আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বন্দুকযুদ্ধ নয়, র‌্যাব ওদের হত্যা করেছে প্রত্যক্ষদর্শীর উদ্ধৃতি দিয়ে অধিকারের রির্পোট



নিচের সংবাদটি বিডিনিউজ থেকে নেয়া। হুবহু তুলে ধরা হলো। ঢাকা, আগস্ট ০৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- পরিবার, প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের বরাত দিয়ে মানবাধিকার সংস্থা 'অধিকার' এর অনুসন্ধান বলছে, ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধে চরমপন্থী নেতা আব্দুর রশিদ মালিথা (দাদা তপন), তার সঙ্গী নাছিমা আক্তার রিক্তা এবং ছাত্রদল নেতা মো. মশিউল আলম সেন্টু মারা যাননি; র‌্যাব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে তাদের। বৃহস্পতিবার অধিকার এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বরিশালে সেন্টুকে 'ক্রসফায়ার' থেকে বাঁচাতে র‌্যাবের এক কর্মকর্তাকে তিন লাখ টাকা ঘুষ দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছেন তার মা।

মেজর মামুন নামের ওই কর্মকর্তাকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম থেকে তার ০১৭১৪০৯৩৬০৯ নম্বরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি। অভিযোগ সম্পর্কে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহা পরিচালক কর্নেল গুলজার আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "ওই তিন মৃত্যুর ঘটনা সম্পর্কে আমরা আগেই বক্তব্য দিয়েছি। তারা বন্দুকযুদ্ধের সময়েই নিহত হয়। এ সম্পর্কে তাই নতুন করে কিছু বলার নেই। " কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বাড়াদি গ্রামে গত ১৮ জুন ভোররাতে গুলিতে নিহত হন চরমপন্থী সংগঠন জনযুদ্ধের শীর্ষ নেতা দাদা তপন (৪৮) ও তার সঙ্গী রিক্তা।

র‌্যাব বিষয়টিকে 'বন্দুকযুদ্ধে' মৃত্যু দাবি করলেও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তপনের ভাই গোলাম হোসেন আকাশ 'অধিকার'কে বলেন, "র‌্যাব সদস্যরা ১৮ জুন ভোররাতে বাড়ির ভিতরে ঢুকে তপনকে কাছ থেকে সরাসরি গুলি করে হত্যা করে। ওই বাড়িতে থাকা রিক্তাকেও একইভাবে মাথায় ও পায়ের পাতায় অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। " কুষ্টিয়ার মুখ্য বিচারবিভাগীয় হাকিম আদালতের হেফাজতে থাকা অবস্থায় আদালতের পুলিশ পরিদর্শক জাফরের মাধ্যমে অধিকারের সঙ্গে কথা বলার কয়েকদিনের মাথায় ২৬ জুন আকাশও র‌্যাবের 'ক্রসফায়ারে' নিহত হন। আকাশ 'অধিকার'কে জানান, ১৮ জুন রাত ২টার দিকে তিনি নিজের বাসার গেটে কড়া নাড়ার শব্দ পান। গেট খোলার পর র‌্যাব সদস্যরা তার হাতে হাতকড়া পরিয়ে কোমরে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়।

এরপর বন্দুকের নল দিয়ে পাঁজরে আঘাত করে এবং উপুড় করে ফেলে বুট দিয়ে মাড়িয়ে তার বাম পা ভেঙ্গে দেওয়া হয়। পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি-এমএল জনযুদ্ধের প্রতিষ্ঠার পর তপন অস্ত্র, গুলি ও রাজনৈতিক বইপত্র ভাইয়ের বাড়িতে রাখতেন বলে জানান ভাই আকাশ। ঘটনা সম্পর্কে আকাশের স্ত্রী আজমেরী ফেরদৌসী আঁখি 'অধিকার'কে জানান, গভীর রাতে দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর র‌্যাব সদস্যে বাড়ি ভরে যায়। তারা তার স্বামীকে অন্য একটি কক্ষে নিয়ে পেটাতে থাকে। একপর্যায়ে আকাশ ঘরে থাকা দেড় হাজার গুলি, একটি পিস্তল, জনযুদ্ধের প্রায় পাঁচ হাজার মাসিক বুলেটিন ও রাজনৈতিক বইপত্র, একটি কম্পিউটার, ফ্যাক্স মেশিন ও প্রিন্টার বের করে দেন।

