আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আত্ম সাধনার অপরূপ সৃষ্টি দেবী ও কবি।

“প্রতিটি মানুষ সৃষ্টিশীলতার কিছুটা বিকাশ ঘটিয়ে যায়, তার লেখার মধ্য দিয়ে। তেমনি একজন লেখক আমাদের সকলের প্রিয় ব্লগার ডাঃ দাউদ। লেখক হওয়াটাকে তিনি খুব বড় ব্যাপার মনে করেন না গভীর উপলব্ধিবোধ এবং সৌন্দর্যচেতনাকে হৃদয়ে ধারন করেই তা লিখেন। চমৎকার অভিব্যক্তি-গভীর উপলব্ধিবোধ আর সৌন্দর্য বোধ থেকেই তার লেখার ইচ্ছা। মানবচরিত্র কখনো অবিমিশ্র হয় না।

আলো-আঁধার নিয়েই জীবনের খেলা। আর এই আলো-আঁধারির সার্থক রূপকার দেবী ও কবির জনক । জীবন জেনে তার সত্য আর সৌন্দর্যকে উদ্ঘাটিত করার জন্যই দেবী ও কবি কাব্যের সৃষ্টি। প্রেম শাশ্বত। প্রেম পবিত্র।

পবিত্রতার চাদরে একে অন্যের মিলন বিরহের ভাষা পাঠক মাত্রই দোলা দেবে মনে। পৃথিবীতে মানুষ একা আসে, যায় একা কিন্তু এই যাওয়া-আসার মাঝখানে তাকে কারো না কারো সঙ্গ নিতেই হয়। পৃথিবীতে প্রত্যেক মানুষেরই অন্য আরেক মানুষের বন্ধুত্ব লাভ অত্যন্ত জরুরি। বিজ্ঞান বলে এ প্রয়োজন আমাদের জৈবিক প্রয়োজন। যেমন প্রয়োজন খাদ্য গ্রহণ, তৃষ্ণা নিবারণ।

থাকে। মানুষের অবচেতন মনের যে বিচিত্র ধারা, যা সহজে চোখে পড়ে না অথচ বাস্তবেরও অধিক বাস্তব, তা সুস্পষ্টভাবে নিপুণ পরিসরে প্রকাশ পায় তার লেখনীর মাধ্যমে। তিনি সহজ সাবলীল ভাষায় প্রকাশ করেন জীবনের স্বার্থকতা জীবনের উপলব্ধিতে। মৃত্যুগন্ধী সময়ের আবেগই তাঁর কাছে বড় হয়ে ওঠে। তাই তিনি আমার আত্মার আত্মীয় ব্যক্তিগত আত্মার শ্রদ্ধার আসনে আসীন।

কারণ ব্যক্তিগতভাবে আমি তাঁর পাঠক এবং আমরা একই সময়ের মানুষ। তাঁর ভিতর বাহির আমার চেনা জায়গা। তার লেখায় উঠে আসে চেতনা কোনো ছেঁড়া ছেঁড়া টুকরো ব্যাপারও নয়। নদীর পানির মতো তা এক অবিচ্ছিন্ন স্রোত। তাই মানব মনের জটিলতা বা আত্মদ্বন্দ্বকে প্রকাশ করার জন্য পরিবেশ পরিস্থিতিও এখানে বিদ্ধমান।

অস্তিত্বহীন জীবনকে পুঁজি করেই একজন মানুষ অস্তিত্ববান হয়ে উঠে । অস্তিত্ববান মানুষ সবসময়ই মানসিক ও অর্থনৈতিক যন্ত্রণাকে পরিহার করে জীবনকে নদীর স্রোতের মতো গতিময় করতে পারে। তিনি তার লেখার মাধ্যমে বুঝাতে সক্ষম জীবনের স্বার্থকতা জীবনের উপলব্ধিতে। মরণের প্রত্যয় কিংবা ভাবকল্পের মধ্যে একাকার হয়ে যাওয়ায় নয়। ব্যক্তি মানুষ তার সমৃদ্ধ অতীতকে চেতনার ভবিষ্যতের দিকে মেলাতে চায়।

