আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুন পথে যাবো আমি কুনটা আমার পথ-১৩

আমার মৃত্যু যেন আমার সকল ইচ্ছা পূরণের পর হয়

আমাদের আবুল কাহা.... বড়ই ভালা মানুষ। পুরা মাথায় তিনটা চুল নিয়া ঘুরে আর মুক বদন তার সব সময় পেঁচার মত থাকে। বেচারা আমাগো একদম সহ্য করতে পারতো না। আমাগো দেকলেই খাইয়া ফালামু ভাবে চাইতো। আমরা প্রথম প্রথম একটু কেয়ার করতাম মাগার এহন তারে টাইম ই দেই না।

আবুল কাহা কুন অফিসে জানি বড় অফিসার.... মোটা ট্যাকা বেতন.....। উনার বউ মাশাল্লা একদম লাল টমুটু। আবুল কাহার তিন তিন টা সুন্দরী কইন্যা আছে। মাশাল্লা তারা মায়েরে ছারাইয়া এতই সুন্দরী হইছে বলার মত না..... বুড়া, জোয়ান, শিশু থেকে সবাই তাদের চায়....! রাস্তা দিয়ে হেটে গেলে রিস্কা ওয়ালাদের লাইন লাইগা যায়... আর আমরা রোইদের মইধ্য পুইরা অঙ্গ জালাই। আবুল কাহা মুলত এই কারনে আমাগো দেকতে পারে না।

তার বাসা ছিল দুইতালায় আর ঠিক নিচেই আমরা কাশেমের দোকানে বইসা আড্ডা বাজী করতাম। জানালার পাশেই তাঁর সুন্দরী তিন কইন্যার পড়ার রুম ছিলো তারা পড়তো আর আমরা সন্ধ্যাকালীন স্বপ্নে তাদের নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। একদা সন্ধ্যাকালীন আড্ডায় সিগারেট আর ডাইল চায়ের সাথে বসে দুইতলার পর্দার সুক্ষ ফাঁক দিয়ে তাদের দেখার অপচেস্টা করছিলাম.... এইদিকে কোথথেকে জানি পুলিশের গাড়ী সাই সাই করে এসে যাকে পাইলো তাগো সবাইরে ধইরা গাড়ীত উঠাইলো। আমার বন্ধু কি হইছে জিগাইতেই একটা বন চটকানা পড়লো.....। ফাঁড়ীতে নিয়া গেল, ওমা সেখানে দেকি ডাইলখোর স্বপন ঝিমাইতেছে, আমারে দেইক্যা কয় মামা পুরা পানখা.... হালার পুতে ফাঁড়ীর মইধ্য আইয়া রংবাজী করতাছে।

দুইঘন্টা পর এক হাবিলদার আইয়া কয় আবুল সাহেবের মাইয়ারে কে প্রেম পত্র দিছে? আমি ত হুইনা টাস্কি! হঠাত ফুন...... হাবিলদার কয় সার কুন পোলাঠা চিঠি দিছে..... তার পর হাবিলদার আমার দিকে চোক তাকাইলো আর ফুনটা পকেটে ভরলো। আমার তো জান প্রায় শেষ। আমার দিকে হাবিলদার আগাইতেছে আর আমার সারা শরীর দিয়া ঘাম বাহির হইতাছে, আমার লগে লগে চোক বন্দ হইয়া গেল..... হঠাত চোক খুইলা দেহি আমার বন্ধু সজীব রে চুলের মুঠি ধইরা ব্যাপক ধোলাই চলতাছে.......... হালার পুত আমাগো লগে গাদ্দারী করছে ..... একদম ভালা হইছে। কতক্ষন পর ওসি আইলো আইয়া কইলো তোমাগো বাসায় ফুন করো র্গাজিয়ান লাগবো.... তাইলে তোমরা ছারা পাইবা, নইলে কাইল কোটে চালান দিয়া দিমু,...... এইটা সিরিয়াস ম্যাটার। বাইধ্য হইয়া মা জননীরে ফুন করলাম...... উনি আইসা আমাকে নিয়া গেলেন ও বাসায় নিয়া দুই গালে দুইটা ঠাঢাইয়া চটকানা মারলেন।

প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছিলাম। কিভাবে আবুল কে গোয়া মারা যায়......... কেমনে ওর মাথার তিনটা বাল উঠানো যায়...........। চা দোকানে আর আড্ডা মারিনা। আবুলের মাইয়াগো দিকে আর চোক দেইনা। হঠাত কইরা বুদ্ধি আইলো আবুলে সব সময় নামাজ জামাতে পড়ে।

