আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জরুরি কিছু কথন



সিয়াম ও সাধনার মাস রমাদান। রজব মাস থেকেই যার প্রতিক্ষায় থাকতেন আল্লাহর রসুল (সঃ)। দোয়া করতেন ”হে আল্লাহ রজব ও শাবানে বরকত দাও, এবং আমাদের রমাদান দান কর”। আরবী এ মাসটির নামেই নিহিত রয়েছে তাত্বিকতা। রমদ থেকে রমাদান, অর্থ জালিয়ে দেয়া, যেহেতু এ মাসটি মুমিনের আমলনামা থেকে তার গুনাহরাশি বার্ণ করে তাকে করে নিষ্পাপ।

তাইতো আল্লাহর রসুল বলেছেন ”হতভাগা সে ব্যাক্তি যে রমাদান মাস পেয়েও নিজের গুনাহরাশি মাফ করাতে পারলনা”। এ মাসটিকে আল্লাহর নবী তিন ভাগে ভাগ করেছেন। প্রথম দশদিন রহমতের দিত্বীয় দশদিন ক্ষমার তৃতীয় দশদিন জাহান্নাম থেকে মুক্তির। হযরত সালমান ফারসী (র) বর্ণনা করেন যে, আল্লাহর রসুল (সঃ) শা’বান মাসের শেষ দিন আমাদেরকে সন্মোধণ করে বললেন ” হে লোক সকল এমন এক বরকতময় মাস সমাগত যে মাসের বিশেষ একটি রাত ৮৩ বসর ৪ মাসের চেয়েও উত্তম। এ মাসে দিনে রোজা রাখা ফরয এবং রাত জেগে ইবাদত করা নফল।

যদি কেহ এ মাসে কোন নফল ইবাদত করে তবে সে অন্য মাসের ফরয আদায় করার ছওয়াব পাবে, আর যদি কেহ কোন ফরয আদায় করে তবে অন্য মাসে ৭০ টি ফরয আদায়ের ছওয়াব পাবে। ইহা ধৈর্য্য ও সম্পৃতি শিক্ষার মাস। এ মাসে মুমিনের রিজিক বাড়িয়ে দেয়া হয়। যদি কেহ কোন রোজাদারকে ইফতার করালো তাহলে সে যেন তার গুনাহ মাফ করালো, জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করল এবং রোজাদারের সমপরিমান রোজা রাখার ছওয়াবও পেল। এ কারণে সে রোজাদারের কোন ছওয়াবও কমবেনা।

আমরা বললাম হে আল্লাহর রসুল আমাদের সবার তো আর পেটভরে ইফতার করাবার সামর্থ নেই। আল্লাহর নবী উত্তর করলেন যদি কেহ রোজাদারকে এক টুকরো খেজুর অথবা এক ঢোক পানি অথবা দুধ পান করায় তাও আল্লাহ পাক তাকে সে ছওয়াব দান করবেন। আর যে রোজাদারকে পেটভরে আহার করাবে আল্লাহ পাক তাকে হাউযে কাউছারের পানি পান করাবেন যা পান করলে বেহেসে- প্রবেশ করা পর্যন- আর সে তৃষ্ণার্ত হবে না। এ মাসটির প্রথমাংশ রহমতের দিত্বীয়াংশ ক্ষমার তৃতীয়াংশ জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণের। যে ব্যাক্তি এ মাসে তার কর্মচারীদের কাজ হলকা করে দিবে আল্লাহ পাক তাকে মাফ করে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিবেন।

(বায়হাক্বী শরীফ) এ মাসটি কোরআন অবতীর্ণের মাস। আল্লাহ পাক কোরআন মজিদে এ মাসটির পরিচয় এভাবে দিয়েছেন, এরশাদ হচ্ছে রমাদান মাসটিই হলো সে মাস যাতে কোরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে মানুষের হেদায়াত, সত্য পথের পথ প্রদর্শন ও ন্যায় অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য নিরুপনের জন্যে। (সুরা বাকারাহ আয়াত ১৮৫) সংগৃহীত

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।