আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই মাত্র একটা সমস্যার সমাধান পাইলাম..........

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি

১৯৭৭ - ৭৮ সালের কোন পত্রপত্রিকা যদি দেখার সুযোগ হয় তবে একটা মজার বিষয় লক্ষ্য করবেন। তা হলো ব্যাকেট বন্ধী রাজনৈতিক দল। বঙ্গবন্ধু আর চার নেতার হত্যার পর আওয়ামীলীগ (বাকশাল) ছত্রভঙ্গ - আরেকটা উদীয়মান বড়দল জাসদের নেতা তাহেরকে ফাঁসীতে ঝুলিয়ে মারা আর জাসদ নেতাদের জেলে পাঠিয়ে মোটামুটি জাসদের অগ্রযাত্রা থামিয়ে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান সামরিক গোয়েন্দা আর প্রশাসনের সহায়তায় সকল রাজনৈতিক দল ভেঙ্গে ফেলতে সমর্থ হয়। আওয়ামীলীগ এক পর্যায়ে (মালেক), ( মহিউদ্দিন -রাজ্জাক), (মিজান) আর (ফরিদগাজী) এই চার ভাগে ভাগ হয়ে যায়। ন্যাপ (মোজফ্ফর), ন্যাপ (ভাসানী) নামে বিভক্ত হয়।

জাসদ বাসদে বিভক্ত হয়। এই ভাবে দেখা যায় সকল রাজনৈতিক দল ব্যাকেট বন্ধী হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে জেনারেল জিয়া খালি মাঠে গোল করার মতো জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট থেকে জাগোদল পরে বিএনপি তৈরী করে একক শক্তিশালী দল হিসাবে মঞ্চে আসে। ইতিহাসের চড়াই উতড়াই পাড়ি দিয়ে বিগত টার্মে বিএনপি জামাত আর আমানীর শাসন দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ। সে যাই হোক।

ইতিহাসের নিষ্ঠুরতায় এখন বিশ্ববেহায়ার দলও যখন বিভিন্ন গ্রুপকে একত্রিত করে ব্রাকেট উঠাতে সচেষ্ঠ - তখন বিএনপি অবধারিত ভাবে ব্রাকেট বন্ধী হতে যাচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে। কয়েকদিন যাব খুবই আগ্রহ নিয়ে বাংলাদেশের টিভির টকশো দেখার চেস্টা করছি। রিজভী আহমেদ আর মোফাজ্জল করিমের যুক্তি আর পাল্টা যুক্তি শুনে আমার মতো অনেক আমজনতাই বিভ্রান্ত হবেন। বিএনপির দুইপক্ষই সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে দোষারোপ করছে - কারন তাদের ভাষায় এরা ভুল বিএনপিকে পাত্তা দিচ্ছে। এই সমস্যার সমাধান কি? কিভাবে আসল আর নকল বিএনপি সনাক্ত করা যাবে? এই বিষয়ে কাজের যায়গায় বাঙালী আড্ডায় আলাপ হচ্ছিলো।

সেখানে একজন একটা দরুন সমাধান দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন উদ্যেগী হয়ে এই সমাধানটা করতে হবে। একজন নির্বাচন কমিশনার মিডিয়ার লোকজনদের নিয়ে মগবাজার যাবেন। কিন্তু বিষয়টা হবে গোপনে। সেখান থেকে জামাতে কোন এক মুখপাত্রকে দিয়ে বিএনপির দৃই অংশকেই একই সময় ফোনে দ্রুত জামাতের সাথে ঐক্যের প্রস্তাব দেবে।

শুরু হবে টাইমিং। যেই অংশ জামাতের সাথে নিঃর্শত ঐক্যের আহ্বানে দ্রুত সাড়া দেবে - তাকেই আদি ও অকৃত্রিম বিএনপি হিসাবে ঘোষনা করা হবে এবং সেইই খবর তাৎক্ষনিক ভাবে প্রচার করা হবে যাতে কোন সন্দেহের অবকাশ না থাকে। আপনারর কেমন লাগলো সমাধানটা? আপনার কাছে কোন ভাল সমাধান থাকলে জানাতে পারেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।