আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দি রিভার অফ লস্ট ফুট স্টেপস : হিস্টরিজ অফ বার্মা - উইলিয়াম গৃমস (পর্ব ৩)

বাস্তবতা ফেরী করে বেড়াচ্ছে আমার সহজ শর্তের সময়গুলোকে

মিয়ানমারের মিলিটারিদের অহমিকাই মিয়ানমার-বৃটেনের প্রথম যুদ্ধের কারণ। ১৮২৪ থেকে ১৮২৬ সাল পর্যন্ত সংঘটিত এ যুদ্ধ মিয়ানমারের ভয়াবহ ক্ষতি ডেকে আনে। জাতীয় অহঙ্কার পরাজয়কে দ্বিগুণ অবমাননাকর করে তোলে। তাদের পক্ষে খারাপ এবং শীতল আচরণ ভোগ করা যথেষ্ট কষ্টদায়ক ছিল। বিশেষ করে যে শিক্ষিত শ্রেণী বৃটিশ কালচার এবং বৃটিশদের পলিটিকাল সিস্টেমকে শ্রদ্ধা করতো তাদের জন্য।

কিন্তু বৃটিশদের কাছে এটি একটি অপ্রধান ইনডিয়ান প্রোভিন্সের সত্যিকার বিপর্যয় ছাড়া বেশি কিছু ছিল না। উ থান্ট লেফট বুক কাবের প্রথম বার্মিজ মেম্বার ছিলেন। ছিলেন লেবার পলিটিসিয়ান স্যার স্ট্যাফোর্ড কৃপসের একান্ত গুণগ্রাহী। তিনি তার নাতির জন্য বৃটিশ পিরিয়ডের সেনসেটিভ অধ্যয়নের আদর্শ তৈরি করে রেখেছিলেন। বৃটিশরা নেপালের গুর্খাদের ক্ষেত্রে তাদের অভিজ্ঞতার বিষয়টি থেকে সাধারণ সিদ্ধান্ত টেনেছে।

পাহাড়ি উপজাতীয় এলাকা থেকে তাদের আর্মি সদস্যদের নিয়োগ দিয়েছে। বার্মিজদের নিজেদের অন্তরে যুদ্ধ সংক্রান্ত ব্যাপারে পদচ্যুতি ঘটেছিল। মি. থান্ট লিখেছেন, এটি ছিল পলিসিগত পছন্দ। বার্মিজদের কল্পনাকে অতিরিক্ত দোষারোপ ও তাদের গর্বিত হওয়ার সেন্সটিকে নষ্ট করা এবং বার্মার আর্মিদের চিন্তা-চেতনাকে জাতীয়তাবাদের স্বপ্নের কেন্দ্রীয় উপাদান হিসেবে পরিবর্তিত করেছিল। থান্ট যতোই এই সময়ের কাছাকাছি চিত্র আকতে চেয়েছেন ততোই যেন তিনি সাহসী হয়ে উঠেছেন।

তিনি বৃটিশ সেন্স অফ হিউমারকে সংযত ভাষায় প্রকাশ করেছেন তার গল্পে। নাশকতামূলক বিষয়গুলো প্রয়োজনের তুলনায় বাড়াননি বরং নিশ্চিতভাবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সেগুলো অলঙ্কৃত ভাষায় বর্ণনা করেছেন। অবশ্যই মিয়ানমারে স্বাধীনতা এসেছে ইনডিয়ার প্রতি পরবর্তীকালীন মনোযোগের ভিত্তিতে। ইতিহাসে এটি আরেকটি অপমানজনক বিষয়। তারপর থেকে মোটামুটি কিছুই ঠিক পথে চলেনি।

সিভিল ওয়ার, মিলিটারি কর্তৃক সরকারের ক্ষমতা দখল এবং মিয়ানমারে সমাজতন্ত্রের ইউনিক ব্র্যান্ড সৃষ্টি করতে ধ্বংসযজ্ঞের প্রক্রিয়া মিয়ানমারকে নিচের দিকে নিয়ে গেছে। মি. থান্ট সুন্দর বাচনভঙ্গিতে এবং শোকার্তভাবে গত অর্ধ শতাব্দীর বিষণœ ইতিহাসের তালিকা দিয়েছেন। তিনি দেশটিতে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করেছেন। উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য তিনি কেবল ক্ষীণতম আশা ধরে রেখেছেন। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, এটি কেবল ইকনমিক এবং ডিপ্লোম্যাটিক অনুমোদনের মাধ্যমে আসতে পারে।

বাণিজ্য, লিখিত অঙ্গীকার, বিশেষত ট্যুরিজম খুবই জরুরি প্রয়োজন। তবে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দ্বারা সুশাসন ব্যবস্থাকে অপসারণকে তিনি দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করেন। লেখক : থান্ট মিয়ান্ট উ প্রকাশক : ফারার, স্ট্রস অ্যান্ড গিরোক্স (শেষ) অনুবাদ : একরামুল হক শামীম

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।