আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুন পথে যাবো আমি কুনটা আমার পথ-১৪

আমার মৃত্যু যেন আমার সকল ইচ্ছা পূরণের পর হয়

সংসার শব্দের খাঁটি বিশ্লেষন হলো এই রুপ:- সং অর্থ হইল ভং ধরা আর, সার অর্থ হইল নিজেরে বিলায়ে দেওয়া তাইলে এর পুরা মানে হইল, ভং ধইরা নিজেরে বিলাইয়া দেওন। বিয়ার পরে সব পুরুষ মায়ের আঁচল ছাইরা বউয়ের আঁচল ধরে। বউ যেমনে কয় হেমনে চলে। বউয়ে রাত দুপুরে যদি কয় এহন দিন তাইলে কইতে হইব দিন, এই রকম আর কি। যাউগ্গা আমার বিশ্লেষন হইল অন্যটা।

যেহেতু অবিবাহিত এবং কোন র্গাল ফ্রেন্ড নাই তাই কিভাবে এর সাথে সংসার করে আসছি তারই বিশ্লেষন করার ইচ্চা পোষন করেই এই পোষ্টটা ঝেড়ে দিলাম। কম্পিউটারের লগে আমার দেহা হইছিল ৯৬ সনে বাপের অফিসে দেইখা এর সাথে প্রথম প্রেমে পড়ছিলাম। সে কি জল্পনা কল্পনা ওরে লইয়া, ডেইলি চইলা যাইতাম বাপের অফিসে তারে একটু দেখার লাইগা, তারে একটু ছোয়াঁর লাইগা। সে কি মজা লাগত। রাইতে ঘুম আইত না, শুদু তারেই ভাবতাম।

কিভাবে টিপি দিলে এইডা খুইলা যায়, কোনটায় দুইবার গুতা মারলে এটা ফরফর কইরা নিজেরে মেইলা ধরে আরো কত কি। যাই হোক ডেইলি ডেইলি করতে করতে ৪ বছর ধইরা খালি ওরে ছুইলাম কিন্তু আপনা সাধটা পাইলাম না, কারন ও যে তখন আমার ছিলনা। পরে অনেক কষ্টে বাপেরে রাজি করাইয়া ওরে কিনলাম, বাপে মায়েরে কইল, এইবার দেখবা তোমার পোলা কারাপ হয় কেমনে, মায়ে কয় পোলা এইডা ধইরা ধইরা অনেক কিছু শিখবার পারব। কারন মায়েরে বুজাইছিলাম ওর উপকারিতা কি কি!!! যেদিন রাতে ওকে পেলাম সেদিন রাতে আর ঘুমালামনা, সারারাত ওকে নিয়েই পড়ে থাকলাম। কত যে টিপাটিপি করলাম।

কত কিছুইনা করলাম, একবার এখানে যাই একবার ওখানে যাই, আরো কত কি!!! একটু ঘুমিয়ে আবার সকালে উঠেই ওকে নিয়ে শুরু হয়ে গেলাম। ও খুব ভাল যাই করি না কেন কিছুই বলেনা। আজব!!! বন্ধুদের মাঝে ছড়িয়ে গেল আমার সাথে ওর এই সর্ম্পকের কথা, সবাই আমাকে নিয়ে অনেক হাসাহাসি করল, আমি পাওা দেইনা। পরে আবার ওর কাছেই ফিরে আসি। মন খারাপ হলেই ওর সাথে একসাথে গানশুনি, মুভি দেখি।

একদিন এক বন্ধু বল্ল দোস্ত তোরে একটা জিনিস দিমু যখন একলা থাকবি তখন দেখবি, আমি অবাক হইয়া জিগাইলাম কি? ও কয় 'গরম মসল্লা' আমি কই ওইডা ত তরকারী রানতে দেয়, ওইডা দিয়া আমি কি করুম। বন্ধু কয় আরে বুদ্ধু আগে দেখ পরে বুঝবি। যাই হোক বন্ধুর মন রক্ষা করতে জিনিসটা নিলাম, আরে এইডা ত দেহি একটা সি.ডি.। যাই হোক চালানির লগে লগে দেহি কি সব নৃত্য, আর ডলাডলি। বমি চইলা আইল, বাথরুমে যাইয়া লগে লগে ছাইরা দিলাম।

পরে হারারাইত মাথাঠা ভন ভন কইরা ঘুরল। সকালে উঠতে না উঠতে বন্ধুর কাছে গেলাম, গিয়া কাহীনি কইলাম, বন্ধু ত হাসতে হাসতে শেষ, পরে কয় আইচ্ছা এবার এইডা লইয়া যায়, এই কথা কইয়া আরেকটা সি,ডি দিল আবার একলা হইয়া সি.ডি টা ছারলাম, ওমা এবার দিহি দুইডা বিদেশী বেডা বেডী কি সব কান্ড র্কীতি করতাছে, আজব কথা হইল এইবার আর মাথা ঘুরাইল না, পুরা শরীরে একটা উওজনা আইয়া পড়ল, উওজনা থামাইতে বাথরুমে ঠিকই গেছি তয় বমি করতে না, বিশেষ কায়দায় উওজনা কমাইতে। আস্তে আস্তে ওর লগে আমি রাত ভর এই সব দেইখা বেরাই। আর মাঝে মাঝে উওজনা কমাই। এভাবেই চল্ল ৬ বছর।

ওর লগে আমার সংসার জীবন চল্ল, অনেকটা বোরিং হইয়া গেছিলাম, পরে এক বন্ধুরে এই কথা কইলাম, বন্ধু একটা ওয়েব ঠিকানা দিল, আমি কইলাম এইডা দিয়া কি হইব? ও কইল আরে ম্যান মাঝে মাঝে কবিতা টবিতা আইলে লেইখা ছাইরা দিস, আর আজাইরা টাইম পাইলে গেজাইস। আমি মনে মনে কইলাম কি আর করা এইডাই করি, শেষে হান্দাইয়া গেলাম, আরে লগে ওরে নিলাম, অবশ্য ওরে না নিলে এটা সম্ভব না। ভালই চল্ল ৫ মাস, পরে দেহি এর উল্টা রুপ, অন্য সংসারীরা দেহি ঝগড়া লাইগা যায় মাঝে মাঝে আর বাজে বাজে অনেকটা 'গরম মসল্লা'র মত পোষ্ট দেয়, যা পইড়া নিজের গিন্না লাগে, বমি চইলা আসে, গালি হুনলে মনে হয় আমি বস্তির লগে দিয়া হাইটা যাইতেছি। এহন আমি কই যাই কারে কই মনের কথা। যাই হোক আগেই কইয়া দিছি সংসার মানে কি, সুতরাং এহন ডির্ভোস দেয়া ছাড়া আর কোন উপায় নাই, না জানি কত ট্যাকা কাবিনের খরচ উঠাইতে হইব??? যাউগ্গা আর কি সংসার যেখানে যেমন, কি আর করা যাইব।

তবে একটা কাম করন যায়, যত নষ্টের মুল হইল শালা কম্পিউটার, এইডারে আগে তালাক দিতে পারলে একটু দু:খটা কমতো। যা দিলাম তোরে তালাক ১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯,১০, ৯০,৯২,৯৫,৯৭,৯৯,১০০ তালাক। যা বান্দীর বাচ্ছা বাইর হহহহ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।