ভোর ৪টার দিকে একদল র‌্যাব সদস্য আকাশকে নিয়ে তপনকে খুঁজতে বাইরে চলে যায় এবং অন্য একদল বাড়ি ঘেরাও করে রাখে। তিনি জানান, সকাল ৭টার দিকে র‌্যাব সদস্যরা আবার তার স্বামীকে নিয়ে ফিরে আসে। র‌্যাবের পিটুনিতে আকাশের কপাল, বাহু মারাত্মকভাবে জখম ছিল এবং তার আঙ্গুল থেকে রক্ত ঝরছিল। আঁখি অভিযোগ করেন, আকাশ প্রস্রাব করতে চাইলে হাতকড়া পরা অবস্থায় তাকে টয়লেটে নেওয়ার পর দেখা যায় তার মুত্রনালী থেকে রক্ত ঝরছে। যন্ত্রণায় তিনি চিৎকার করছিলেন।

আকাশ স্ত্রীকে জানান, র‌্যাব তপন ও রিক্তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। ঘরের সব মালামাল জব্দ করে সকাল ১১টার দিকে আকাশকে নিয়ে চলে যায় র‌্যাব। তপনের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত রিক্তার মা ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আলেয়া বেগম (৪৫) জানান, তিন সন্তানের মধ্যে সবার ছোট রিক্তা (১৮) দশম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করার পর সংসারের হাল ধরেন। তিনি কুষ্টিয়া থেকে শাড়ি ও থ্রি-পিচ কিনে এনে তাতে হাতের কাজ করে ঝিনাইদহে বিক্রি করতেন। আলেয়া বেগম জানান, হাতের কাজ ভালভাবে শেখার জন্য মারা যাওয়ার প্রায় এক মাস আগে আরো দুটি মেয়ের সঙ্গে রিক্তা কুষ্টিয়ায় একটি বাড়িতে ওঠে।

১৮ জুন সকালে টেলিভিশনে মেয়ের মৃত্যর খবর পান তিনি। সন্ধ্যা ৬টার দিকে র‌্যাব ও পুলিশের পাহারায় রিক্তার লাশ বাড়িতে আসে। তার মাথায় ও পায়ে একটি করে গুলির চিহ্ন ছিল। আলেয় বেগম দাবি করেন, তার মেয়ে কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল না। থানায় তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা জিডিও নেই।

এরপরও মেয়ের কোনো অপরাধ থাকলে তার বিচার না করে কেন হত্যা করা হলো? গোলাগুলির পর ঘটনাস্থলে যাওয়া গ্রাম পুলিশ আনছার আলী জানান, তপনের বুকের বিভিন্ন জায়গায় এবং বাম বাহুতে মোট ছয়টি গুলি লেগেছিল। তার পাশেই পড়ে ছিল রিক্তার লাশ। রিক্তার অবস্থা দেখে মনে হচ্ছিল, মৃত্যুর আগে কারো সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি হয়। গুলিতে রিক্তার মাথার খুলি এবং মুখের ডান পাশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রিক্তার মৃত্যু সম্পর্কে কুষ্টিয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বাবুল উদ্দিন সরদার 'অধিকার'কে বলেন, "একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীকে মারতে গিয়ে ১০ জন ভাল মানুষ নিহত হলেও কিছু করার নেই।

" এ স¤পর্কে র‌্যাব- ১২ এর ক্যাপ্টেন মাহমুদের ভাষ্যও একই রকম। 'অধিকার'কে তিনি বলেন, "তপনকে মারতে গিয়ে আরো ১০ জন ভাল মানুষ মরলেও র‌্যাবের কিছু করার ছিল না। " তার দাবি, আকাশকে নিয়ে পাশের গ্রাম বাড়াদীতে অভিযান চালিয়ে র‌্যাব তপনের সন্ধান পায়। র‌্যাব সদস্যরা তপনের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করলে তপন ভেতর থেকে গুলি ছোড়ে। র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়ে ভিতরে ঢুকে দেখতে পায় তপন ও রিক্তা নিহত হয়েছে।

