আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আরিপ খান যখন ডাক্তার (ছোট্টমনিদের গল্প)

বিশ্বাস করেন, আমি আপনাকে ভালবাসি :) এক দেশে এক রাজা ছিল। তার একটা ছেলে ছিল। রাজার ছেলে। সে ছিল রাজকুমার। রাজার ছেলে রাজকুমার না হয়ে পারে? তার আচরনও ছিল ঠিক রাজকুমারের মত।

তবে রাজকুমারের আচরন কিরকম হতে পারে সে আমাকে জিজ্ঞেস করনা প্লিজ। কারন আমি জানিইনা রাজকুমারদের আচরন কেমন। কেনই বা জানব!! আমি তো আর রাজকুমার না !! সে যাক!! সেই রাজকুমারের একটা অদ্ভুত অভ্যাস ছিল। সে প্রতিদিন রাতে কাচা ডিম দিয়ে কুলকুচি করত। কি অদ্ভুত না? তো একদিন হল কি, কুলকুচি করতে গিয়ে সেই রাজকুমার বমি করে দিল।

কেন দিল জানো? কারন ডিমটা ছিল দুর্গন্ধযুক্ত। কেন দুর্গন্ধযুক্ত জানো? কারন ডিমটা ছিল পঁচা। ওয়াক থু। তো বমি করতে করতে সে বেহাল দশা!! বমি আর থামেই না থামেই না। কত হেকিম কবিরাজ বদ্যি এল কিছুই করতে পারল না।

রাজামশাই কি করবেন কি করবেন ভেবে ভেবে তার প্রেশার বাড়িয়ে ফেলছিলেন। শেষে আর লোড নিতে না পেরে টিভি খুলে স্টার জলসা দেখা শুরু করে দিলেন। তারপর অটোমেটিক তার প্রেশার কমে গেল। বন্ধুরা তোমরা হয়ত দেখেছো যে মাথাব্যাথার সময় যদি বমি কর তাহলে ঐ বমি করার সময়টুকুতে তখন আর মাথাব্যাথা অনুভব করনা। কি ঠিক বলিনি? তেমনই ঘটেছে রাজামশাইয়ের বেলায়।

তিনি স্টার জলসা দেখছিলেন আর ঐদিকে তার ছেলে বমি করতেই আছে। শেষে তার উজির একজন ডাক্তারকে ডেকে নিয়ে এলেন। সেই ডাক্তার এসেই বললেন এটা আমার কাছে কোন ব্যাপারই না। বন্ধুরা তোমরা কি জানো এটা কিন্তু তার কাছে আসলেই কোন ব্যাপার না। কারন সেই বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ডাক্তার একাধারে মডেল এবং গায়ক।

তার ওস্তাদের নাম ছিল সাউজা। সেই সাউজা কিন্তু শুধু বহুমাতৃক না অতিমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। একাধারে তিনি লেখক,পাঠক,গায়ক,নায়ক,ঔপন্যাসিক,ইঞ্জিনিয়ার,সেন্সিটিভিটি বিশেষজ্ঞ,স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ,টকশো উপস্থাপক,টয়লেট ইঞ্জিনিয়ার এবং জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্য। তখনকার দিনে জাতসংঘ ছিল কিনা সেটা জানতে চেয়ে আমাকে কিন্তু লজ্জা দিও না বন্ধু্রা। যাহোক ডাক্তার আসলেই কিন্তু কাজের মানুষ ছিলেন।

তার ছিল অলৌকিক ক্ষমতা। তবে তার চিকিৎসার ধরনও ছিল ভিন্ন। এদিকে রাজকুমার বমি করতেই আছে করতেই আছে আর থামছেনা। তখন ডাক্তার এসেই তার নিজের শার্ট খুলে ফেলল। কি বন্ধুরা ভাবছ ডাক্তারের গরম লেগেছিল বলেই শার্ট খুলে চিকিতসা করবে? নাহ।

আসলে শার্ট খোলাটাই ছিল চিকিৎসা। আর কি আশ্চর্য দেখ!! সাথে সাথেই তার বমি করা বন্ধ হয়ে গেল। দেখেছো কি অলৌকিকতা? আসলে এর ভতরেও সেই বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা টা আছে। কারন পচা ডিমের যেই গন্ধ ছিল সেই ডাক্তারের গায়ে তার চেয়ে বেশী গন্ধ ছিল। আর তার ছিল ঘানা থেকে ইম্পোর্টেড বগল যেখানে সাউজা বগলের সামান্যই ফ্লেভার ছিল।

তখন সে গন্ধে রাজকুমারের ব্রেইন আগের দুর্গন্ধ ভুলে গিয়ে বমি বন্ধ করে দিল এবং নতুন করে যখন বমি করার প্রস্তুতি শুরু করছিল ঠিক তখনই একটা ভয় এসে তার সেই প্রস্তুতিকে ভ্যানিশ করে দিল। কি ভয়? আরে বলনা আর !! বমি বন্ধ না করলে তো আর ডাক্তার এখান থেকে সরছেনা !! সেই ভয়টাই রাজকুমারের মস্তিস্ক তার পাকস্থলির কাছে সিগনাল আকারে ট্রান্সফার করে দিল। আর কোন পাকস্থলির এত সাহস যে ব্রেইনের হুকুম পালন করতে অস্বীকার করবে? দারুন না? হ্যা আসলেই দারুন ব্যাপার। এরকম ডাক্তারই আজকাল ঘরে ঘরে চাই। অবশ্য বেশিরভাগ বামা মা ই এরকম ডাক্তার প্রসব করার চিন্তাও করে না।

সে ভিন্ন কথা। তোমরা নিশ্চয়ই সে ডাক্তারের পরিচয় জানার জন্য কৌতুহলী হয়ে আছো তাইনা? বলোতো কে হতে পারে? হ্যা ঠিক ধরেছ। সে তোমাদেরই প্রিয় মডেল আরিপ খান। বিএসসি ইন জার্নালিজম। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।