অনেক সময় মেলাতে পারে আবার অনেক সময় ব্যর্থ হয়। প্রেমে যেমন দুই পক্ষের ভূমিকা থাকে, বিচ্ছেদেও থাকে সমান দায়। তিনি একজন রক্ত-মাংসের মানুষ হিসাবে ভালবাসার। আবেগ,ভালোবাসা অনুভূতি ভালবাসা মানবিক মন তুলে ধরেছেন তার কাব্যে। তিনি কাব্যিক ছন্দে তুলে এনেছেন নারী পুরুষ এক দেহে ধারণ করে আবির্ভূত।

আধ্যাত্বিকতার চর্চায় মানবদেহকে ঈশ্বরের আবাস মনে করে দেহ্তত্ত্বে (Physiology) ব্যাপক জ্ঞান অর্জন দ্বারা তার দেবী ও কবি কাব্যের ভান্ডার ভরপুর করেছেন। তিনি আত্ম সাধনার মাধ্যমে যেমন দেহতত্ত্বের সাধনা করেন তেমনি তার কব্যে সেটা তুলে আনার চেষ্টা করেছেন। তিনি দেখাবার চেষ্টা করেছেন দেহ থেকে দেহে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ঈশ্বরের ধারাবাহিকতায় সঙ্গম বা নারী-পুরুষের মিলন সাধনার মূল কেন্দ্রবিন্দু। ডঃ উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের মতে-”কীভাবে পুরূষ-প্রকৃতি বিভক্ত হ’ল এবং কীভাবে দুই দেশে না থেকে একত্রে রইল। পদ্ম কোথায় প্রস্ফুটিত হয়, পদ্ম পুস্পের রসে কীভাবে সাধন হয় এবং সহস্রদল হতে রজঃস্রোতের সঙ্গে রসরাজ লীলা করতে করতে অগ্রসর হয়ে তিন দিন তিন রূপ ধারণ করে শেষে ‘সহজ মানুষ’ রূপে আত্মপ্রকাশ করেন।

তারপর প্রকৃতি-পুরুষের শৃঙ্গার দ্বারা উর্ধ্বগত হয়ে স্বস্থানে যেয়ে যুগল হয়ে নিত্যরস লীলা আস্বাদন করেন- আত্ম সাধনার মূলভাবটি মোটামুটি এর মধ্যে ব্যক্ত। ” এই সব কিছুই কবি ও দেবী কাব্যে সহজ সাবলিল ভাবে ফুটে উঠেছে। লালন যেমন তার গানে কী বলছে - “আমি কী সন্ধানে যাই সেখানে মনের মানুষ যেখানে। আঁধার ঘরে জ্বলছে বাতি দিবা রাতি নাই সেখানে। যেতে পথে কাম নদীতে পারি দিতে ত্রিবিণে (ত্রিবেণী) কত ধনীর ধারা যাচ্ছে মারা পইড়ে নদীর তোড় তুফানে।

রসিক যারা চতুর তারা তারাই নদীর ধারা চিনে উজান তরী যাচ্ছে বেয়ে তারাই স্বরূপ সাধন জানে। লালন বলে মইলাম জ্বলে মইলাম আমি নিশি দিনে আমি মনিহারা ফণির মতো হারা হলাম পিতৃধনে”। তেমনি আত্ম সাধনার কবি ডাঃ দাউদ নারী পুরুষের ভিতরগত রূপ কাব্যিক ভাব ব্যঞ্জনায় পাঠক মহলে তুলে ধরেছেন। মানবমনে নানান ভাবের উদয় হয়। সৃষ্টিশীল মানুষেরা সেই সব ভাবনাকে ভাষার কারুকাজে উপস্থাপন করেন।

তাদের সেই ভাবনার কারুকাজ কবিতা, গল্প, ছড়া, প্রবন্ধ, নিবন্ধ প্রভৃতি অবয়ব পায়। কখনো তুলির আঁচড়ে ভাবগুলো বাগময় হয় ক্যানভাসে। তেমনি ভাবে আরোড়ন তুলে পাঠক মনে। দেবী ও কবি সেই ভাবগুলির অভাব পূরন করবে এটাই আমার বিশ্বাস। ***************************  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।