এদিকে, বরিশালে ছাত্রদলের নেতা মো. মশিউল আলম সেন্টুকেও (৩৪) 'ক্রসফায়ারের' নামে র‌্যাব হত্যা করেছে বলে 'অধিকারের' কাছে অভিযোগ করেছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। বরিশালের পশ্চিম কাউনিয়া বাগানবাড়ীর সেন্টুকে ১৫ জুলাই ঢাকার নীলক্ষেত এলাকা থেকে আটক করা হয়। সেন্টু বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ সভাপতি ছিলেন। র‌্যাবের দাবি, আটকের পর সেন্টুর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যাওয়ার পথে ১৬ জুলাই ভোররাতে তার সহযোগী ও র‌্যাবের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের সময় নিহত হন সেন্টু। সেন্টুর মা 'অধিকারের' কাছে অভিযোগ করেন, জরুরি অবস্থা জারির পর বরিশালে র‌্যাব- ৮ এর মেজর মামুন রূপাতলীর সুলতানের মাধ্যমে তাকে জানান, সেন্টুকে 'ক্রসফায়ারে' হত্যা করা হবে।

এটি ঠেকাতে রূপাতলীর সুলতান ও দোলনের মাধ্যমে জুনের ১৯ অথবা ২০ তারিখ মেজর মামুনকে তিনি তিন লাখ টাকা ঘুষ দেন। এরপরও র‌্যাব পরিকল্পিতভাবে তার ছেলেকে হত্যা করেছে। সেন্টুকে গ্রেপ্তারের প্রত্যক্ষদর্শী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানের ছাত্র সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম মামুন 'অধিকার'কে জানান, খালেদা জিয়া ও ছাত্রদল নেতা হেলালের মুক্তির দাবিতে ১৫ জুলাই ঢাবি ক্যাম্পাসে অনশন কর্মসূচি পালন শেষে সন্ধ্যায় কয়েক নেতাকে নিয়ে তিনটি রিকশায় তারা হাজী মোহাম্মদ মহসীন হল হয়ে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে যাচ্ছিলেন। এ এফ রহমান হলের সামনে র‌্যাব- ৩ লেখা একটি সাদা মাইক্রোবাস পেছন থেকে এসে রিকশা থামানোর সংকেত দেয়। রিকশা পাশাপাশি থামলে র‌্যাব সদস্যরা এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

মামুন দাবি করেন, সেন্টু রিকশা থেকে নামলে র‌্যাব সদস্যরা তার বাম পায়ে গুলি করে। তিনি পালানোর চেষ্টা করলে সাত থেকে আট র‌্যাব সদস্য তাকে ধরে রাস্তার ওপর ফেলে অস্ত্রের বাট দিয়ে ঘাড়ে আঘাত করতে থাকে। এক পর্যায়ে সেন্টু নিস্তেজ হয়ে পড়লে গামছা দিয়ে চোখ ও হাত বেঁধে তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেন্টু নিহত হওয়ার কথিত স্থান বরিশালের কাশিপুরের বিল্ববাড়ী এলকার মর্জিনা বেগম 'অধিকার'কে জানান, ১৬ জুলাই ভোর ৪টার দিকে ঘুম ভেঙে দেখেন বৃষ্টি হচ্ছে। বাইরে কোনো কিছু ভিজছে কিনা দেখতে ঘরের বাইরে বেরিয়ে তিনি লক্ষ করেন, রাস্তায় তিনটি গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে এবং র‌্যাবের পোশাক পরা ১০ থেকে ১৫ জন লোক হাঁটাহাটি করছে।

মর্জিনা বেগম মেয়ে রতœাকে ঘুম থেকে ডেকে ঘটনাটি দেখান। ঘরের পাশে দাঁড়িয়ে তারা দেখেন, দুই/তিন জন করে র‌্যাব সদস্য রাস্তার একেক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। মর্জিনা জানান, র‌্যাব সদস্যরা রাস্তাটি ব্লক করে দুই থেকে তিনটি ফাঁকা গুলি করে। ভোরের হালকা আলোয় দেখা যায়, গাড়ির ভিতর থেকে কী যেন ধরাধরি করে বের করে রাস্তার পাশের ধান ক্ষেতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরপর চার থেকে পাঁচজন সেখানে জড়ো হয়ে বেশ কয়েকটি গুলি ছোড়ে।

মর্জিনা জানান, তিনি আর ঘুমাতে পারছিলেন না। র‌্যাব ধান ক্ষেতে কী ফেলে এভাবে ফাঁকা গুলি করল জানার কৌতূহল হয় তার। পানি আনার অজুহাতে কলসি নিয়ে র‌্যাব সদস্যদের মাঝ দিয়ে তিনি কয়েকবার পাশের আফজাল হোসেনের বাড়ি গিয়ে আবার ফিরে আসেন। মর্জিনা দেখেন, র‌্যাব সদস্যরা 'কিছু একটা' যেখানে ফেলে এসেছিল ধানক্ষেতের সেখানে ছাত্রদল নেতা সেন্টুর লাশ পড়ে আছে। র‌্যাব লাশটি কার তা জানতে চাইলে ঝামেলা এড়ানোর জন্য তিনি চেনেন না বলে জানান।

