আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাবলিক - প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বৈষম্য ঘুচানো

কেএসআমীন ব্লগ

অফিসে কথা হচ্ছিল ঢাবি'র প্রাণীবিদ্যার সাব্বিরের সাথে। তর্কই বলা যেতে পারে। আমার কথা ছিল পাবলিক ভার্সিটিতে ১৭ টাকা মাসিক বেতন না নিয়ে বরং ফ্রী টিউশনই যথার্থ, কারণ এই ১৭ টাকা আদায় করতেই সম্ভবত আরও বেশী টাকা খরচ হয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর। অথবা মাসিক বেতন কমপক্ষে একহাজার টাকা করা উচিত। হলে সীট ভাড়া ন্যুনতমপক্ষে ৫০০ টাকা হওয়া দরকার।

তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সরকারের কাছে হাত পাততে হয়না। হলে সীট নেই, সীট থাকলে তক্তা নেই, টয়লেটে এটা/ওটা নেই, ল্যাবে যন্ত্রপাতি নেই, লাইব্রেরীতে বই নেই, ইন্টারনেট নেই, ভাল শিক্ষক নেই...... এরকম নেই নেই শুনতে কান ঝালাপালা হবে না। প্রাইভেট ভার্সিটিতে যেখানে ছাত্ররা মাসে ৫-৬ হাজার টাকা বা তার চেয়েও বেশী দিয়ে পড়ছে সেখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭ টাকা বেতন দিলে আমাদের উচ্চশিক্ষার অবস্থা এমনই হালছাড়া হবে...... । আমি বলছি না যে প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়াশুনা ভাল হয়, সেখানে অন্য সমস্যা... এখন প্রশ্ন আসবে গরীব মেধাবীরা কি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে না? অবশ্যই পড়বে.... একজন গরীব মেধাবী ঢাকা শহরে একটি স্থানে প্রাইভেট পড়ালেই ২ থেকে ৩ হাজার টাকা মাসিক আয় করতে পারে। ঢাবি'র অনেক মেধাবীরা ঢাকা শহরে মাসে দশহাজার টাকারও বেশী আয় করছে ও মৌজে খরচা করছে, কিন্তু বেতন বাড়ানোর প্রশ্ন এলে রাস্তায় নামার জন্য একপায়ে প্রস্তুত থাকে।

প্রাইভেট টিউশনিতে ঐ ছাত্রের মেধার চর্চাও বাড়ে বৈকি... সুতরাং সরকারী ভার্সিটির মাসিক বেতন কমপক্ষে একহাজার টাকা ও হলের সীটভাড়া কমপক্ষে ৫০০ টাকা করা উচিত... প্রিয় ব্লগার বন্ধুরা... আপনারা কী বলেন?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.