আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নেগেটিভ ফোর্সের পজেটিভলী ব্যবহার

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে

রাজা মিয়া খ্যাপ মারে। বড় বড় খ্যাপ। যেমন নিদমহলের নীচে ব্রাক ব্যাংকের লকার ভাঙার গুরুদায়িত্ব ছিল তার। চুরিরাজ্যে তিনি ব্যাপকমাত্রায় জনপ্রিয়। এমন একজন বিশেষজ্ঞ লকার ব্রেকার থাকতে র‌্যাঙ্গস ভবণ ভাঙা নিয়ে কোন দুশ্চিন্তা থাকার কথা নয়।

রাজা মিয়াকে একরাতের মধ্যে র‌্যাঙ্গস ভবণ চুরি করে নেবার প্রস্তাব দিয়ে দেখতে পারে সরকার। নিশ্চিতভাবে বলা যায় মাত্র এক রাতেই সে পুরো ভবণ গায়েব করে দিতে পারবে। বিশ্বের সবচেয়ে আর্থকোয়েক ভালনারেবল শহর হিশেবে ঢাকা সর্বজনবিদিত। একটা মাঝারী গোছের ভূমিকম্পে ঢাকা যে মাত্রায় ধ্বংষ হবে তা থেকে উদ্ধারের তৎপরতা কেমন হবে সেটা অনুমান করা যায় এই র‌্যাঙ্গসের উদাহারণে। আল্লাহ না করুক, তেমন ভূমিকম্পের পরে ঢাকা শহরে যখন লাখ লাখ র‌্যাঙ্গসভবণের মত উঁচু বাড়ীগুলো ধ্বসে যাবে তখন স্রেফ পালাতে হবে এই শহর ছেড়ে।

সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে রাজা মিয়াদের মত এমন বিখ্যাত সব চোরদের হাতে রাখা। তেমন ডিসাস্টার দেখা দিলেই তাদেরকে সব কিছু চুরি করে ক্লিয়ার করে দেবার জন্য বলতে হবে। দেখবেন খেলা, মুহূর্তে ঢাকা আবার বসবাসযোগ্য হয়ে উঠবে। একাজে সরকারী অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও নিয়োগ করা যেতে পারে। যেভাবে মলের উপর থেকে পয়সা চেটে নেয়া শিখেছে, তারাও পুরো দেশটাকে খালি করে দিতে পারবে বিপদের সময়।

আমাদের নেগেটিভ ফোর্সগুলোকে কাজে লাগানোর বিদ্যা করায়ত্ত করতে হবে। ধরুন বড় একজন খুনী আছে, ইতোমধ্যে দশবিশটা খুন করে হাত পাকিয়েছে, তাকে ফাঁসি না দিয়ে পুলিশের স্পেশাল কিলার হিশেবে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে। সরকারী যেসমস্ত সাবোটাজ গুলো সংগঠনের দরকার হয় সেখানে তাদের নিযুক্তি সম্ভব, ২১শে আগস্টে শেখ হাসিনাকে মারার জন্য যে সরকারী এরেঞ্জমেন্ট ছিল সেখানে তাদের অন্তর্ভূক্ত করা যেত। হয়তো করা হয়েছিলও। এখন এমন আরো অনেক নেতার অন্তর্ধানে তাদের নিযুক্তি সম্ভব, বেচারারা এই সরকারের পতনের আন্দোলনে শরীক হওয়া থেকে বিরত থাকতো।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।