আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুন পথে যাবো আমি কুনটা আমার পথ-১৫

আমার মৃত্যু যেন আমার সকল ইচ্ছা পূরণের পর হয়

রাত ১টা। ছেফালীর সাথে মধুময় সময় কাটাচ্ছিলাম স্বপ্নে! হঠাত করে মরার কোকিলা বাইজা উঠলো। হাতাইতে গিয়া দেহি বন্দু বেলাল এর ফুন। হালারপুতে ফুন ধইরা কয় "দুস্ত আমি শেষ, আমার বউয়ের ডিলিভারী, তুই জলদি আয়" আবে হালায় তুর বউয়ের ডিলিভারী আমি কি করতাম? বাচ্ছা পয়দা করবা তুমি আর আমি সামলামু! যা বেডা দুরে গিয়া মর! কিন্তু বেলু এতো সহজে আমারে ছারবোনা। হালায় কাইন্দা দিলো।

রাত ২টা। ট্যাস্কি কইরা গেলাম হাসপাতাল। দেহি হালায় পাইচারী করতাছে। আর কতগুলা বেডা তার লগে খারাই রইচে। আমারে দেইক্যা বেলু জরাইয়া ধইরা কান্দলো।

আমি কইলাম আবে হালা তুর বউ বাচ্ছা দিবো আর তুই কান্দতাচোস? আসলে বেলুর বয়স মাত্র ২২। ২১ এ বিয়া করচে। মজা করতে গিয়া বউয়ের পেটে বাচ্চা আইয়া পরছে। তার বউকে নিয়া এ পর্বে আলোচনা না করা উচিত। উনি সর্ম্পকে ভাবী।

আর ভাবী মায়ের সমান হয়। রাত ২:৪৫। ডাক্তার সাব আইলো। বেলুর বউয়ের রক্ত দেওন লাগবো। রক্ত দেবার কতা হুইনা আমি পলানির চেস্টা করলাম।

কিন্তু বেলু আবার কাইন্দা কাইটা কয় দুস্ত চল না। পরে রক্ত টেস্ট করলো। মরার এতো লুক থাকতে আমারটার লগেই ওর বউয়ের রক্তের গ্রুপ মিলচে। কিচু করার নাই বেলু আমার দিকে দুধপিতা বাচ্চার মত চাইয়া রইলো। গেলাম রক্ত দিতে।

নার্স আপা কয় আপনে রক্ত দিবেন? আমি কইলাম কেন? (হালার বেটি আমার টিকটিকি শরীর দেইকা আমারে ইনসাল্ট করচে)। বেটি হাইসা কয় শুইয়া পরেন। এর পর একটা শুই আমার হাতের মইধ্য ঢুকাইতেই আমার গলা ফাইটা চিতকার আইতাচিল। মাগার কিচু করার নাই। ব্যাগের সাইচ দেইকা মনে হইলো আজ আমার শরীরের সব রক্ত এই ব্যঅগ ই লইয়া লইবো।

রাত ৩টা। রক্ত দিবার পর মাতাটা ভন ভন করতাচে। বাইরে গিয়া একটু ঠান্ডা হাওয়ায় একটা সিগারেট ধরাইলাম। আর দোকান ধেইকা এক কাপ চা। দোকানদার ব্যাডা ভালো আছে।

হাদীসের বই পরতাছিল। পাশে তার নাতী ঝিমাইতেছিল। হালার পেন্টের তলাডা ফুটা। হা হা হা। মাগার ও কইতে আরতো না।

আকেরটা সিগারেট ধরাইলাম। পরে আস্তে আস্তে হাসপাতালের দিকে আইলাম। রাত ৩:২০। হাসপাতাল ঠান্ডা। সবার চুক লাল বাত্তি দিকে।

কখন সবুজ হইবো। কিন্তু বেলুর বউয়ের বয়স কম। মাত্র ১৯। এই বয়সে নানা ধরনের সমস্যা হইতে আরে। কিন্তু বুঝলাম না বেলু না হয় হাবা।

