অনুরোধে পড়ে ঢেঁকি গিলার মতো অবস্থা। আজ থেকে বছর দেড়েক আগে আমি একটা নাটকে অভিনয় করেছিলাম। নাটকের আইডিয়া ছিলো- আনিসুল হকের। অতিশয় বিখ্যাত মানুষ। পরিচালক নওরোজ ইমতিয়াজ।
ও তখোন সিএসবিতে। নাটকের পাত্র পাত্রীর সংখ্যা ছিলো- ১৩/১৪ জন। মাত্র ৪ জন ( তৌকীর, বিজরী, ইলোরা, জয়রাজ ) ছাড়া বাকী সবাই আমরা আমরা... আমি, স্বপন, জিয়া ইসলাম, ঝুমুর বারী, পল্লব মোহাইমেন, শাহেদ মোহাম্মদ আলী, বর্ণ, লিথিসহ আরো ২/১ জন। শ্যুটিং স্পট : হৈচৈ, উত্তরা। ৩ দিনের টানা শ্যুটিং....
তো প্রথম দিন শ্যুটিং-এ এসে আমরা তো খুব এক্সাইটেড।
কল দেয়া ছিলো- সকাল ৯ টায়। যথারীতি আমরা ৮ টার মধ্যেই হাজির। স্পটে গিয়ে দেখি বাড়ির কেয়ার টেকার তখনও ঘুম থেকে উঠেনি। আস্তে ধীরে সবাই আসা শুরু করলো... লাইট টাইট সেট করে ক্যামেরা ওপেন করতে করতে বেলা ১১ টা। ক্ষুধায় জান যায় যায় আমাদের।
সকালে কেউ নাস্কা করে আসিনি.... যাই হোক অবশেষে শ্যুটিং শুরু হলো.....
১, ২ করে ১০ / ১২ বার প্রথম শট দেয়া হলো। শট তো আর ওকে হয়না... হিরোর মেজাজ খারাপ। পারলে সব ছেড়ে চলে যায়। পরিচালককে (নওরোজ) ডেকে রীতিমত ধমক দিচ্ছে- তুমি মিয়া, অভিনয়ের স্কুল খুইলা বইছো... আগে কইবা না ? আমরা সবাই তো লজ্জায় মরে যাই। বিশেষ করে শাহেদ।
তার সাথেই তৌকীরের প্রথম শট। আমাদের মধ্যে ওর প্রতিই নওরোজের বেশী আশা ছিলো। আর সে কী না ?? শাহেদকে ডেকে বলা হলো- " কী সমস্যা তোমার ? সামান্য একটা ডায়লগ ! তাও দিতে পারোনা। "
ও যা বললো তার সারমর্ম হচ্ছে- তৌকীর ওর কাছে টাকা লোন চাচ্ছে বন্ধু হিসেবে। নাটকে তুই তোকারি সম্পর্ক।
অথচ জীবনে প্রথমবার ও তৌকীর কে দেখেছে.... কিছুতেই তৌকীর কে তুই করে বলতে পারছেনা....
যাক, অবশেষে অন্য শট দিয়ে নাটকের যাত্রা শুরু হলো। আমরাও অপমানের জ্বালা থেকে আপতত রেহাই পেলাম...
এরপর তৌকীরের সাথে আমার শট.... ঈশ্বর তুমি এ যাত্রা ইজ্জত বাঁচাও.....লাইট, ক্যামেরা, কোয়াইট, রোলিং, একশান......
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।