আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক এ ক্রিকেট, ক এ কর্মকর্তা আর ক এ ক্রিকেটার

i`m what i`m. তিন ক। কত মাধুর্য। বাংলাদেশের স্বপ্ন এবং এই তিন ক যেনো মিলেমিশে একাকার। গর্বের আধার এই ক। ক্রিকেট বোর্ড চালায় কর্তারা।

ক্রিকেট খেলেন ক্রিকেটাররা। আর এই ক্রিকেটকে ঘিরেই বাঙ্গালির নিত্য স্বপ্নের সঙ্গে হাত ধরাধরি করে চলা। সহসাই সেই স্বপ্নের ঘরে হানা দিয়েছে সংগঠক তথা ক্রিকেট কর্তাদের সঙ্গে ক্রিকেটারদের মানসিক দ্বন্দ্ব। ক্রিকেট বোর্ডের কর্তৃত্ব নিয়ে কথা কাটাকাটি। এখানেও ক।

কত ক! ক এর ছড়াছড়ি! আরো একটা ক। এবার কোর্ট। বিসিবির গঠনতন্ত্র নিয়ে আদালতের লড়াই চলছে। ৭ ফেব্রুয়ারি রায় হওয়ার কথা। তারপর? এরপর বিসিবির বর্তমান অ্যাডহক কমিটির দীর্ঘস্থায়িত্ব নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠবে।

কারণ বাংলাদেশে কোন কিছু নিয়ে কোর্টে গেলে সেটা তো ঝুলবেই। অথচ জুনের মধ্যে আইসিসির বাধ্যবাধকতার জন্য বিসিবির নির্বাচিত নির্বাহী কমিটির হাতে তুলে দিতে হবে। যাতে নির্বাচনটা অসম্ভ্যাবী। কিন্তু ঢাক-ঢোল বেজে ওঠার মূহুর্তগুলো দূর থেকে আরো দূরে চলে যাচ্ছে বিসিবির। কর্তাদের টাকা প্রীতি নিয়ে ক্রিকেটাররা এতোদিন গণমাধ্যম গরম করেছেন।

সাবেক ক্রিকেটারদের প্রতিনিধিত্ব বিসিবিতে বাড়ানোর জন্য গঠনতন্ত্রে ব্যাপক পরিবর্তন করে সেটা এখন কোর্টে ঝুলছে। কর্তারা আগে থেকেই বলে আসছিলেন সাবেকরা যদি এতোটাই ক্রিকেট দরদী হবে তবে প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট ক্লাবগুলোতে গিয়ে নিজে দায়িত্ব নিয়ে দশজন ক্রিকেটারকে গড়ে তুলুন না! টাকা না দিলে তারা কোথাও যেতে চান না! এমন অভিযোগের পাতে আরো উপকরণ তুলে দিয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। যিনি চিটাগাং কিংসের বেশি টাকার হেড কোচের প্রস্তাবটা ঠেলতে না পেরে বিসিবির অ্যাডহক কমিটির পরিচালকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তিনি তো তাও পদত্যাগ করেছেন অলঙ্কৃত এক পদ থেকে। বরিশাল বার্নার্সের সঙ্গে কাজ করবেন এ জন্য সেই ২০০৫ থেকে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সে কাজ করে আসা অনুধ্ব ১৯ দলের সাবেক অধিনায়কও যখন চাকরিটা ছেড়ে দেন তখন সংগঠকদের ব্যাঙ্গোক্তিকে হাল্কাভাবে নেয়ার উপায় থাকে না্।

কিন্তু কর্মকর্তারাও বোধহয় ভুলে যান অলক্ষ্যে তারাও এইসব সাবেকদের জায়গা করে দেয়ার জায়গাটা না করায় বিপত্তি। ক্রিকেট নিরাপদ পেশার এই ফাকা বুলিটা এই দুই সাবেক বাস্তবতার খাতায় মেলাতে পারেননি। একটি ই গভার্নেন্স চালিত বিসিবির ছেদো কথার ছাদহীন তল্লাট থেকে তা্ই এদের সরবে বা নীরবে প্রস্থান। এর দায় কর্তাদেরও নিতে হবে। কিন্তু এই ঝুঁকি পূর্ণ অবস্থার জন্য কোর্ট পর্যন্ত দৌড়াদৌড়ি।

ক্রিকেটে ক`র ছড়াছড়ি। একটা ক কি যোগ বা বিয়োগ করার ব্যবস্থা করা যায় না? হয় ক্লাস বন্ধ করুন নয় ক্রিকেট। কোর্টের দরজা কখনোই সুস্থ ক্রিকেট কালচারের পরিচায়ক নয়। ওই যা, আরো একটা ক চলে এলো! ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।