আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মোষ তাড়ানো সহজ নাকি!?

পাখি পর্ব চলছে

মোষ তাড়ানো সহজ নাকি প্রায় নয় বছর পূর্বে শুরু হয়েছিল ‌আর্ট এ্যান্ড আর্টিস্ট অব বাংলাদেশ' শিরোনামে একটি সিডির কাজ। শেষ হলো এতো দিনে। ভালো লাগছে। এই সিডিটিতে বাংলাদেশের প্রায় দু'শো বিভিন্ন শিল্পীর প্রায় আড়াই হাজার বিভিন্ন মাধ্যমের প্রতিনিধিত্ব মূলক শিল্পকর্মের আলোকচিত্র, শিল্পীদের তথ্য, বিভিন্ন ইনস্টিটিউশনের তথ্য, চারজন গুরুস্থানীয় শিল্পীর ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। আর রয়েছে ভারতীয় চিত্র শিল্পের প্রায় পাঁচ হাজার বছরের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।

এটি নিসন্দেহে একটি কর্মযজ্ঞ। এই কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছিল গত সহস্রাব্দের শেষপাদে ১৯৯৯ সালে। আর শেষ হলো ২০০৮ সালে। একেবারে ফ্রি, বিনে পয়সায়, কখনো নিজেদের পকেটের পয়সায় বা এর ওর দেয়া সাহায্যে এই পুরো কাজটি হয়েছে গত নয় বছরে। মাঝে অবশ্য কিছু দিন বন্ধ ছিল এর কাজ।

যারা এই কাজটিতে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন তারা বর্তমানে তরুণ। কিন্তু শুরুর সময়টাতে তারা বালক ছিলেন। এই বালকরা নানানভাবে, স্কুল/কলেজ ফাঁকি দিয়ে এই কাজ করেছিলেন। অবশেষে তারা সফল। আমার বলার কথা এই যে, বর্তমান এই বাণিজ্য শাসিত সভ্যতায় আমরা যখন মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ হবার প্রচেষ্টায় নিরন্তর উৎসর্গীকৃত তখন এই প্রচেষ্টা আমাদের কাছে অনুকরণিয় হবার যোগ্য।

আমারা যখন ভুলতে বসেছি আমাদের নিজস্বতাকে, আমাদের শেকড়ের ইতিহাসকে তখন এই নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো মানুষগুলোর কর্মতৎপরতা আমাদের নতুন দিক চেনাতে সাহায্য করবে। আমরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করি, সব বড় কাজের (!) পেছনেই যখন কর্পোরেট বিশ্বের স্পর্শ থাকে কোন না কোন ভাবে তখন এই মোষ খ্যাদানো মানুষগুলো তাদের থোরাই কেয়ার করে। তারা বরং নিজের খেয়েই মোষ তাড়ায়। অবশ্য তাদের সাথে যোগ হয় আরো কিছু মানুষ যারাও নিজের খেয়েই তাড়াতে অভ্যস্ত। এই কর্মযজ্ঞটির মূল পরিকল্পনায় ছিলেন চিত্রশিল্পী ও গবেষক শাওন আকন্দ এবং তার বন্ধু সুজন।

গবেষণার কাজ করেছেন শাওন আকন্দ এবং মাল্টিমিডিয়ার কারিগরি দিক নিয়ে কাজ করেছেন সুজন। তাদের সাহায্য করেছেন ক'জন? এটি উল্লেখ না করাই ভালো। কারণ সিডিটির ক্রেডিট লাইনে যাতগুলো নাম রয়েছে তার হিসাব না করাই উচিৎ। দুই পর্বে এই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম পর্ব ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সাল অব্দি।

দ্বিতীয় পর্ব ২০০৭ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত। মাঝের সময়টা কী করা যায়, কীভাবে করা যায়, কার কাছে যাওয়া যায়, কীভাবে যাওয়া যায়, কী কী তথ্য বাদ রয়েছে এই সব ভেবে ভেবে এবং করে করেই কেটেছে। চূড়ান্ত পর্বের কাজে অনেকেই নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে, অনেক পুরোনো লোক চলে গেছে জীবন ও জীবীকার তাগিদে। কিন্তু কাজটি শেষ পর্যন্ত সমাপ্ত হয়েছে। এই সিডিটির প্রকাশনা উৎসব আগামী ১১ জুলাই ২০০৮ শুক্রবার, দৃক গ্যালারীতে; সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায়।

আমন্ত্রণ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।