। আজ রাতে সম্ভব হলে 'সালাতুল তসবীহ' পড়ুন।

আল্লাহ সবাইকে ভাল ও সুস্থ রাখুন। আমিন। । ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।