আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুন পথে যাবো আমি কুনটা আমার পথ-১১

আমার মৃত্যু যেন আমার সকল ইচ্ছা পূরণের পর হয়

তকন সবে পা দিছি বিদেশে। সব দেহি নয়া, চোকে মুকে ধান্দা লাইগ্যা গেলো। কাউরে চিনি না, হারাদিন ঘরে বইয়া বইয়া ঝিমাই, বিরি টানি, রিমুট টিপ্পা টিপ্পা নক ব্যতা কইরা আলাইছি। মাগার আমার এই একাকী কাটতাছেনা। ভাবলাম দেশে কতা কই মাইয়াগো লগে, মাগার তাতেও সমস্যা, ফুন করলেই কইব জানু আমারে কবে লইয়া যাইবা? (আমি আবার তিন চারজনের সাতে ফুনে পরিচয় কইরা নানান আকামে জড়িত ছিলাম)।

এই সব নানান ভয়ে আমি কাউরে ফুন করতে পারছি না। হঠাত কইরা দরজার ফুটা দিয়া কেডা জানি একটা পেপার দিয়া গেলো। কি আর করা পেপার পড়তাছি আর পড়তাছি। হঠাত কইরা পেপারের শেষে কতগুলা নাংঙ্গা মাইয়ার ছবি দেকলাম(পুরা নাঙ্গা না)। আবার নিচে ফুন নাম্বার দেয়া।

ভাবলাম আমার একাকী তারাই দুর করতে পারে। মাগার ফুন করার সাবাস পাইলাম না। ইংলাজীর যে ব্যাগতিক অবস্থা তাতে আমার ইংলিস হুইনা ওই মাগী হাটফেল করতে পারে, আর আমি চাইনা ওর ধান্দাটা বন্দ হইয়া যাক। যকন আইচিলাম তকন আছিল গরমকাল। বিরি কিনতে বাইরে গেলাম, ওমা কি ছিন দেকরাম সব মাইয়া গুলা আর মাইয়া নাই আমাগো গেরামে ছুঠু ছুঠু ২, ৩ বছরের বাইচ্চা হই গেছে।

এত ছুঠু কাপড় পরছে তাতে আবার উপরে খালি একটা তেনা ঝুলাইয়া রাকছে। আমার এত বচরের বালপাকনা বয়সে এই পতম এই রকম দেকলাম, তয় পিসগুলা খারাপ না... মাসাল্লা তাদের যৌবনে আমার চক্কু ও হস্ত দ্বয় ঠিক থাকতে চাইলো না... বার বার ছুঁতে যেতে চাইলো। কয়েক দিন পর এক মামুর লগে পরিচিত হইলাম। বয়সে আমার থেইক্যা ১০ বছরের বড়ই হইব। হালা বলে এই দেশে ছুঠু থেইক্যা আছে মাগার হের ইংলিশ হুনলে মনে হয় আমার গ্যারামের কুদ্দুস মাতাল হইবার পর ইংলিশ কইবার চেস্টা করতাছে।

হালার লগে বহুত তাঙ্গ ফাঙ্গ করলাম। হালার বউ আবার হেরে চাইরা দিছে। বেটি একন তারে দেকাইয়া দেকাইয়া আরেক মরদের লগে ঘুইরা বেরায়। একবার মামুর মাতা গরম হইবার কারনে কোথা থেইক্যা এক বোতল ভোদকা লইয়া আসছে। কইলো ভাইগনা কেমনে খাইতে হয় জানো? আমি শরমের ভাষায় কইলাম জে মামা।

কইলো দেহি আমারে এক গ্লাস বানাইয়া দেও। আমি ও জোশে আইসা অর্ধেক গ্লাস ভোদকা আর এক চিমটি কোক ঢাইল্যা তারে দিলাম। সে ও কোত কোত কইরা খাইলো। এইভাবে চললো মাঝরাত। হঠাত কইরা আমার মাতার তার ছিরা গেলো তারে কইলাম ও হাউয়ার পোলা আমার লাইগ্যা মদ বানা।

