আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘আল-কায়েদার পুনরুত্থানের আশঙ্কা’

সোমবার প্রাকাশিত ‘জিহাদিস্ট টেরোরিজম: এ থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট’ শিরোনামের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, “এটা এখনো বলার সময় আসেনি যে আল-কায়েদা দীর্ঘ মেয়াদে হুমকির কারণ হতে যাচ্ছে।
অথবা এই মুহূর্তে বিদ্রোহী দলগুলো যারা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তারা শেষ হতে চলেছে। কিন্তু বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে যে অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে তাতে আল-কায়েদার কার্যক্রম পুনরুজ্জীবিত হতে পারে। “ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে যেসব বিদ্রোহী দল লড়াই করছে তাদের অন্যতম হলো নুসরা ফ্রন্ট। এটি আল কায়েদার একটি শাখা।

এদিকে গত মাসে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আসাদের বিরুদ্ধে যে অভিযানের পরিকল্পনা করছেন সেটা শেষ পর্যন্ত নুসরা ফ্রন্টের জন্য সহায়ক হতে পারে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। আল কায়েদা বিশেষজ্ঞ ও থ্রেট অ্যাসেসমেন্টের সহ-লেখক পিটার বার্গেন বলেন, “সিরিয়ায় আল কায়েদার ভবিষ্যত অংশত উঠা-নামা করছে। আমরা পুরো বিশ্বের দিকে তাকালে দেখতে পাই বেশিরভাগ জায়গায় তাদের কার্যক্রম তেমন জোরালো নয়। কিন্তু পরিষ্কারভাবে দেখা হাচ্ছে সিরিয়ায় আল কায়েদা খুব শক্ত অবস্থানে রয়েছে। “ বড় পরিসরে সমাজসেবা প্রদানকারী হিসেবে নুসরা সিরিয়ায় তাদের কর্যক্রম শুরু করে।

যার মাধ্যমে ওই সব অঞ্চলের অধিকাংশ জনগণের সমর্থন তারা আদায় করতে সক্ষম হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়, “জনসংখ্যা কেন্দ্রিক উন্নয়নমূলক কাজ বা এই ধরনের কিছু দিয়ে আল কায়েদার অঙ্গ সংগঠনগুলো নিজেদের কার্যক্রম শুরু করে। পরে তারা সফলভাবে জনমনে বিদ্রোহের বীজ বপন করে। “ রিপোর্টে আরো বলা হয়, সিরিয়ার বিদ্রোহী দলগুলো ওই সব জিহাদিস্ট দলগুলোর হাতে ভারী অস্ত্রের যোগান দিয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞদের আশংকা, আসাদের রাসায়নিক অস্ত্র ভাণ্ডার যদি কোনোভাবে নুসরার মতো দলের হাতে চলে যায় তবে সেটা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

সেক্ষেত্রে অস্ত্রগুলো সিরিয়া বা তার বাইরে ব্যবহার করা হতে পারে। ভবিষ্যতে কোনো হামলায়ও সেগুলো তারা ব্যবহার করতে পারে।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।