আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুন পথে যাবো আমি কুনটা আমার পথ-৪

আমার মৃত্যু যেন আমার সকল ইচ্ছা পূরণের পর হয়

তকন আমি অস্টম শ্রেনীর ছাএ। অংকে খবই কাচা ছিলাম। সপ্তম শ্রেনী থেকে উটার সময় কুনোরকম ৩৩ পাইয়া অস্টম শ্রেনীতে উটছিলাম। কেনো জানি এই অংক দেকলেই আমার মনের চিপায় ঘামাইয়া একবারে ভিজ্জা যাইত। আমার লগের পোলাপান দেকতাম মুকে মুকে অংক করন মারাইত।

বান্দরে পিচলা গাছে উইটা কতদুর গেছে না গেছে এইটা হেরা সবই জানে, মাগার আমি এত বান্দর হইয়া আমার জাত ভাই কতদুর গেল তা কইতে কেন এইটা মিলাইতেই পারলাম না। আরো আছে প্যালাসে মাইনাসে কি হয়, বীজগনিত, হের পর আরো জম আছে তিরিকোনোমিতি। এইটা আমি কুনো সময়ে পারতাম না, হগ্গল সময়ে ইমপটেন্টটা মুকস্ত কইরা কুনো রকম লেইকা আইয়া পরতাম। যাই হুক এই বালের অংক ভয় দুর করতে গেলাম স্যারের কাছে। মাগার স্যারে যত কিছুই কয় আমার মাতাত কিছুই ঢুকে না।

খালি চিন্তা আহে প্রশ্ন পইরা আমি অংক শুরু কেমনে করুম। তার পর আবার বীজগনিত... তিরিকোনোমিতি.... বালের মাতা। বার্ষিক পরীক্ষা আইয়া গেছে মাগার আমি কিছুই শিকতে পারলাম না... কুনো অংকই আমার মাতাত ঢুকে না... অংক দেকলেই আমার গর্ভবতী মায়েদের মত মাতা ঘুরাইত আর মনে হইত আমার চোকে কে জানি এইমাএ সইষা ফুল ঢইলা দিছে। বার্ষিক পরীক্ষা আইয়া পরচে... সব পরীক্ষা ভাল হইতাছিল, মাগার অংকটা আইবার লগে লগেই আমার কেমন জানি মাতা ঘুরান শুরু হইল আর বিশেষ স্থান গুলা ঘামে এক্কেরে ভিজ্জা যাইতে লাগল। অনেক ভয়ে হলে গিয়া বইলাম, লগে লগে পায়খানার চাপ পাইলাম, গেলাম হাগতে... হাগতে গিয়া ২০ মিনিট লেট... আবার পেঢে মোচড় মারলো, মাগার কন্টোল কইরা পরীক্ষার হলে গিয়া বইলাম।

প্রশ্ন দেইকা মনে হইল আমার সামনে চাইনিজ ভাষার কিছু চাক্কু মার্কা লেকা দিয়া ফালাই রাকছে। কুনো রকম প্রথম পৃষ্টাটা একটা অংক কইরা বাকী সময়টা এমন ভাব করলাম যে আমি খুব মনুযোগ দিয়া অংক করবার চেষ্টা করতাছি। মাগার প্রথম পৃষ্টায় একটা ভুল অংক তাছাড়া পুরা মাঠ এক্কেরে সাদা। আমি যে স্যারের কাছে পরতে গেছলাম তেনি আবার একলা থাকতেন, ত বিকালে আমাগো বাসায় আইসা কইল তেনার বাবা অসুস্থ এক্ষনি যাইতে হইব, ঘরের চাবি আম্মার কাছে দিয়া কইলেন আপা ঘরের দিকে একটু লক্ষ রাইকেন। হেইদিন আবার আমাগো ঘরে অনেক মেহমান আছিল ত জায়গা হইবনা দেইকা আমারে আর কিছু মেহমানরে পাঠাইল স্যারের ঘরে ঘুমাইবার লাইগা।

ঘুমাইবার গেলাম... মনের দুক্কে স্যারের টয়লেটে হান্দাইয়া বাপের পকেট থেকে চুরি করা সিগারেট টানতে লাগলাম। উপরের দিকে ধুয়া ছাড়বার সময় দেহি টিনের চিপায় কালা একটা পলিথিন বেশ বড়, এমন ভাবে রাকা যে দেকলে মনে হইব কাপুড়ের বস্তা... পলিথিনটা নামাইয়া ঘরে আনলাম.. আর মনে মনে ভাবলাম মনে হয় ট্যাকার বস্তা... স্যারে মনে হয় এইহানে ট্যাকা জমায়... আজকে আমি বড়লুক হইয়া যামু... এইভাইবা হ্যাচকা টান মাইরা রশিটা খুললাম..এ্যা একি এতো ট্যাকা না, এত সাদা কাগজ... খুইলাই আমার চক্কু মাথায় উঠচে... আরে এত আমাগো অংক পরীক্ষার খাতা... লগে লগে মাতার ভিতরের শয়তান বাবাজী সিগন্যাল দিল আর আমি আমার খাতাটা বাইর কইরা প্রশ্নটা লইয়া স্যারের অংক সমাধান টা লইয়া সুন্দর মত পুরা সাদা মাঠটা এক্কেরে খেলুয়ারে ভইরা দিলাম.... তয় সব সমাধান বহাইনাই.... ১০ মার্ক ছাইরা দিছিলাম.... তার পর আবার রিভিসান দিয়া সুন্দর মত যেমনে বান্দা আছিল তেমনি কইরা বাইন্দা আবার সুন্দর মত জায়গারটা জায়গায় রাইকা দিলাম। স্যার আইল চাবি নিয়া গেলগা। বাকী সব পরীক্ষা ফুরফুরে মেজাজে দিয়া আমি গেলাম নানা বাড়ী বেরাইতে। রেজাল্ট দিছে রিপোট কার্ড আনতে গেলাম, পিওনে কয় হেড মাস্টার আমারে ডাকে।

স্যারে জিগায় তোমার বাপেরে আনো নাই? আমি জিগাইলাম কেন স্যার... কইল না তুমি তো নিশ্চয় এবারো অংকেই ফেল মারছো না... তো এবারের সিস্টেম হইল এক বিষয়ে ফেল করলে আবারো একই ক্লাসে থাকতে হইব, এবং বাপেরে বন্ড সই দেওন লাগবো যে আবার ফেল করলে ইস্কুল থেইক্কা বাহির হওন লাগব। আমি মনের চিপায় একটা ভিলেনের হাসি দিয়া কইলাম স্যার এইবার আমি অংকে ফেল করলে এক্ষুনি ইস্কুল ছাইরা পাশের গ্যারামের ছলিমুদ্দির ইস্কুলে গিয়া ভরতি হমু। স্যারে পিওনরে আমার রেজাল্ট কার্ডটা আনতে কইল, কার্ড দেইক্যা এক্কেরে টাসকি খাইয়া পিওনরে ছাড়ি মাইরা কইল ওই বান্দির বাচ্ছা ঠিকটা আনছোস ত... পিওনে কয় জে স্যার। মুকটা পুটকির মত কইরা কয় যাও এইবার ত বাইচা গেলা, পরের বার দেকমু তোমারে.. আমি কইলাম স্যার সবি সেলিম স্যারের অবদান, তেনি আমারে অংক করাইছে.. আর আমি ভালু করচি.... ভালু করচি মানে ৮৬ পাইচি.... হে হে হে... সেলিম স্যার জিন্দাবাদ... সেলিম স্যার জিন্দাবাদ....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।