কিন্তু ওর বউ কেমনে বাচ্চা নিয়া নিল। মাতায় আইতাচে না। যাউকগ্গা ভাবী মায়ের সমান। আমি বেশি কতা বলবো না। রাত ৪:৪৭।

ডাক্তারের আগমন। পেছনের সিন টা বলে নেই। বেলু চেয়ারে কাইত হইয়া ঘুমায়। বাকী লুক রা কেউ বাসায় গেছেগা বা কেউ বাইরে আচে। ওই অবস্থায় আমি বেলু আর বেলুর মামা চিলাম।

আমি ও.টি রুমের বাইরে পাইচারী করতেচিলাম বেলুর মতন। ডাক্তার হাসি মুকে আমার দিকে আগাইয়া আসলো। আর আমারে জুর কইরা জরাইয়া ধরলো। কনগ্রেস ম্যান। মেয়ে হয়েছে।

আমার মাতায় যেন কেডা এই মাত্র একটা কাচের বোতুল ভাঙ্গলো। আমি কইলাম না না আসলে ... ডাক্তারে কয় ২য় বাচ্ছা নেবার সময় অনেক ক্যায়ারফুল থাকতে হবে। বেলু তকোনো ঘুমে। আর বেলুর মামা আমার দিকে তার সন্দেহের চুক দিয়া চাইয়া রইচে। (বেলু হাবা গোবা, তাই তার মামার সন্দেহটা আমার উপর হতেই পারে ) সকাল ৯:৩০।

আমি গভীর ঘুমে নিজ বিচানায়। কারন আর বেশিক্ষন থাকলে বেলু ঠিকই আমার ডি.এন. এ টেস্ট করিয়ে চারতো। আবারো বেলুর ফুন। কিন্তু আমি ধরার সাহস পাইনা। ৯:৪৫ আবারো বেলু।

৯:৫০ আবারো বেলু। ৯:৫২ বেলু। ৯:৫৫ বেলু। ৯:৫৯ বেলু। সকাল ১১টা।

বন্দু কবিরের ফুন। ধরতেই ওর গালিগালাজ। কি হইচে। কবির কয় বউ বাচ্চা হাসপাতালে ফালাইয়া তুমি কই মামা? অনেকটা রাগে কইলাম তুর সক হইলে তুই যাইয়া ছারাইয়া আন! পরে কবির কইলো দুস্ত হাসপাতালে গিয়া একটা সাইন কইরা আয় আর ডাক্তাররে তুর চেহারাটা দেকাইয়া আয়। আর বেলু থানা হাজতে।

জিগাইতে কইলো ডাক্তার যকন সকালে আইচে আর বেলুরে দেকছে তকন নাকি কইচে এ তো বাচ্চার বাপ না। বাচ্চা র বাপরে ডাকেন? আর বেলু মাতা গরম কইরা ডাক্তাররে থাপ্পর লাগাইয়া দিচে। তকন ডাক্তার পুলিশ ডাইকা বেলুরে বাচ্ছা ছিনতাইকারী কইয়া পুলিশে দিয়া দিচে। আমার আর কুনু কিচু বলার নাই। কারন ভাবী মায়ের সমান আর বন্দু কাম ভাই বাপের সমান।

তাই আমি কিচু বললো না। দুপুর ১টা। আমি থানার দিকে যাইতেচে। কিন্তু ভাবতাচি আগে হাসপাতালে গিয়া ডাক্তাররে মুক বদন দেকাইয়া মামলা ঠান্ডা করি। বেলুরে নাহয় পরে থানার থেকে বাহির করন যাইবো।

হালার পুত ভুদাই। থাক কিচুদিন থানায় পরে জেল হাজতে গিয়া কিচু কিলগুতা খাইয়া আসুক। পর্ব শেষ। (যারা বিরক্ত হইচেন তাদের কাচে আমি বিনীত ক্ষমা প্রার্থী)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।