আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই তো আছি, বেশ আছি ; তোমাদেরই ভালবাসায়

নিজেকে নিয়ে কিছু একটা লেখার চেষ্টা, এখোনো করে যাচ্ছি . . .

"প্লিজ বল, তুমি যা বলছ, তোমার ডাক্তার যা বলেছে তাও মিথ্যে" ; "আমি এখনও বিশ্বাস করিনা ডাক্তার তোমাকে এটা বলেছে, তুমি দেখো, আমি যা বলছি তাই সত্যি হবে" ; "ডোন্ট ওয়ারী ম্যান, এভাবে ভেঙে পড়না, সব ঠিক হয়ে যাবে" ; "এই তুই এসব কি বলছিস, সত্যি করে বলনা তুই মিথ্যে বলছিস" ফোনের রিসিভার তখনও হাতে, নিরুত্তর এই আমি, কোন প্রশ্নের উত্তর ছিলনা সে মুহুর্তে। কিই বা বলার আছে আমার। কেউই বিশ্বাস করতে চাইছেনা অথচ এটাই সত্য এবং বাস্তবতা। কেউ মানতে না চাইলেও আমাকে ঠিকই, আমার পরিবারকে ঠিকই মেনে নিতে হবে কারণ ডাক্তার যা দেখানোর তাই আমাকে দেখিয়েছি, পাশে মা-ও ছিলেন। আমি আর কতটা শক্ত হব, মায়ের অশ্র“সজল চোখ, বাবার আহাজারি, ভাইয়ের বুকে চেপে জড়িয়ে ধরে কান্নার জল যখন আমার শরীর ভিজিয়ে দেয় তখন আমিই বা কতটা এসব ভুলে থাকতে পারি।

তার দু-তিনদিন বাদেই জানতে পারি যা জেনেছিলাম তা সত্যি সত্যিই মিথ্যে। না, তারপর আর অফিসে যাওয়া হয়নি, বসাও হয়নি কি-বোর্ড-মনিটরের সামনে, কোন ব্যতিব্যস্ততাও নেই, অবসরের দীর্ঘক্ষন সময়ের অলসতায় সব অতীতের স্মৃতিগুলো যেন গ্রাস করতে চাইছিল, কখনও বা হেসে কখনো বা চাপা কান্নার দাগ চোখের নোনা জলে আরো ক্ষত করে তুলছিল। ভাবতে বড় কষ্ট হয়, ভাবনাগুলোও ক্লান্তি - অবসন্নতায় ভোগায়। এখন আর কোন অনুরোধ, অনুযোগও আসেনা, আবদারের কোন বাড়তি নেই, রাগ ভাঙানোর কোন বরতা নেই, আড্ডা প্রিয় এ মানুষটি কোন আড্ডা তে জমে ওঠা হয়না, যেন নি®প্রাণ চোখে চেয়ে থাকা এক শান্তিপ্রিয় মানুষ এই আমি। ভাইব্রেশন করা সেল ফোনটা যতবার না কেঁপে উঠে আমার ভেতরখানি ততটাই মুষঢ়ে যাই কোন না কোন স্বান্তনার বাক্য শোনার প্রতিক্ষায়।

যে ফেব্রুয়ারী মাসে যখন এ লেখা লিখছি, তখন খুব কষ্ট হচ্ছিল, দু:খ বলতে কিছু নেই, অনুতাপও। ঠিক এ দিনটিই আমার জন্ম গ্রহণের দিন। যে শক্তি, সাহস, উচ্ছাস নিয়ে লেখার কথা ছিল, সেখানে দু:খগুলোরই যেন জয়, পরাজিত শান্তিগুলোর স্থায়ীত্ব যেখানে অস্তিত্বহীণ, সেখানে অসহায়ত্বের ভারে ভারাক্রান্ত। আমার কান্নার জল আজ শুকিয়ে গিয়েছে, পাথর সমেত এ মানুষটির সামনে কেউ যদি এসে বল "বন্ধু কেমন আছ" - কোন কান্না নয় হাসিমুখে উত্তর দিব "মন্দ নেই, এই তো চলে যাচ্ছে, ভালই আছি" এতটুকুন মিথ্যে বলতে বিন্দুমাত্র কোন ভয় নেই, নেই কোন শংকা। আজ তো ভালবাসা দিবস, তাই না ? ভালবাসাবাসি মানুষগুলোর দিবস, ভালবাসার, ভালবাসা শেখানোর, জানানোর এক পরম মায়াময় দিন।

এ ভালবাসা দিবসে জানাতে চাই, ভালবাসতে চাই আমার বাবা-মা-ভাই আমার পরিবার, পরিবারের বাহিরে মানুষ যাদেরকে সাথে নিয়ে কাজ করি, যাদের সাথে পড়ালেখা করি, যে পথে চলি সে পথের পথিকদের, এ ব্লগের সব সব বন্ধুদের। আমার ভালবাসা কারও জন্য কোন নির্দিষ্ট বেড়াজালের গন্ডিতে সীমবদ্ধতার মাঝে নয়, বরং উন্মুক্ত, যে ভালবাসতে চাই বা ভালবাসা চাই সব ভালবাসাবাসির মানুষগুলোর জন্য, যেখানে ভালবাসবে, ভালবাসা দিবে। কোনদিনও ভালবাসাহীন থাকবেনা। ব্লগে কিছু দেবার চেয়ে পাবার পরিমাণটাই বেশী, নি:স্বার্থের মতই হয়ত সকলের লেখাগুলোকে উপভোগ করেছি। তারপরেও অনেকদিন কোন লেখা হয়নি, মনিটরের স্ক্রীনের নিজের প্রতিবিম্বকে যতটা অস্পষ্ট লাগে তার চেয়েও স্মৃতি, রহস্য, ভাবনাগুলো ঝাপসা হয়ে আসে।

যেন এক পরাজিত মানুষ হতে চলেছি, কিন্তু মেনে নিতে পারিনা, তাই আবারও সজীব হতে চাই, প্রানবন্ত উচ্ছাসে ভরাতে চাই জীবন, মন ও প্রাণ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।