আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আর কয়টা উইকেট ফেলবিরে? আছেই তো দশটা!

ইমরোজ

সেদিন দৈবক্রমে আমার এনিমেল প্ল্যানেট দেখার সৌভাগ্য হইয়াছিল। সেইখানে একটা অতি মনোরম জিনিস দেখলাম। আফ্রিকার কোন এক জঙ্গল দেখান হইতেছিল। সেই জঙ্গলের বাসিন্দা চিতা বাঘ। বড়ই সুন্দর একটা প্রাণী।

নানা রকম শিকার টিকার ধরার পড়ে চিতা বাঘটি যাহা করিল তাহা অতীব অকল্পনীয়। অবশ্য তাহার খিদা লাগিয়াছিল বলেই মনে হলো। আচ্ছা কথা না বাড়াইয়া বলে ফেলি বাঘটি কী করেছিল। বাঘটি একটি গ্রামে ঢুকিয়া পড়িল। সেখানে এক রাখাল বালক ছাগল চড়াইতেছিল।

সেই বাঘটি ছাগলের পালের দিকে দৌড়ে আসছে। অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করিলাম ছাগলের কোন মাথা ব্যাথা নাই। তারা এমন ভাবে দৌড় দিল যেন কচ্ছপ তাহাদের দিকে এগিয়ে আসছে। বাহ! কী দৃশ্য। ভাবিয়া কূল পাওয়ার আগেই চিতা বাঘ এক ছাগলের গলা কামড়ে ধরলো।

ছাগলের কোন তাপ-উত্তাপ নেই! তিনি চুপচাপ আছেন দেখিয়া বাঘ তো আরও জোড়ে কামড়ে দিল। ছাগলের ম্যাতকার শোনা যাইতেছিল কিন্তু ক্ষীণ। এমন সময় রাখাল বালকের বাপ, একটা বল্লম হাতে ছুটে আসছিলেন। দেখিয়া বাঘ সেই ছাগল ছাড়িয়া পালাইলো। ছাগল দিব্যি বাঁচিয়া গেল।

কিন্তু খেয়াল করে দেখিবেন পাঠক হরিণ কিন্তু বাঁচে না! কেউ তাকে বাঁচাইতে চাহেও না। তাহলে ছাগলের ভাগ্যটা খেয়াল করে দেখুন তো পাঠক। কয় জনেরই বা এমন ভাগ্য হয়। আজ পাকিস্তান আর বাংলাদেশের খেলা দিখিয়া আমার বারংবার সেই কথাটি মনে পড়িতেছিল। পাকিস্তান যে বাংলাদেশের গলাটা কামড়ে ধরিয়া রাখিল, বাংলাদেশের তাতে কোন উত্তাপ নাই।

তাহারা দিব্য ছাগলের মত ম্যাতকার করছেন। আর উইকেট হারাচ্ছেন। আর কতই বা উইকেট পাকিস্তানিরা ফেলিবেন? আছেই তো মাত্র দশটা। ২০০৫ সালের জুন মাসের কোন এক তারিখে প্রথম আলোর একটা হেড লাইন দৃষ্টি কাড়িয়াছিল। তাহা হইল, "বাঘের গর্জন শুনেছে বিশ্ব"! আমি আশায় আছি কবে সেদিন আসবে যেদিন পেপারের হেডলাইন হবে "ছাগলের গর্জন শুনেছে বিশ্ব"।

আর কত মারিবে ছাগলকে বাঘ? ছাগলের মান ইজ্জত বলিয়া একটা জিনিস আছে তো! আজ পাকিস্তানের কাছে মার খাচ্ছে, কাল ভারতের কাছেও খাবে। তবে ছাগলকে কেউ না কেউ বাঁচিয়ে দেয় পাঠক। গল্পের সারমর্ম কিন্তু এই। তবে বাংলাদেশকে কে বাঁচাইবে তাহাই প্রশ্ন। এই ফালতু লেখার একটাই মর্মার্থ, "ভাই ক্রিকেট খেলা ছাড়িয়া দিন, ঐ টাকা দিয়ে আশরাফুল-নাফিসরা বিশাল বিশাল ছাগলের খামাড় করিলে দেশের একটা উপকার হয়"।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।