এমন ভান করলাম যে আমার হুস নাই। হালা একটু ভয় পাইয়া গ্লাসে ভোতকা ঢাইল্যা আনলো। পরে তারে কইলাম ওই আমার খিদা লাগছে "'আমি ভাত খামু" ভাত আন। ওমা হালায় দেহি আমার লাইগ্যা ভাত গরম কইরা আনলো। তারে আমার লাল দুইডা টর্স দেকাইয়া কইলাম ওই হাউয়ার পোলা ভাত আনছোস তরকারি কি তোর বউ দিবো রে? দেকলাম তার বউয়ের কতা হুইনা তার চোক মুক পুরা লাল হইয়া গেলো।

মনে হয় গোপনে কানছিল। ভাত খাইবার পর আবার শেষ রাত পর্যন্ত চললো মদ খাইবার পর্ব। সকালে ঘুম থেইক্যা উঠার পর মাতাঠা খুব ধরছে। মামায় দেহি সোফার মইধ্যা বইয়া আমার দিকে চাইয়া রইছে। আমি কইলাম কি মামা সব ঠিক তো? মাতা নাড়াইয়া হুম কইলো।

মনে মনে আমি আবার একটু ভয় খাইছি, রাইতে কতানি আবার কিছু জিগায়। মাগার জিগায় নাই। দুই মাস পর মামু আবার আমার ঘরে আইলো। তহন শীত কাল। মামু আইয়া কয় চলো আজকা একটা পার্টি আছে।

আমি কইলাম মাইয়া থাকবো তো, কইলো হ। যাই হোক আমি আমার লেদারের জ্যাকেট গায়ে দিয়া বাইর হইলাম, হঠাত মামু কয় আরে পার্টিতে নাচানাচি করতে গেলে ত হুস পাইবা না আর তহন গরম লাগবো জ্যাকেট রাইকা যাও, আর আমাগো ত গাড়ী আছে। হিটার দিয়া দিমু শীত লাগবো না। আমি ও মনে মনে কইলাম ঠিক, তাইলে আমার নতুন জাইঙ্গাটা মাইয়ারা দেকতে পারবো। হে হে।

কিন্তু মামা আবার পুরা জ্যাকেট পইরা হাত মুজা কানটুপি সব লইয়া লইছে। আমি জিগাইতে কয় আরে বুজোনা আমি হইলাম চিকনা, আমি জ্যাকেট না পরলে আমার হাড্ডি দেহা যাইবো, আর তাছাড়া তুমি বেশি মাতাল হইয়া গেলে তোমারে টাইন্যা বাইর করতে হইবো না, আর বোঝই ত বাইরে ঠান্ডা, আর আমার আবার বুকে কফ জমছে। হুমম কতায় পয়েন্ট আছে। কইলাম ওকে মামা। গাড়ীতে চাইপা যাইতে থাকলাম।

এক বাড়ীর সামনে থামলো। ভিতরে গিয়া দেহি মাইয়া মাইনষে ভরতি। কি মজা লাগতাছে। দুনিয়ার মজা করলাম হেই রাইতে। মাইয়াগো লগে ডলাডলি আরো কত তা করলাম।

পুরা মাতাল হইয়া হেই রাইতে আমার আসলেই হুশ আছিল না। হঠাত কইরা দেহি বাইরে বরফ পড়তাছে। হঠাত চোক খুলবার লগে লগেই দেহি আমি হাসপাতালের বেডে। পুরা শরীর নীল, আর শইলের উপরে ১০ টার মতো কম্বল হইব। নার্সরে জিগাইতে ওই কইলো আমারে একলোক হাসপাতাল লইয়া আইছে ।

আমি কইলাম কি এমন হইছে আমারে হাসপাতালে কেনো আনছে? হে কইলো আমি নাকি ৫ মাইল দুরে এক রোড়ের মইধ্যা পইরা আছিলাম, আমার গায়ে কুনু কাপড় ছিলোনা, শুধু তেনাটা ছাড়া। আর আমি নাকি আরেকটু হইলে বরফের ভিতরে হারাইয়া যাইতাম। কোন এক সহৃদয় কালো মানুষ আমারে হাসপাতাল পর্যন্ত দিয়া গেছে। মাগার আমি এতই টাল আছিলাম আমার কিছুই মনে পড়তাছে না। তিন দিন পর হাসপাতালের বেডে শুইয়া হঠাত কইরা আমার ফ্লেস ব্যাক হইলো।

আর মামুর কতা মনে পড়লো। ওই হালাই আমার এই কান্ড ঘটাইছে, পেরতিশোধ নিছে আমার উপরে। কেমনে কি করছে হেইডা তার লগে কুনু দিন দেকা হইলে জিগামু।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।