ফজরের নামাজের সময়ে তারে ভীষন ভাবে ভয় দেখানোর একটা বুদ্ধি আইলো মাতায়। হগ্গলে মিল্লা বুদ্ধিটা করলাম, হালায় যকন নামাজে যাইবো রাস্তায় তারে একলা পাইয়া বস্তা দিয়া ঢাইকা ফালামু তার পর আচ্ছা কইরা মনের সক মিটাইয়া তারে পিটামু। ভোর বেলা উইঠা বড় একটা ছালা নিয়া আমরা তিনজন গলির চিপায় দারাইয়া রইলাম। ৫ মিনিটের মাতায় আবুল দেকি আইতাছে । যকনি কাছে আইছে ওমনি তার গায়ের উপরে তিনজনে মিল্লা পইরা ছালা দিয়া দিলাম আর আমি মুক চাইপা রাকার চেষ্টা করলাম..... আবুল মাটিত পইরা গেছে....... আর আমার বন্ধুরা বাংলা গালি ভরতি র্ডাম সহ তারে গালি ও কিল দিতাছে সমানে......... বেচারা চিতকার মারতাছে আর বাচাও বাচাও কইতাছে।

ওইদিকে মসজিদের ট্যারা ইমাম চোর চোর কইয়া চিতকার দিলো আর আমরা দোরাই পলাইলাম। এর পর দুইদিন আমরা ঘর থেইক্যা বাহির হইনাই। শুনছি তারে নাকি হাসপাতালে নিছে.......... প্রতিশোধের আগুন তকনো জ্বলছিলো। এইদিকে আবুল অফিস থেকে নতুন গাড়ী পাইছে...... সবাই মিল্লা ঠিক করলাম তার গাড়ীর গ্লাচ ভাইঙ্গা দিমু। কিন্তু কেমনে ? পরে বাহির করলাম যকন কারেন্ট যাইবো তকর ইটা মাইরা তার গাড়ীর বারোটা বাজামু।

সন্ধ্যা ৭টার লগেই কারেন্ট যায় আর তকনি বন্ধুর তিনতলার ছাদের থেইক্যা ইটা মাইরা আবুলের গাড়ী ভাইঙ্গা দিলাম। তার পর তার বাসার জানলা দিয়া শিশুর গু, বর্জ আরো কত কি ফালাইলাম। কিন্তু আবুল দেকি এত কিছু হইবার পর ও কুনো আওয়াজ করে না। একদিন জুম্মার নামাজে হঠাত কইরা পাড়ার বিভিন্ন সমস্যা লইয়া আলাপ হইতাচিল। একে এক বিভিন্ন বক্তা পটর পটর করলো আমার বাপে ও আছিল।

হঠাত কইরা আবুলের নাম ঘোষনা হইলো... (আবুল যা কইছে তা দিয়াই আমার এই কাহিনী শেষ.... বাকীটা আপনারা বুইজা লন) "আমি আর কি বলবো, পাড়ার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আপনারা বলেছেন..... কিন্তু ব্যাক্তিগত আক্রোশের কথা কেউ বললেন না, আমার উপরে যে এত অত্যাচার হইছে তাতে আপনার এতটুকু মাতা ঘামালেন না, ঘরে তিনটা সুন্দরী মেয়ে থাকা কি অন্যায়? বাবা হিসেবে মেয়েদের প্রটেক্ট করা কি অন্যায়? আমার মেয়েকে ছেলেরা চিঠি দেয়, অসভ্য কোথাকার, ওদের ঘরে কি বোন নাই? আমাকে কুকুর বিড়ালের মত পেটায়! আমার গাড়ীর গ্লাচ ভাঙ্গে! আমার জানালা দিয়া গু ফালায়, ছাদ থেকে আমার বউয়ের পেটিকোট নিয়া যায়, পরে সেটা ড্রেনে পাওয়া যায়! এগুলা কি কিছুনা? আজ আমি বলতে চাই, তোরা যেই হোস না কেনো.... তোরা জানোয়ার.... তোরা পশু..... তোদের উপরে আল্লার গজব পড়বে.... গজব পড়ুক তোদের উপরে.... (.....কারেন্ট গেছেগা....... ওইদিকে আবুল গজব দিয়া যাচ্ছে........ এর পর কি গজব দিছে আর হুনি নাই)"

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।