আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সময়ের পরতে বন্ধুত্ব

বাস্তবতা ফেরী করে বেড়াচ্ছে আমার সহজ শর্তের সময়গুলোকে

সৃষ্টির আদি যুগ থেকেই বন্ধুত্ব রয়েছে। পৃথিবীর প্রথম মানব-মানবীর মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল। প্রাচীন ব্যাবিলিয়ান সভ্যতায় বন্ধুত্বের যে পরিসর ছিল তার পরিচয় পাওয়া যায় ব্যাবিলিয়নের কাব্যগ্রন্থ দি এপিক অফ গিলগামেশ এর মাধ্যমে। বন্ধুত্বের ইতিহাসে প্রথম দিকবার সাহিত্যকর্ম মনে করা হয় এটিকে। গিলগামেল আর এনকিডোর মধ্যে চমতকার বন্ধুত্ব ছিল।

বন্ধুত্বের গ্রিক-রোমান মিথের যুতসই উদাহরণ হলো অরেস্টেস এবং পাইলেডস। জার্মানিতে রোমান্টিজমের উদ্ভবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে এ বন্ধুত্ব। এর প্রমাণ পাওয়া যায় শিলারের দি হস্টেজ বইটিতে। ফিলোসফিকে বন্ধুত্বের প্রথম স্থান করে দিয়েছিলেন অ্যারিস্টটল। সেটা সেই গ্রিকদের সময়ে ফিলিয়া নিয়ে তিনি আলোচনা করেছেন।

গ্রিক ফিলিয়াকেই ইংরেজিতে ভাষান্তর করা হয়েছে বন্ধুত্ব। গ্রিক এবং রোমানদের সময়ে ভালো সমাজ এবং ভালো জীবনের জন্য বন্ধুত্বকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা হতো। ভালো সমাজ এ অর্থে যে, বন্ধুত্ব সিভিক ডেমক্রেসির উন্নয়ন ঘটায়। আর ভালো জীবন এ অর্থে যে, এটি সুখ আর ভালোবাসা আনে। গ্রিক এবং রোমানদের সময়েই বন্ধুত্ব নিয়ে বেশ কিছু বই লেখা হয়েছিল।

অ্যারিস্টটল তখন বন্ধুত্বকে তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত করেছিলেন। এগুলো উপযোগিতা, সখ্য আর ভালোর ওপর নির্ভর করে। বন্ধুত্বের পারিপার্শ্বিকতা যুগে যুগে পাল্টেছে। বিশ্বায়ন আর কর্পরেট বাণিজ্যের আধিপত্যময় এ সময়ে বন্ধুত্বও একই পরিসরে বন্দি হয়ে গেছে। বন্ধুত্বের ধরন একই সঙ্গে পাল্টে গেছে।

এখন ম্যাটেরিয়াল বন্ধুত্বের প্রভাব অনেক বেশি লক্ষ্য করা যায়। রিয়াল লাইফ বন্ধুত্বের জায়গার অনেকখানিই দখল করে নিয়েছে ভার্চুয়াল বন্ধুত্ব।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।