আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গুগল চেক নিয়ে বিড়ম্বনায় লাখো তরুণ!

নামের সাথে কামের কিছু মিলতো থাকবোই

আউট সোর্সিং করে বাংলাদেশের হাজারো তরুণ যখন আšত্মর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি পেতে শুরু করেছে, দক্ষতা অর্জন করছে তখন বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সিদ্ধাšত্ম তাদের রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক নির্দেশনায় বলেছে, এখন থেকে যারা আউট সের্সিং কাজ করছেন তাদের বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাওয়া কাজের পারিশ্রমিক বা চেক ভাঙ্গাতে পারবে না কোনো স্থানীয় ব্যাংক। ওয়েজ আর্নার স্কিমে তা ভাঙ্গাতে হবে। ফলে চেক নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছে তরুণরা। অবশ্য এইচএসবি, স্ট্যান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংকের মত বিদেশি ব্যাংকগুলো আউট সোর্সিং’এর চেকগুলো ভাঙ্গিয়ে অর্থ পরিশোধ করার সেবা অব্যাহত রাখলেও এসব ব্যাংকে বিপুল টাকা ব্যয় করে এ্যাকাউন্ট খোলার সাধ্য অনেক তরুণের নেই।

১ থেকে ১০ লাখ টাকায় এ্যাকাউন্ট খুলতে পারছে না অনেক তরুণ যারা আউট সোর্সিং করে মাসে হয়ত গড়ে ২ থেকে ৩শ’ ডলার আয় করেন। এখাত থেকে আ¯েত্ম আ¯েত্ম বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন বাড়ছে। তরুণ তরুণীরা নিয়মিত লেখা পড়ার পাশাপাশি আউট সোর্সিং করে নিজেরা স্বাবলম্বী হবার চেষ্টা করছে। ঠিক এমন সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় স্থানীয় কোনো ব্যাংক আউটসোর্সিং করে পাওয়া বিদেশি চেক ভাঙ্গাতে চাচ্ছে না। অথচ গুগুল, ওডেক্স’এর মত প্রতিষ্ঠানে কাজ করে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে আসছে এসব তরুণরা।

ওডেক্সের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান কখনো দ্বিতীয় বা তৃতীয়। ওডেক্সের শীর্ষ কর্মকর্তারা একাধিকবার বাংলাদেশ সফর করে এখানকার কাজের প্রশংসা করেছেন। অন্যদিকে গুগুলেও কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা। এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে ও বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের নতুন এই মাধ্যমকে আরো শক্তিশালী করতে ওডেক্স ও গুগুল থেকে পেমেন্ট পাওয়ার মাধ্যম সহজ করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় এখন ফ্রিল্যান্সাররা খুব সহজেই বিভিন্ন ব্যাংক থেকে তাদের পেমেন্ট বুঝে নিতে পারলে বৈদেশিক মুদ্রা আয় আরো বেড়ে যাবে।

বর্তমানে আউট সোর্সিং’এর মাধ্যমে বছরে ২০মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় হচ্ছে দেশে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সহযোগিতায় অন্যান্য বেসরকারি ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের খুব সহজেই গুগুল ও ওডেক্স থেকে পাওয়া পেমেন্ট বুঝিয়ে দিত। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ যাবৎ বেসরকারি ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকদের এই সুবিধা দিতে অপারগতা প্রকাশ করছে। একজন ফ্রিল্যান্সার জানান, গুগুল থেকে পাওয়া তার দেড় হাজার ডলারের চেক ভাঙ্গাতে গেলে মার্কেন্টাইল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এই সার্ভিস আর দিতে পারছে না বলে জানায়। এবিষয়ে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করলে বৈদেশিক শাখার একজন কর্মকর্তা জানান, বিভিন্ন সময় ভুয়া চেক দেয়ার কারণে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এই সার্ভিস বন্ধ করে দিয়েছে।

মার্কেন্টাইল ব্যাংকসহ আরো কয়েকটি ব্যাংকে গুগুলের অনেক চেক জমা পরে আছে। তিনি বলেন, একটি চেক ব্যাংকে প্লেস করার পর তা নিউইয়র্ক থেকে ক্লিয়ারেন্স করে আনতে কয়েকশ টাকা খরচ হয়। ভুয়া এসব চেক নিয়ে কাজ করতে গিয়ে ব্যাংকের অর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি সুনামও নষ্ট হচ্ছে বলেই তারা এই সিদ্ধাšত্ম নিয়েছে। তবে ঐ ফ্রিল্যান্সার জানান, মার্কেন্টাইল ব্যাংক থেকে সার্ভিস বন্ধের খবর পেয়ে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করলে তাকে এই সার্ভিসটি চালু আছে বলে জানানো হয় এবং এক লাখ টাকা দিয়ে একাউন্ট খোলার পরামর্শ দেয়া হয়। এ বিষয়ে বেসিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গুগুলের চেক ভাঙ্গানো যাচ্ছে না এই খবরটি আমরাও পেয়েছি।

খুব দ্রুত স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকসহ বেসরকারি অন্যান্য ব্যাংকের সাথে আলোচনা করে সমাধানের একটি পথ খুঁজে বের করা হবে। তিনি বলেন, দেশের কয়েক হাজার তরুণ গুগুলের কাজ করে থাকে। যার মাধ্যমে দেশে আসছে হাজার হাজার ডলার। দেশের স্বার্থে, ফ্রিল্যান্সারদের স্বার্থে দ্রুত এর সমাধান করার চেষ্টা করা হবে। Click This Link


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.