আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিবাহ সমাচার (পর্ব-১)...উৎসর্গ ড়াশু ভাই ও বিমা ভাই

সকল প্রশংসা মডারেটরদের

ঢাকা শহরের মিরপুরে, ড়াশেদ ওরফে ড়াশু নামক এক প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক বাস করে। ড়াশুর বয়সক্রম ২৫ থেকে ৩০ এর দিকে ধাবিত। এতটুকু বয়সের মধ্যে কয়েকবার বালিকা বিষয়ক ঘটনায় উপর্যুপরি ধরা খাইয়া ,জনগন কর্তৃক কিন্চিত ডলা হজম করিয়া,এখন সে ঘরে শয্যাশায়ী। বৈশাখ মাস। সমস্তদিন প্রচন্ড উত্তাপের পর এখন সন্ধ্যাবেলা একটু শীতল বাতাস বইতে শুরু করেছে।

১নং পঁচা মার্কা স্পন্জের স্যান্ডেল পায়ে দিয়ে,খালি গায়ে ড়াশু তাদের বাড়ির বারান্দায় এসে দাড়াল। বাড়ির চাকর ভিমা একটি চেয়ার এনে দিল। ভিমা অতি ছোট বেলা থেকে ড়াশুদের বাসায় কাজ করে। কাজেকর্মে ভিমার জুরি মেলা ভার যদিও তাহার চরিত্রে কিন্চিৎ দোষ আছে,সুযোগ পেলেই সে লুকিয়ে,লুকিয়ে ড়াশদের হুইস্কির বোতলে মুখ দেয় আর ড়াশুর লুংগীর কোচা হতে খুচরা পয়সা চুরি করে এবং সেই পয়সা দিয়ে মোড়ের লোহালক্করে দোকান থেকে কটকটি কিনে খায়। পয়সা চুরি করে অনেকবার ধরা খাওয়া সত্তেও ড়াশু ভিমা কে তাড়িয়ে দেয়নি কারন এমন আকালের দিনে কাজের মানুষ পাওয়া ভীষন কষ্টের ব্যাপার,তাছাড়া ভিমা, ড়াশুর নারী ঘটিত অনেক গোপন কার্যকালাপের প্রত্যক্ষ সাক্ষী।

এছাড়া, ভিমা নিজেও অনেক সময় পাড়ার অনেক বালিকার সন্ধান তার মালিক কে এনে দিয়েছে। তাই কৃতগ্গতা স্বরুপ হোক আর নিজের কার্যকালাপ ফাঁস হয়ে যাবার ভয়েই হোক ড়াশু, ভিমা কে এখনও তাড়িয়ে দেয়নি। যাই হোক ড়াশু চেয়ারে বসে হাক দিয়ে বললো, "ভিমা- জ্যাক ডেনিয়েলসের বোতলখানার মধ্যে যে কেরুর হুইস্কী ভরে রেখেছিলাম তা কি এখনও বাকী আছে? নিয়ে আয়। " কিছুক্ষন পরে ভিমা একটি কাচের গ্লাসে করে বরফ ও পানি মেশানো কেরুর হুইস্কি এনে দিলো। বাড়িটি ঠিক মেন রাস্তার উপর।

স্থানটা মিরপুর কাচা বাজার হতে কিছু দুরে,সুতরাং একটু নিরিবিলি। কেবল মাঝে মাঝে টিং টিং ঘন্টা বাজিয়ে দুই একটা রিক্সা শব্দ করে যাচ্ছে। রাস্তার মোড়ে একটি শিউলি ফুলের গাছ- তাতে অজস্র সাদা সাদা ফুল ধরেছে। ড়াশু বালিকাদের সাথে দেখা করতে যাবার সময় প্রায়ই এই গাছ হতে ফুল ছিড়িয়া নিয়ে যেত,এতে করে অন্যকিছু কেনার হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যেত, রাস্তার অপর পাশে একটি লাইটপোস্ট মিটিমিটি করে জ্বলার চেষ্টায় রত। ড়াশেদ চেয়ারে বসে আরাম করে বিলাতি বোতলে ভরা কেরুর হুইস্কি পান করতে লাগলো।

এমনি সময় ড়াশু দেখলো তার চাকর ভিমা একখানা কাগজের ঠোংগা হাতে নিয়ে,বাংলা সিনেমার গান ভাজতে ভাজতে,হেলিয়াদুলিয়া আসছে। বারান্দায় আসা মাত্রই ড়াশু,ভিমার লম্বা ঘাড়খানা ক্যাক করে চেপে ধরে বললো, কিরে! ঠোংগায় করে কি কিনে এনেছিস?",ভিমা জবাব দিলো,"কটকটি" ড়াশু রাগে গিয়ে বললো,"টাকা পেলি কোথায়?",প্রতুত্ত্যরে ভিমা কিছু না বলাতে ড়াশু বুঝলো যে ভিমা পুনরায় তার লুংগীর কোচা হতে টাকা চুরি করেছে। ড়াশু,ভিমার গালে বিরাশি সিক্কার এক চড় বসিয়ে দিয়ে বললো, "ইচড়েপাকা,অসভ্য, ভাগ আমার সামনে থেকে"। চড় খেয়ে ভিমা তার ফুচকার মতো গোল গোল দুই চোখ দিয়া অশ্রু ফেলতে ফেলতে বাড়ির ভিতরে ঢুকলো। ড়াশু পুনরায় চেয়ারে বসে টেবিলে কাগজের ঠোংগাটি রাখতে গিয়ে দেখলো, ঠোংগায় একটি বিবাহের বিগ্গাপন দেয়া আছে।

ড়াশু ডান হাতে হুইস্কির গ্লাস আর বা হাতে ঠোংগাটি নিয়ে তার বেডরুমে ঢুকলো। লাইটের সামনে দাড়িয়ে পড়লোbr /> পাত্র চাই বিলাতে বসবাসরতা ষোল বছর বয়সী অতীব সুন্দরী পাত্রীর একজন উচ্চ শিক্ষিত পাত্র চাই। বিয়ের পরে পাত্র কে বিলাতে নিয়ে যাওয়া হব. যোগাযোগ: নাদান, গুলিস্তান সিনেমা হলের পুর্ব পার্শ্বে,মাইনকা চিপার গলি। চলবে.............

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।