আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বার বার আমি ফিরি যে পথে

পরিবর্তনের জন্য লেখালেখি

পথটা বেশ পুরোনো । দু' কদম এগুলেই নাকে লাগে আচার্য মূলের গন্ধ । পায়ের তলায় কুড়মুড় চৈত্রে , বরষায় কেবল বিব্রত কোমল । কদাচিত শরতের মেঘ কিংবা শীতের কর্কশ নিষ্প্রভতায় বার দুই কেঁপে ওঠা চেতনে স্মৃতি বড় বিভ্রান্ত নিষ্ফল ! পথের কালচে দাগ গুলো রক্ত কিনা , বিস্তর তক্কো আছে লাল থেকে লাল -কালো ও নেই, স্রেফ কালশিটে ব্যাদান দাগ গুলোতে গন্ধ , শব্দ , প্রতিবাদ নেই । কান পাতলে কাছে মনে হবে চিতা জ্বালিয়ে বসেছে কোন মহাজনী শ্মশান ।

এমন পথে কেউ হাঁটে না। হাটবারেও গুড় লাগিয়ে ফেরে না ব্যাধ শিকারী। গেলো বার যারা হেঁটেছিলো তারা সব সস্তা আবেগ, শূদ্র কি আরো নীচ এমন নরাধমদের স্বাধীন ইচ্ছা ? একথা স্বীকার করাটা একটা বিকারই হাঁটিয়েদের থেকে তাই হাটুরেদের আপ্যায়ন , বিভাজনে বাড়ে বিষবৃক্ষের বীজ । তবু কোন আগ্নেয় দুপুরে এ পথে মানুষ হাঁটে । মানুষের কাঁধে মানুষ ।

আগে পিছে পূর্ব পুরুষের করোটি , পাঁজরের খাঁচা আকন্ঠ নীল দেহে বিষাক্ত সময়ের হাটে মানুষের হাতে মানুষ । ঝুঁকে নুয়ে পড়া পিঠে হঠাৎ ঋজু হয়ে বাঁচা ! এই সব মানুষেরা রক্ত চেনে না । এরা ভিন্ন । শুধু মুষ্ঠিবদ্ধ হাতে সবুজ রঙ মেখে মুছে দিতে চায় প্রতিটা দাগের পাশের একটি করে চিহ্ন । পায়ের নয় ; নখর, খুর ও থাবার ।

যেখানে একদা মাকে ধরেছিলো হাত ,আমাদের বাবার !

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।