আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মিচকা শয়তান!!! (পর্ব-২)

এই পৃথিবীতে শুধুমাত্র দুই রকমের মানুষ আছে। ভালো মানুষ যারা ভালো কাজ করে। আর খারাপ মানুষ যারা খারাপ কাজ করে। এটাই মানুষদের মধ্যে একমাত্র পার্থক্য। আর কোন পার্থক্য নেই... আমি ভাল মানুষ...☺☺☺

আপাতত লিকুইড দিয়েই ওরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলো।

তারপর জেবা একদিন অংক স্যারকে বলল, "স্যার, আজকে শুধু ভেক্টর করাবেন। " অন্য সবাই বলছিলো অন্য অংকের কথা। স্যার ওদের অংক করিয়ে দিয়ে জেবাকে বলল, "এই ভেক্টর, তোমার কিকি অংক বাকি?" ব্যাস পেয়ে গেলো আরেকটা নাম। তারপর থেকে ওর নাম ভেক্টর। আরো নাম খুজছিল রাশেদরা।

রাশেদের বন্ধু সাকিব ছিল একটা জিনিয়াস। সাকিব ভেক্টরের আরেকনাম রাখলো জরজিনা। এটা ছিল জেবার বড় নামের প্রথম অংশ। জরজিনা থেকে হল মর্জিনা। ওকে একজন বলতো মর্জিনা, আরেকজন বলতো ভেক্টর।

ও খুব রাগ করতো। অবশ্য ও যে মাঝেমধ্যে কিছু বলতো না তানা। ও রাশেদের উপরেই কেনযেন ক্ষেপতো। ততদিনে রাশেদও একেবারে দুষ্টের শিরোমণি হয়ে গেছে। যাইহোক মিচকা শয়তান মানে রাশেদকে ও একদিন বলল, "তুমি... তুমিতো একটা হাফলেডিস।

আবার এত কথা বল কেন?" রাশেদ বুদ্ধি করে উত্তর দিল, "থ্যাংক ইউ!!!" এতে জেবার রাগতো কমলোইনা বরং বাড়লো। তারপর ওরা মাঝেমধ্যে অন্য ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের সাথে পড়তে শুরু করলো। অন্য ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের সামনে রাশেদ বেশি একটা দুষ্টামী করতো না। তারপরও জেবা ক্ষ্যাপা ছিল। ও চাইতো অন্য ক্লাসের জুনিয়র ও সিনিয়র ছাত্রছাত্রীদের সামনে রাশেদকে অপমান করতে।

রাশেদের দুষ্টামী এখানে লিমিটে ছিল। লিমিটটা কোনমতেই পার হতো না। রাশেদ চাইতোনা জেবাকে সবার সামনে অপমান করতে। কিন্তু ইটটা মারলে পাটকেলটাতো খেতেই হবে। জেবা সবার সামনে রাশেদকে "হাফলেডিস" বলায় রাশেদও সবার সামনে বলল, "থ্যাংক ইউ ভেক্টর আপু!!!" এবার জেবা স্যারের সামনে বলেছিল।

স্যার বন্ধুসুলভ আচরণ করে সবসময়। তাই সে কিছুই না বলে বালক বালিকাদের ঝগড়া দেখছিল। রাশেদ ভেক্টর বলে সবাইকে শুনিয়ে শুনিয়ে স্যারকে বলল, "স্যার, আমরা ওকে কত নাম দিয়েছি। ভেক্টর, লিকুইড, মর্জিনা। তারপরে আবার বড় একটা নামও দিয়েছি।

জরজিনা বানু মর্জিনা ওরফে ভেক্টর। ও আমাদের উপরে ক্ষেপে আমাদের দুটা নাম দিতেই পারে। আমরা এতে কিছু মনে করবো না। " এতক্ষণে ওর কথা শুনে পুরো ক্লাস হাসিতে ফেটে পড়লো। তা দেখে জেবা আবার বলতে লাগলো, "ঠিকাছে ইন্টারনেট (রাশেদ ইন্টারনেট ব্যবহার করে বলে জেবা তাকে ইন্টারনেট বলল)।

কিছু মনে করা লাগবে না। " তারপর থেকে রাশেদ জেবাকে এড়িয়ে যেতে লাগলো। কখন কি বিপদে পড়ে তা ভেবে। মেয়ে মানুষ। বেশি রাগ করলে কখন খুন-টুন করে বসে।

অলরেজি একবার জেবা শামীমকে স্কেল ছুড়ে মেরেছে। স্টিলের স্কেল। গায়ে লাগলে শামীম এখানেই ফিনিস হয়ে যেত। তাছাড়া দশম শ্রেণীর এক বড়ভাই সেদিন রাশেদকে বলেছে জেবাকে বেশি কিছু না বলতে। সেই ভয়ও একটু আছে।

। । কথা একদম না বলে উপায় ছিল না। দেখা গেল ৪জনের ভিতরে ৩জন বই এনেছে। একটা বই স্যারকে দেয়া হত।

আরেকটা সাকিল আর শামীম নিয়ে নিত। তারপর স্যার রাশেদকে আর জেবাকে বলতো। শেয়ার কর। রাশেদ মাঝেমধ্যে বই জেবাকে দিয়ে দিত। রাশেদ ইংরেজীতে খুব ভাল।

ও ইংরেজী বেশিএকটা পড়তো না। তারপরও রেজাল্ট খুব্ ভাল হত। তারপর এসএসসি পরীক্ষা এল। সবাই পরীক্ষা দিল। জেবা পরীক্ষার কয়েকদিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়লো।

জ্বর হয়েছিল। তাও পরীক্ষার দুইদিন আগে সুস্থ হয়ে ও পরীক্ষা দিল। যথাসময়ে ফলাফল বেরহল। রাশেদ গোল্ডেন এ প্লাস পেল। জেবা আর সাকিল পেল এ প্লাস।

আর শামীম পেল ৪.৯৪। চলবে...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।