আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই ঠুনকো ঐক্য রাখার িক কোন দরকার আছে?



অবশেষে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন েথকে সরে দাঁড়ালেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। তিনি অবশেষে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক খায়রুজ্জামান লিটনের একগুয়েমির কাছে নতিস্বীকার করেছেন। গত ৩ জুলাই থেকে চলে আসা একে অপরের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলে থেকেও। খায়রুজ্জমান লিটনের মেয়র পদে প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা করার যথেষ্ট কারণ আছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ বিগত সময়ে চারদলীয় জোট বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামের সময় বাদশাকে ১৪ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল রাজশাহী সদর আসন থেকে আর লিটনকে কেন্দ্র থেকেই বলা হয়েছিল সে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

যাহোক, যদিও কেন্দ্রীয় ১৪ দল বাদশাকে রাজশাহী সিটি করপোরেশন থেকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি এখানে কোন দিক থেকেই অগ্রসর হতে পারছিলেন না। তিনি ১৪ দলের অন্তর্ভুক্ত দলগুলোর মধ্যে ১৩ দলই লিটনের পক্ষে যক্তি তুলে ধরে তাকেই সাপোর্ট করেছে। যার কারনে বাদশা অনেকটাই কোনঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। ১৪ দলীয় জোট গঠনের পর থেকে বাদশা যতটুকু না রাজশাহীবাসীর মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন, তার চেয়ে বেশিটুকু মানুষের মন থেকে সরে গেছেন রাসিক নির্বাচনে অংশ নিয়ে। রাঝশাহী সিটি নির্বাচনে বাদশার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা দেখে রাজশাহীর মানুষও ভালোভাবে নেয় নি বিষয়টি।

তারা এমন কথাও বলেছেন প্রথম যে নির্বাচন হবে সেটিতেই বাদশা লড়বেন। এমনকি সেটা যদি সংরক্ষিত মহিলা আসনেও নির্বাচন হয়। কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা মনে করেন, রাজশাহীতে বাদশার অবস্থান অনেক বড়। কিন্তু তাঁর অবস্থান তিনি নিজেই নষ্ট করেছেন বলে তার নেতাকর্মীরা মনে করেন। তিনি তিলে তিলে ওয়ার্কার্স পার্টিকে শেষ করেছেন রাজশাহীতে।

তার বিভিন্ন সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডের কারণে অনেক নেতাকর্মী পার্টিই তাকে তো ছেড়েছেন, সংগঠনও ছেড়ে দিয়েছেন। তার সাথে এখন জেলা সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল এবং নগর সম্পাদক লিয়াকত আলী লিকু ছাড়া উল্লেখযোগ্য কেউ নেই। এছাড়াও রাজশাহীর একটি স্থানীয় দৈনিকরে মালিক হচ্ছেন বাদশা। স্থানীয় আর দুটো দৈনিকে নিয়মিত রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে খবর প্রকাশ করা হলেও, বাদশার পত্রিকায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের খবর বাদ দিয়ে অন্যান্য সব নিউজই ছাপা হচ্ছে। এদিকে,ওয়ার্কার্স পার্টি আওয়ামীলীগের সাথে জোট গঠন করেছিল একটি অসাম্প্রদায়িক শক্তি গঠনের লক্ষ্যে ১৪ দলভুক্ত অন্যান্য দলগুলোর মতই।

বাদশার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর কেন্দ্রীয় সভাপতি রাশেদ খান মেনন জোটে না থাকার ইঙ্গিত দেয়েছেন। তাহলে কি ধরে নেয়া যায় না যে তারা জোটবদ্ধ হয়েছিলেন শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য? লিটন কয়েকদিন আগে বলেছিলেন যে যদি এই ঘটনার জন্য জোট ভেঙে দেয়ার হুমকী বারবার দেয়া হয় তাহলে এ ঐক্য একটি ঠুনকো ঐক্য। রাজশাহীর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন এ ধরনের হুমকীর ফলে কোন প্রভাব ফেলবে না রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন। তারা আরও বলছেন, এই ঠুনকো ঐক্য রাখার আদৌ কি কোন দরকার আছে। যারা শুধু আসন দখল করতে চায়।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।