আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কী যুগ পড়লো , চোরের হইছে বড়ো গলা (!)

আমি মুরুব্বি মানুষ, একটু সম্মান কইরা কথা কইয়েন!

এক মহল্লায় কয়েকঘর মানুষ ছিল । মানুষ থাকলে সেইখানে দুষ্ট পুলাপানও থাকবে । তেমনই দুষ্ট পুলাপান সেইখানে রকে বইসা আড্ডা মারে । দিনের বেলায় কাজকর্ম থাকে তাই তাগো আড্ডার কাম বেশিরভাগ সময়েই হয় রাইতের বেলা । তখন তারা কোন ধাড়ি ছাগলের মাংস দিয়া পেটপুজা করে ।

সেই মহল্লায় এক তিনচাইরজন সুশীল ছিল । একজনের নাম খউশিক । সে এমুনই সুশীল যে মহল্লার বিচার সালিশে তারে পাওয়া যায় না , যখন মহল্লায় ঝামেলা বান্ধে তখন সে সেই ঝামেলারে অন্যখাতে নিবার জন্য নিজের ছাদে দাড়াইয়া উল্টাপাল্টা চিক্কুর দেয় । সেই সুশীলের আরো কিছু দুস্ত আছিল , ধরা যাক সেই সুশীলদের নাম "আহা" আর "ফাকী" । তিন সুশীলে মিইলা একবার ফন্দি করে মহল্লার মাইনষের ঘরের জানালা ভাইঙ্গা ঘরে ঘরে প্রবেশ কইরা মূল্যবান জিনিষ হাতাইয়া নিয়া সেইগুলা দিয়া দোকান দিবে ।

যেই ভাবা সেই কাজ । একে একে বহু বাড়িতে সিধঁ কাটে তারা । তারপর সেইগুলা নিয়া সাজাইয়া রাখে পাশের একটা মেলায় । এই দিকে হইছে কি ঐ যে মহল্লার দুষ্ট পুলাপানের কথা কইছিলাম , তারা তো সারারাত জাইগা থাকে , তারা শুরু করছে হাউকাউ । খাইছে , এ যে দেখি সুশীলরাও চুরিতে নাইমা গেছে গা ।

তাগো চিৎকার দেইখা পাবলিকেও চিৎকার করে । তখন ছোট সুশীলরা আইসা গালি দিয়া কয় , মহল্লার যতো বাড়িতে যতো সম্পদ আছে , সরকার চাইলে যেকোন সময় সেইগুলান বাজেয়াপ্ত করতে পারে । সরকার আমাদের কইয়া দিছে বাজেয়াপ্ত করতে তাই সেইগুলান বাজেয়াপ্ত করা হইছে , এই জন্য আলাদা কইরা ঘরের মালিকের অনুমতি নেই নাই । পুলাপানে কয় , ভোদাই পাইছ নি ? তুমরা তো সরকার না , তুমরা বাজেয়াপ্ত করার কে ? দেখি , সরকারের পারমিশন দেখাও , তারপর সরকারের একদিন কি আমগো একদিন । তখন বড়ো সুশীল দেখে এই তো বড়ো ঝামেলা বিষয় ।

সে তখন পাগলের ভুমিকায় অভিনয় করে । অবিরাম খিস্তিখেউড় দিয়া মহল্লারে অস্থির কইরা লায় । পাবলিকে কয় , ইশ এই বেচারার তো মানসিক ভারসাম্য নাই , এরে ছাইড়া দেও । সেই বড়ো সুশীল তখন "আর তোগো উঠানে আমু না " কইয়া নিজের ঘরে দরজা দিয়া গিয়া শুইয়া পড়ে । কিন্তু ঘটনা এখানেই শেষ না ।

বড়ো সুশীল শুইলে কি হবে , চুরির জন্য সিধঁকাটির খরচ দিছিল ছোট দুই সুশীল "ফাকী" আর "আহা" । তারা দেখে তাগো তো সিধকাটির খর্চাই উঠে না । তাগো তখন ভীষন রাগ হয় , তারা মনের দূ:খে সেই দুষ্ট পুলাপানের পেছনে লাগে । আইজ আইয়া "ফাকী" গাইল দেয় বান্দর কইয়া তো কাইল আইয়া "আহা" গাইল দেয় "লালু-ভুলু কুত্তা " কইয়া । পাবলিকে দেখে আর হাসে ।

সম্পত্তি পাহারা দিবার কুত্তা হইতে পারলেও মন্দ না , তবু তো চোরের হাত থাইকা সম্পদ রক্ষা করা যায় । "ফাকী" আর "আহা" র চিৎকার শুইনা এক মুরুব্বি মাইনষে মহল্লার পুলাপানগো কয় -তোরা দেখলি তো , মুরুব্বির কথাই সত্য হইছে । আগে ছিল চোরের মায়ের বড়ো গলা , এখন চোরেরা নিজেরাই বড়ো গলায় কথা কওয়া শিইখা গেছে ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।