আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মদনামি করতে গিয়া মদনের ধরা খাওয়ার ২টা গল্প--

http://vutoo.blogspot.com

(১) মদন একবার একটা ক্যাপ কিনতে গিয়েছিল গুলিস্থানে। সে আগে কখনো গুলিস্থানে গিয়ে কিছু কেনেনি। বন্ধু বান্ধবেরা তাকে ভাল করে দামদর করা শিখিয়ে দিল। ‘যা চাইবে তার পাঁচ ভাগের একভাগ দাম বলবি। ’ - একজন তাকে শিখিয়ে দিল।

তারপর সে গুলিস্থানে ফুটপাতে ক্যাপ কিনতে গেল। সে এমনভাবে ক্যাপ দেখতে লাগল যেন সবাই ভাবে সে এদিককার নিয়মিত খরিদ্দার। তারপর একটা ক্যাপ তার পছন্দ হল। বাস্তবিকই সেটা বেশ দামী ক্যাপ। ‘এই মিয়া কয় পয়সা চাও এইটা?’ - ক্যাপটা হাতে নিযে সে দোকানীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দিল।

দোকানদার মদনের আচরনে তাকে জাদরেল এবং জেনুইন ক্রেতাই ভাবল। সে ভনিতা না করে বলল - ‘এক দাম একছ ট্যাকা। ’ ‘পাচ ভাগের এক ভাগ’ - কথাটা মনে পড়লো তার। সে বলল -‘আজাইরা দাম কইয়া লাভ আছে নি। কত নিবা ঠিক কইর‌্যা কও।

’ দোকানদার অবাক। বলে কি কাস্টেমার! পাইয়োনিয়ার ক্যাপের দাম জানেনা নাকি হালায়। ‘আপনে কত দিবার চান?’- শান্তস্বরে জিজ্ঞেস করে সে; মদনকে জেনুইন ক্রেতা ভাবায় নিজের উপরই রাগ হচ্ছে তার। ‘বিশ ট্যাকা পাইবা। ’ - মদন উত্তর দিল।

দোকানদার যতটুকু রাগ করার কথা ছিল তার চেয়ে বেশী রাগল দাম বলার সময় মদনের হাই তোলা দেখে। ‘হালায় কি ক্যাপ কিনবার আইছে নাকি ফাও কামে ঘোরাঘুরি করবার আইছে। ’ - ভাবে সে। তবুও রাগ চেপে শান্তস্বরে জিজ্ঞেস করে - ‘আপনে বিছ ট্যাকায় ক্যাপ কিনবার চান?’ ‘ক্যান তোমার কি মনে হয়?’ - উত্তর শুনে আরো রেগে যায় দোকানী। তবু যথেষ্ট শান্ত থেকে দোকানদার বলে - এইখানে বিছ ট্যাকায় ক্যাপ কিনবার পারবেন না।

’ ‘তবে কই পামু’ - মদন জিজ্ঞেস করে। দোকানদার বলে - ‘এইখান থেকে সোজা হাইট্যা যাইতে থাকেন। দেখবেন সামনে পড়বো ঠাঠারী বাজার। ঐ খানে দেখবেন মাটির ছানকি কিনতে পাওয়া যায়। বিছ ট্যাকা দিয়া একটা মাটির ছানকি কিনা লন।

তারপর ঐটার মধ্যে ভাতও ভি খাইবার পারবেন আবার চান্দি গরম হইয়্যা গেলে ধুইয়া মাথায়ও ভি দিবার পারবেন -যান। ’ (২)আরেকদিন সে ঘড়ির বেল্ট কিনতে গিয়েছিল বায়তুল মোকাররমের ওদিকে। ফুটপাতে সে একটি ঘড়ির বেল্ট এর দাম জিজ্ঞেস করল - ‘কত দাম ভাই এর?’ ক্যাপ কিনে ঝাড়ি খাওয়ার পর সে কিছুটা ভদ্র। ‘এক দাম আশি টাকা। ’ - দোকানীর সোজাসাপ্টা জবাব।

সে রেগে গেল। ‘ওই মিয়া, হাত ঘড়ির বেল্টের দাম আশি টাকা চাও, তোমার মাথা খারাপ নাকি?’ ক্যা কি অইছে?’ - দোকানী জিজ্ঞেস করে। ‘আরে আশি টাকা দিয়া তো কোমড়ের বেল্ট পাওয়া যায়। ’ - মদনের কৈফিয়ৎ। দোকানী বলে - ‘তয় যান, আশি টাকা দিয়া কোমড়ের একটা বেল্ট কিনা লন।

তারপর ঐটার মইদ্যে ঘড়ি লাগাইয়া মদনামি কইরা বেড়ান। ঘড়ির বেল্ট কিনার দরকার নাই। ’

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.