আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুন পথে যাবো আমি কুনটা আমার পথ-৫

আমার মৃত্যু যেন আমার সকল ইচ্ছা পূরণের পর হয়

একবার আমাকে গ্যারামে পাঠানো হয়েছিল শাস্তি ভোগের জন্য, মাইনে হইল শহরে থাইক্যা আমার চরিত্রের অধপতনের কারনেই এই জোরপূর্বক নির্বাসন। যাই হোক গ্যারামে গেলাম, কিছুই ভালা ফাই না, কুনো বন্ধু নাই, আশপাশের পোলাপান ডরে মিশতে আহে না, কয় 'ফকির(বংশের নাম) বাড়ীর পোলাপানের লগে মিশন যাইব না'। কি আর করা বাড়ীর ভিতরে সব হইল মুরুব্বী টাইপস লোক.... আমি এহন কই যামু? কোথাও যাবার পথ নাই। ভাবলাম আমারে যহন শুদ্ধির লাইগ্যা পাঠাইছে তো নিজেরে একটু শুধরাইয়া যাই। নামাজ পড়া শুরু করলাম।

পাচঁ ওয়াক্ত জমাতের সাতে। এহেন আচরনে হগ্গলে খুশি হইল। আমার পিতা মাতা এবং সবাই। নামাজ শেষে হুজুরের বিভিন্ন ভালু কথা শুনার লাইগ্যা বইয়্যা থাকতাম এবং শুনতাম। মাইয়াগো দিকে তেমন কোন নজর দিতাম না, শুধু বোনের দৃষ্টিতে তাকাইতাম! এইভাবে দিন গেল মাস গেল আমি আস্তে আস্তে পাক্কা নামাজীতে পরিনত হইলাম।

হুজুর ও আমারে ভালা ফাইলো। তিনি আমারে বিভিন্ন ওয়াজে মিছিলে মিটিং লইয়া গেলেন। এইভাবে মধুর সময় কাটতাছিল। কেরফা টা বাধল কুদ্দুসের বিয়ার পরে। কুদ্দুস কে এইডা আজ নাই কইলাম।

তার বউ মাশাল্লা একখান চিজ... যেমন ফিগার তেমন লম্পা, তেমন চোকের ভাষা... কথা কওনের স্টাইল... হাটার অঙ্গিভঙ্গি উমমম পুরা ছেস্কি। কদু(কুদ্দুস)র বউরে দেখার পর থেইক্যা আমার শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন আবার শহুরের মত হইয়া গেল... একন মসজিদের শটকাট রাস্তা থুইয়া আমি পুরা রাস্তাটা ঘুইরা যাই শুধু যদি তার মুকখানি একবার দেকতে পাই এই আশায়। মাঝে মাঝে কদুর খোজে গিয়া তার বউয়ের লগে প্যাচাল শুরু করি, এতে আমি প্রায়ই নামাজ কাযা করতে লাগি। কদুর বউয়ের কতা কওনের স্টাইলটা বড় মন কাড়ে। উমমম তার চোকের ভাষা মনে হয় কিসের জানি ইঙ্গিত দিতাছে।

হঠাত বোধ উদয় হইতেই আমি তওবা করনের লাইগ্যা গেলাম হুজুরের কাছে তকন রাত এগারোটা... হঠাতই আমার মনে হইল আমি যা করতাছি ঠিক না... তাই এই তওবা। হুজুরের রুমে গিয়া দেহি হুজুর নাই। পায়খানা ঘরে উকি মাইরা দেহি ওইহানেও নাই। গেল কই? আমাদের এই হুজুর ছিল আমার কম বয়সী এই মানে ২৮-২৯ বছর হইব। দেকতে র্স্মাট।

যাই হোক হুজুরের দেকা পাইলাম না হারারাত। সকালে আবার গেলাম দেহি হুজুরে কারে জানি পানি পড়া দিতাছে। কইলাম হুজুর আমি বিপথে গেছিগা আমি তওবা করুম। হুজুরে কয় ভালো কথা। কিন্তু তওবা কেন? কইলাম সব ঘটনা।

তার পর হুজুরের কতা হুইনা আমার প্যান্ট খুইলা যাবার উপক্রম হইছিল 'হুমম.. নজরের আর কি দোষ বলেন, সব দোষ ত ওই মাগীর। মাগী পুকুর ঘাটে গুসলে যায় আর পুরা উলঙ্গ হইয়া পানিত নামে, বলেন এতে তার চরিত্রের দোষ... চোকে চোকে কতা কয়, আর কতক্ষন পর পর খালি চোক চিপি মারে... বলেন এই ব্যাশার চাহনিতে দোষ... অতিরিক্ত গরমে সে বুকের কাপড় ফালাইয়া মাঠে গিয়া বাতাস খায়... বলেন তার এইসব মাগীপনা... আর কি বলব আপনাকে রাত বিরাতে সে পেটের কথা বইলা মানুষকে বাসায় ডেকে নিয়ে গিয়া শাড়ীর তলে সে কিছু পরে নাই এইটা বোঝায়... বলেন এই সব মাগীরা গ্রামে বাস করলে যুবক সমাজের নজর কেন সব কিছুর অধপতন আমি নিশ্চিত...' বোঝেন এল্যা কুনটা আমার পথ!!!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।