এরপর র‌্যাবই তাকে জানায়, লাশটি ছাত্রদল নেতা সেন্টুর। গোলাগুলিতে সে নিহত হয়েছে। মর্জিনা দাবি করেন, "তখন ঘটনাস্থলে কোনো অস্ত্র ছিল না, কিন্তু পরে র‌্যাব সদস্যরা গাড়ি থেকে অস্ত্রশস্ত্র নামিয়ে মাটিতে সাজিয়ে রাখে। এছাড়া সেন্টুর লাশ পড়ে থাকার স্থানে কোনো রক্ত ছিল না, পাশে দু'টি নতুন গামছা পড়ে ছিল। " একই এলাকার খালেদা বেগম জানান, ওই সময়ে তিনি বাইরে বের হয়ে দেখেন, বেশ কিছু র‌্যাব সদস্য বাড়ির পাশের রাস্তায় দাঁড়িয়ে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে ফাঁকা গুলি ছুড়ছে।

তিনি কোনো কথা বা চিৎকার শোনেননি। ওই এলাকার পাশের পশ্চিম কাউনিয়া বাগান বাড়ির অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মাহতাব (৫২) 'অধিকার'কে জানান, ১৬ জুলাই সকালে তিনি সেন্টুর লাশ দেখতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। ধান ক্ষেতে সেন্টুর লাশ চিৎ হয়ে পড়ে ছিল। তিনি বলেন, "ধান গাছ যেহেতু নষ্ট হয়নি, তাই লাশটি অন্য জায়গা থেকে এনে সেখানে শুইয়ে রাখা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে হচ্ছিল। " সেনাবাহিনীতে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, "সেন্টুর বুকে আঘাত করা গুলি দুটি সর্বোচ্চ গতি দূরত্ব থেকে এবং পায়ের গুলিটি এক থেকে দেড় ফুট দূরত্ব থেকে করা হয়েছিল বলে ক্ষতচিহ্নের ধরন দেখে মনে হয়েছে।

তার ঘাড় থেঁতলানো ছিল এবং বাম হাতটি ভাঙা মনে হচ্ছিল। " সেন্টুর লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন করা বরিশাল কোতয়ালি থানার উপ পরিদর্শক স্বপন 'অধিকার'কে জানান, সেন্টুর বুকে দুটি গুলি লেগে পিঠ দিয়ে বের হয়ে যায় এবং বাম উরুতে একটি গুলি লেগে তা ভিতরে থেকে যায়। লাশ পড়ে থাকার স্থানে কোনো রক্ত ছিল না। এদিকে, বরিশাল শহরের রূপাতলীর মো. সুলতান (৩৯) জানান, সেন্টুকে 'ক্রসফায়ারে' হত্যা করা হবে- এমন আলোচনা তিনি আগেই র‌্যাব সদস্যদের কাছ থেকে শুনেছিলেন। এজন্য তিনি সেন্টুর মাকে মেজর মামুনের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন।

তবে সেন্টুর মা ও মেজর মামুনের মধ্যে ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেন। ওই এলাকার দোলনও (২৫) জানান, ছেলেকে যাতে হত্যা না করা হয় সেজন্য মাস খানেক আগে সেন্টুর মা মেজর মামুনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ যোগাযোগে দোলনও সহায়তা করেন। এ ব্যাপারে বরিশালে র‌্যাব- ৮ এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইরশাদ জানান, ঢাকার কাঁটাবন এলাকা থেকে সেন্টুকে আটকের পর সে স্বীকার করে বরিশালের বিভিন্ন এলাকায় তার অনেক অস্ত্র ও গোলাবারুদ রয়েছে। ১৬ জুলাই ভোররাতে বরিশাল শহরের কাশিপুর বিল্ববাড়ী এলাকায় পৌঁছালে সেন্টুর সহযোগীরা তাকে ছিনিয়ে নেতে র‌্যাবের মাইক্রোবাসের উপর আক্রমণ করে এবং গুলি ছোড়ে।

র‌্যাবও পাল্টা চালায়। এ সময় সেন্টু র‌্যাবের মাইক্রোবাস থেকে পালিয়ে যায়। দু'পক্ষের মধ্যে ১০ থেকে ১২ মিনিট গুলি চলার পর র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে সেন্টুর মৃতদেহ দেখতে পায়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.