আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই মহৌষধ আমি কীরূপে পাই লাম



আমাকে ব্লগাব্লগি করতে পরামর্শ দেবার লোক আশপাশে প্রায় হালিখানেক হয়ে গেছেন এখন। এদের মধ্যে নিপাট ব্লগার আছেন। আবার আছেন যাঁরা প্রাক-ব্লগ যুগেই লেখক/কবি হিসেবে লোকজনের মধ্যে হিংসাত্মক, আই মীন হিংসুটে মনোভাব আনতে-সক্ষম লোক। ফলে এভাবে ভাবা আমার একদমই ঠিক হবে না যে ল্যাজ-কাটা শেয়ালের মতো তাঁরা আমাকে ব্লগাতে বলেন। তাঁদের পরামর্শকে এভাবে দেখা যেতে পারে: আমার মুদ্রণ-সাহিত্যজীবনের পরিণতি তাঁরা দেখে ফেলেছেন এবং ব্লগিংয়ের রাজ্য চিনিয়ে দিয়ে তাঁরা আমাকে দু:খ না-করতে বলছেন।

আমি কেন ব্লগিংয়ে ছিলাম না সেই কাহিনী অত্যন্ত করুণ। এমনকি হাস্যকর। আবার হাস্যকরভাবে করুণ। আমার কম্পুমেশিন এন্তেকাল করবার জন্য গত বহুদিন আমাকে হুমকি দিয়ে আসছে। এখনো যে করেনি সেটা আমার কম্পুমেশিন কিনবার [অ]ক্ষমতার প্রতি এটার দয়া হিসেবেই দেখতে হবে।

যে-কোনোদিন এন্তেকাল করবে এমন একটা কম্পুমেশিনের যা-যা করণীয় তা সবই এটা করে। প্রায়শ:ই এটা কমান্ড খেয়াল করে না। বা যে কমান্ড যখন দিই তখন খেয়াল করে না। অন্যসময় সেটা মনে করে তামিল করার চেষ্টা করে। আমি তো আর আর্মি না যে লাত্থি দিয়ে কাজ করাব।

ভুলে যাওয়া কমান্ড তামিল করবার সময়ে এটা ঝিম মেরে থাকে। সেটা দেখাও এই জমানার একটা মানুষ হিসেবে আমার জন্য কষ্টের। কম্পু্টার নির্যাতন বিরোধী কোনো এনজিও থাকলে আমাকে ধরে নিয়ে যাবে। কিন্তু ঝিম মেরেই এটা থেমে থাকে না। এতক্ষণ ঝিম মেরে থাকার ক্লান্তিতে এরপর এটা ঘুমিয়ে পড়ে।

বলাই বাহুল্য এর আগে হয়ে থাকা কাজগুলো বেবাক ভুলে গিয়ে। এরকম একটা পরিস্থিতিতে নয়া মাধ্যমে এটাকে অভ্যস্ত করতে কার সাহসে কুলাবে?! এই কাহিনীর অধিকন্তু আরও কাহিনী আছে। দৈনিকে লেখালেখি কেউ কখনো চান না আমার কাছে। অথচ আমার নিজেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লেখক ভাবার অভ্যাস। এতটাই যে আর ক'দিন পরেই দৈনিকে লেখার ব্যস্ততা হবে এই দুর্ভাবনায় সময় বাঁচিয়ে রাখতে হয় আমাকে।

এভাবে ভাবতে ভাবতে ব্লগে লেখার সময় আর হয়েই ওঠে না। তারপরও উৎসাহী একজনকে আমি বলেছিলাম যে আমাকে ব্লগে লেখাতে হলে জাতীয় বা বিজাতীয় কোনো দৈনিকে বিজ্ঞাপন দিয়ে সেই খবর প্রচার করতে হবে। সেই উৎসাহী লোক সত্যি সত্যি সেই উদ্যোগও নিয়েছিলেন। ভয়ে আমার রক্ত হিম হবার দশা। এদিকে আমার হাতে রুজি অরুজি মেলারকম কাজ জমে গেছে।

প্রতিদিন রাতের শেষের দিকে আমি ঘুমোবার সময়ে পরদিন সেটা করব বলে প্রতিজ্ঞা করি। এটা প্রায় রুটিনের মতোই হয়ে গেছে। রুটিনটা আমি আর ভাঙি না। রুটিনটা না-ভাঙার স্বার্থে প্রতিদিনই আমার কোনো-না-কোনো অকাজ বের করতেই হয় যাতে ওইদিন মধ্যরাত পর্যন্ত আমি ব্যাতিব্যস্ত থাকতে পারি। আজ সেভাবেই ব্লগের কাছে আসা।

উসিলা তাহমিমা আনাম .. অমিতাভ ঘোষ .. আসলে রাইসু। এ বড় যন্ত্রণা! কার জায়গা, কীভাবে পাই, কেন মাঙনা জায়গা ডিজিটালি লোকজন দেয় সেসব রহস্য ভেদ না-করেই ইয়াহু! হয়ে রইলাম এতদিন। আবার লোকজনের উস্কানিতে নতুন এক ডিজিটাল জমি মাঙনা নিয়ে বাংলা লেখা শুরু করলাম। কে জানে! হয়তো অজ্ঞাত ও রহস্যময় এইসব মাঙনা জমিতেই আমার লেখকজীবন সমাধিস্থ হবে!


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।