আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

...অভাগা জনশক্তি...

তিন বছর তিন মাস...অনেক স্মৃতি...

সেই পুরোনো দাস ব্যাবসা! দেশে দেশে চলছে। প্রায় বিনামূল্যে শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে দরিদ্র দেশ থেকে, যাদের আনা হচ্ছে, এমনভাবে বেতন দেয়া হচ্ছে যাতে তারা শুধুমাত্র খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকতে পারে, উদ্বৃত্ত বলে কিছুই থাকছে না হাতে, কি লাভ হচ্ছে এই বেচারা শ্রমিকদের, কি লাভ হচ্ছে একলা পড়ে থাকা স্বজনদের, কি লাভ হচ্ছে দেশের! আদমব্যাবসায়ীরাই শুধু ফুলে ফেঁপে উঠছে! তেলের মুল্যবৃদ্ধিতে স্ফীতমান দুবাই অর্থনীতি, বাড়তি শ্রমচাহিদা মেটাচ্ছে অভিবাসী শ্রমিক উপসাগরীয় অঞ্চলে নিয়োজিত ১৭ মিলিয়ন অভিবাসী শ্রমিকের কোন একজন... তার দুদন্ড জিরিয়ে নেয়া। অভিবাসী শ্রমিকদের আর কখনোই জীবনের সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠা হয়ে ওঠে না... পড়তি ডলারে পাওয়া বেতন ক্রমশই ক্রয়ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। সূর্যতাপ আর উচ্চমূল্যের পানি প্রায়শই কঠিন কর্মপরিবেশকে আরো অসহনীয় করে তোলে, সামান্য বিশ্রামের জন্য তারা এভাবেই লুটিয়ে পড়ে পার্কে। দুবাইয়ের আকাশছোঁয়া দালানগুলি উঠে দাঁড়ায় দক্ষিন এশিয় রক্তজল করা সস্তা ঘামের বিনিময়ে।

দুবাইয়ের ঠিক বাইরেই সোনাপুর লেবার ক্যাম্প: যেখানে শত হাজার শ্রমিকের পুঁতিগন্ধময় আবর্জনা আর মানববর্জ্যের সাথে বসবাস। লেবার ক্যাম্পে মানবেতর পরিবেশে নিজের বাঙ্কের নিচে বসে এক ভারতীয় শ্রমিক। ভিসা-দালাল-টিকেট বাবদ বিশাল ঋনের বোঝা মাথায় নিয়ে শ্রমিকেরা মানবেতর জীবন যাপনে বাধ্য হয়। লেবার ক্যাম্পের বাইরে খাবারের দোকানের সামনে বিশাল লাইন। উচ্চমুল্যের খাবার কিনতেই এদের সামান্য বেতনের বেশিরভাগই বেরিয়ে যায়, দেশে তাকিয়ে থাকা স্বজনের জন্য হাতে থাকে সামান্যই।

দুবাইয়ের আলোকসজ্জার টেনে আনে অনেক শ্রমিককে, আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলে ঋণ, দারিদ্র্য আর মানবেতর পরিবেশে। সৌজন্যে: টাইম Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।