আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হয় তত্ত্বাবধায়ক নয়তো হাসিনার বিদায়: খালেদা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেবে, নয় হাসিনা বিদায় নেবে। ’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকলে আমরা নির্বাচনে অংশ নেব না। তার মানে কি এই যে হাসিনা একাই নির্বাচন করবেন? সেটাও হতে দেব না। ’
আজ রোববার নরসিংদীর বালুর মাঠে এক জনসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন খালেদা জিয়া।
বক্তব্যের শুরুতে বৃষ্টিতে ভিজে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান খালেদা জিয়া।

তিনি বলেন, সরকার কোনো উন্নয়ন করেনি। লুটপাট আর দুর্নীতি করেছে। তাই তারা ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করতে চায়। কারণ ক্ষমতায় থাকলে সবকিছু তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। বক্তব্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন খালেদা জিয়া।

তবে বেশির ভাগ অংশজুড়েই ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নির্বাচন প্রসঙ্গ।
নৌকার তলা ফুটো হয়ে গেছে, কাজ হবে না
খালেদা জিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রতিদিন হেলিকপ্টারে করে ঘুরে ঘুরে নৌকায় ভোট চান। তিনি ক্ষমতায় থেকে গত সাড়ে চার বছরে দুর্নীতি আর লুটপাট করেছেন। এই করতে করতে নৌকার তলা ফুটো হয়ে গেছে। এখন নৌকায় পানি উঠে ডুবে যাওয়ার অবস্থা।

এই নৌকা দিয়ে আর কাজ হবে না।
সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক তুললেন কেন?
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, তাঁরা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করার দাবি জানান। তিনি তখন সংবিধানের ধার ধারেননি। গলার জোরে বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন করতে দেবেন না। খালেদা জিয়া বলেন, সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান ছিল।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার তুলে নেওয়ার ব্যাপারে সরকার বিরোধী দলের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি বলে অভিযোগ করেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকবেন, মন্ত্রিপরিষদ থাকবে, তখন নাকি নির্বাচন হবে। সেটা কোনো দেশে হয় না। এ সময় তিনি জনগণের উদ্দেশে বলেন, তাহলে আপনারাই বলেন, সেই নির্বাচন কি গ্রহণযোগ্য হতে পারে? এ সময় সবাই বলেন ‘না’। খালেদা জিয়া বলেন, সুশীল সমাজ, বিকল্পধারা, কাদের সিদ্দিকীর দল সবাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলেছে।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তা মানেন না। ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী সংবিধান সংশোধন করেছেন। তিনি বলেন, নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের বিল এনে জাতীয় সংসদে আইন পাস করে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। সেখানে সব দলের অংশগ্রহণ থাকবে। বিরোধী দল সেই নির্বাচন চায়।

বিরোধী দল কোনো অন্যায় দাবি করছে না। তিনি বলেন, জরিপে দেখা গেছে ৯০ ভাগ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। এখন জরিপ করলে দেখা যাবে সেটা ৯৮ শতাংশ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।