আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নদী পথে ঢাকা আনলে বেশী ভাল হবে : ক্যাবল কাটা সহজ হবে না ।

শুধু রক্ত নয়, আমি আমার চোখ, কিডনী, দাত আরো যা যা দেবার মতো, তার সবই দিতে চাই ; এখন দরকার হলে এখনই । কোথায় আসতে হবে বললেই চলে আসবো , আমাকে মেরে ,কেটে টুকরো টুকরো করে যার যেটা লাগবে নিয়ে নেবেন । আর সন্ধানী বা কোন হাসপাতালে একটা খবর দেবেন, যাতে ওরা বাকিটা নি

দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের ল্যান্ডিং স্টেশন হবে খুলনা বা মংলার কাছে ঢাকা, ডিসেম্বর ১৮ (বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম)- খুলনা বা মংলার কাছে কোনো এক স্থানে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের ল্যান্ডিং স্টেশন স্থাপনের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ড (বিটিটিবি)। মঙ্গলবার 'এসইএ-এমই-ডব্লিওই-৪ কেবল এর রিডানডেন্সি এবং দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের প্রয়োজনীয়তা' শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় বিটিটিবির প্রধান কর্মাধ্যক্ষ (নিরাপত্তা ও পর্যবেক্ষণ) লেফটেনেন্ট কর্নেল জিয়াউর রশীদ সফদার এ তথ্য জানান। বিটিটিবি-র উদ্যোগে এ মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ তিনিই উপস্থাপন করেন।

জিয়াউর রশীদ সফদার বলেন, "বাংলাদেশের স্থলভাগে ব্রাঞ্চ লাইন কাটা যাওয়া বা সংযোগ ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা গভীর সমুদ্রে স্থাপিত অংশের তুলনায় বেশি। এ কারণে নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সাবমেরিন কেবলের বিকল্প পথ প্রয়োজন। আগামী তিন বছরের চাহিদা, বিকল্প পথে বর্তমান সাবমেরিন কেবলের যোগযোগ ব্যবস্থা চালু রাখার প্রয়োজনের বাংলাদেশের জন্য দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল প্রয়োজন। " তিনি জানান, এ মুহূর্তে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হওয়ার জন্য ছয়টি প্রস্তাব রয়েছে। এমসিএস কেবল, টিআইসি সাবমেরিন কেবল, এশিয়া আমেরিকা গেটওয়ে কেবল (এএজি), এসইএ-এমই-ডবি¬ওই-৩, এসইএ-এমই-ডবি¬ওই-৫, এসইএ-এসএএমই ও সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো অপারেশন (এসএএসইসি) ইনফরমেশন প্রজেক্টের প্রস্তাব রয়েছে।

এছাড়াও স্থলভাগের সংযোগের জন্য জন্য বিএসএনএল, ভারতী, রিলায়েন্স এবং ভিএসএনএল এর প্রস্তাব রয়েছে। এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের মাধ্যমে সীমিত পরিসরের বিকল্প পথ নিশ্চিত করা সম্ভব। কর্নেল জিয়াউর বলেন, "বর্তমান চাহিদা অনুসারে কনসোর্টিয়াম কেবলের প্রাপ্যতা অনিশ্চিত। এএজির প্রস্তাবনা অনুযায়ী বাংলাদেশ পর্যন্ত কেবলের সংযোগ এখন পাওয়া যাবে না। এমসিএস কেবলে তুলনামুলকভাবে ছোট ব্রাঞ্চ লাইন স্থাপনের সুবিধা থাকলেও আগের অংশটি ভারতের চেন্নাই পর্যন্ত স¤প্রসারিত না হওয়ায় এসএমডবি¬ও-৪ এর রেস্টোরেশন পাবে না।

এসএমডব্লি¬ও-৫ বাস্তবায়িত হতে তিন বছরের বেশি সময় লাগবে। এ পরিস্থিতিতে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা যেতে পারে। " তিনি জানান, এসইএ-এমই-ডব্লিওই-৪ কেবলের সংযোগ নিতে সর্বমোট ব্যয় হয়েছিল ৩ কোটি ৫১ লাখ মার্কিন ডলার। বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য বছরে ব্যয় হচ্ছে ১৫ লাখ মার্কিন ডলার। বর্তমান অর্থবছরে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে আয় হবে ২০০ কোটি টাকার বেশি।

যা আগামীতে আরও বাড়বে। সভায় রাষ্ট্রায়াত্ত মোবাইল কোম্পানি টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুল হাসান বলেন, "সময় মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারলে সঙ্কট এড়ানো যাবে। আমাদের কাছে যে সব প্রস্তাব আছে সেগুলো বাস্তবতার নিরিখে বিবেচনা করতে হবে। " তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ আবু সাঈদ খান বলেন, "মূল প্রবন্ধে যে প্রস্তাবগুলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে টিআইসির কেবলটি বঙ্গোসাগরের মধ্য সংস্থাপিত হয়েছে। এখান থেকে ব্রাঞ্চ কেবলের মাধ্যমে এ মুহূর্তে একটি দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে সংযুক্ত হতে পারে।

" বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম এর প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবু সাঈদ খান আরো বলেন, "আমাদের হাতে নষ্ট করার মতো সময় নেই। সাবমেরিন কেবল স্থাপনের জন্য যে জাহাজ কাজ করে তার সঙ্কট রয়েছে। তিনটি প্রতিষ্ঠান এ ধরনের কেবল প্রস্তত করে। মংলা বা খুলনায় দ্বিতীয় ল্যান্ডিং স্টেশন স্থাপনের বিষয়টি যুক্তিসঙ্গত। " ২০০৬ সালের ২১ মার্চ বাংলাদেশ এসইএ-এমই-ডব্লিওই-৪ সাবমেরিন কেবলের সঙ্গে যুক্ত হয়।

১৪টি দেশের ১৬টি টেলিকম প্রতিষ্ঠান এ সাবমেরিন কেবল ব্যবহার করছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।