আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিরিয়ায় গবেষণাগারে ইসরাইলী বিমান হামলা ও জ্ঞান বিজ্ঞানের গবেষণায় পশ্চিমাদের সায়েন্টিফিক মিলিট্যান্সি (বৈজ্ঞানিক জঙ্গিবাদ)

যদি ঠাঁই দিলে তবে কেন আজ হৃদয়ে দিলে না প্রেমের নৈবদ্য এতদিন জানতাম মধ্যযুগে পশ্চিমের পোপ শাসিত চার্চ জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চায় বাধা দিতেন , এখন দেখি এই উত্তর আধুনিক যুগে এসেও পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী শক্তি তাদের বিরোধী শক্তির বৈজ্ঞানিক গবেষণায় রীতিমত বিমান হামলাও চালাচ্ছে এবং বিজ্ঞানিদের হত্যাও পর্যন্ত করছে! জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চাকে অনেকেই ক্ষমতা নিরপেক্ষ ভাবলেও পশ্চিমারা এবং তাদের দোসর ইসরাইল তা মানতে নারাজ। বর্তমানে জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা ও প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনে গবেষণা কে কতটুকু করতে পারবে তাও নির্ধারণ করে দিচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী বিশ্ব আধিপত্যবাদী শক্তি! যে জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন করতে পারবে, তা ইরান পারবে না! পারমানবিক শক্তির গবেষণা কেবল পশ্চিমারা আর তাদের অনুগত রাষ্ট্রই করতে পারবে, তা ইরান, উত্তর কোরিয়া করার অধিকার রাখেনা, তাই ইরানের পারমানবিক চুল্লিতে ইসরাইলের বিমান হামলার হুমকি প্রায়ই ধ্বনিত হয়। ইরানের বেশ কয়েকজন পারমানবিক বিজ্ঞানীকে ইসরাইলী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় হত্যা করাও হয়। গতকাল সিরিয়ার দামেস্কে সিরিয়াস সায়েন্টেফিক স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার (সিইআরএস) এর উপর ইসরাইল বিমান হামলা চালায়। ওই হামলায় কেন্দ্রের দুজন কর্মী নিহত হয়েছেন এবং গবেষণাকেন্দ্রের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ইসরায়েলের দাবি, গবেষণাকেন্দ্রটি থেকে তৈরি অস্ত্র লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহ এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী হামাসের কাছে পাঠানো হয়। ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সন্ত্রাসবাদবিরোধী ব্যুরোর সাবেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নিত্জান নুরিয়েল ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, হিজবুল্লাহ ও হামাসের মতো সংগঠনগুলোকে অস্ত্র সরবরাহ করতে থাকলে সিইআরএস নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হবে। অর্থাৎ সাম্রাজ্যবাদীদের বিরোধী শক্তি জ্ঞান বিজ্ঞানের কোন গবেষণাও এখন আর করতে পারবে না, তাদেরকে বৈজ্ঞানিক গবেষণা বাদ দিয়ে প্রস্তর যুগে ফিরে যেতে হবে! পশ্চিমাদের বিরোধী শক্তি বৈজ্ঞানিক গবেষণা করলেই তাদের উপর অবরোধ আরোপ করা হবে, তাতেও কাজ না হলেও ওইসব গবেষণাগারের উপর জঙ্গি বিমান হামলা চালিয়ে তা ধংস করে দেয়া হবে! মধ্যযুগে পশ্চিমা ধর্মগুরুরা গালিলিওকে হত্যা করেছেন বৈজ্ঞানিক সত্য আবিষ্কারের অপরাধে, আর আজকের যুগে পশ্চিমা অত্যাধুনিক যুক্তিবাদী(?) শাসকরা ইরান, সিরিয়ার মত বিরোধী শক্তির বিজ্ঞানীদের হত্যা করছেন কোন অপরাধে? তাহলে জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা কি বিশেষ জাতি, গোষ্ঠী কিংবা শক্তির জন্য নিষিদ্ধ? জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা কি এখন শুধু পশ্চিমারাই এবং তাদের অনুগতদেরই একান্ত অধিকার? জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চার ক্ষেত্রে পশ্চিমাদের এই শ্রেণীবিভাজন এবং দুর্বৃত্তায়ন কি তাদের উদারতাবাদ, আধুনিকতা , যুক্তিবাদ, পশ্চিমা রেনেসাঁ এসবের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ? অন্যদের গবেষণাগারে হামলা করে কিংবা বিজ্ঞানীদের হত্যা করে এই উত্তর আধুনিক যুগে পশ্চিমা মোড়লরা যে সায়েন্টিফিক ক্রাইম শুরু করে দিয়েছে তাকে বলা যেতে পারে সায়েন্টিফিক মিলিট্যান্সি (বৈজ্ঞানিক জঙ্গিবাদ)। জ্ঞান বিজ্ঞানের গবেষণায় পশ্চিমা আধিপত্যবাদের তীব্র নিন্দা জানাই!

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.