আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নীল জলরাশির রঙরূপ

যেতে হবে বহুদূর

চট্টগ্রামে থেকেও ফয়’স লেক যাওয়া হয়নি কমপক্ষে চার বছর। অসাধারণ হ্রদটি বেসরকারিখাতে যাওয়ার পর কেন যেন মনে কিছুটা ক্ষোভ জন্মেছিল। কনকর্ড গ্রুপ যখন হ্রদ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পেল, তখনই বুঝেছি ওটা হবে উচ্চবিত্তের বিনোদন কেন্দ্র। নিম্নবিত্ত তো নয়ই, নিম্নমধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্তেরও হয়তো সেখানে প্রবেশের সুযোগ থাকবে না। আমি নিজে উচ্চবিত্ত নই, তারপরও কয়েকদিন আগে যেতেই হল ফয়’স লেকে।

কনকর্ডের সন্দেহজনক আমন্ত্রণ উপেক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তবে সবকিছু দেখে আমার মনে হয়েছে, প্রকৃতির দান আর অত্যাধুনিক প্রযুক্তির স্পর্শে ফয়’স লেক এখন সত্যিই বদলে গেছে। স্বচ্ছ নীল জলরাশির বুকে ইঞ্জিনের নৌকায় চড়ে সবুজ অরণ্যের শিহরণ জাগানো নীরবতা যেখানে হাতছানি দিয়ে ডাকে, সেই ফয়’স লেক এখন সত্যিই সুন্দর। রূপ হারাতে বসা ফয়’স লেক সেজেছে অপরূপা হয়ে। পাহাড়ঘেরা সবুজ বনানী আর স্বছ লেক নিয়েই জন্ম হয়েছিল ফয়’স লেকের।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার এই স্তম্ভটি যে প্রকৃতিপ্রেমীদের কোনো সময় কাছে টানবে- একথা বুঝতে পেরেছিল খোদ ব্রিটিশরাই। পরিকল্পনা অনুযায়ী পূর্বাঞ্চলের পাহাড়তলীতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাস, অফিস ভবন, সরকারি দপ্তরগুলোতে পানি সরবরাহের জন্য বাঁধ দিয়ে পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে সৃষ্টি করা হয় এই হ্রদ। আশপাশের ছোট ছোট ছড়া আর বৃষ্টির পানিও সেখানে জমতো। চিরপরিচিত ফয়’স লেক এখন কনকর্ড অ্যামিউজমেন্ট ওয়ার্ল্ড হিসেবে নাম কুড়োচ্ছে দেশে-বিদেশে। আনন্দ উপভোগের জন্য সংযোজন করা হয়েছে শতাধিক রাইড।

পাহাড়ের খাঁজ বেয়ে লেকের পাড় ধরে অরণ্যে বেড়ানোর রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতাটিও সঞ্চয় করা যাচ্ছে এখান থেকে। ব্যাটারিচালিত বোটে চড়ে লেকের স্বছ নীল জলে পথ পাড়ি দেয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। আছে পারিবারিক বিনোদনের সব আয়োজনই। শুনেছি, লেক এলাকার এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে যাতায়াতের জন্য সংযোজন করা হচ্ছে অত্যাধুনিক ক্যাবল কার। ইতিমধ্যে পর্যটকদের থাকার জন্য তৈরি করা হয়েছে বিলাসবহুল রিসোর্ট।

ওদিকে 'ওয়াটার পার্ক সি ওয়ার্ল্ড’ ফয়’স লেকের মাঝে অন্য আরেক ভুবন। ফ্যামিলি পুল, ওয়াটার ফল, প্লে জোন, ওয়েভপুল, স্লাইড ওয়ার্ল্ড- সব রাইডের নামও মনে নেই এখন। পোস্টটি একইসঙ্গে প্রিয় চট্টগ্রামেও প্রকাশ পেল। মুক্ত লাইসেন্সের আওতায় ছবিগুলো (নির্লজ্জ আত্মপ্রচারের ছবিটি ছাড়া) যাবে উইকিপিডিয়ায়।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।