আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছড়া ১ : টিচার্স কমনরুম

যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে, ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

[স্কুলে থাকতে লেখা কবিতা ... বলাইবাহুল্য, তখন বিশ্বাসযোগ্য দুতিনজন বন্ধু ছাড়া আর কাউকেই দেখাতে সাহস পাইনি ... সেই পুরোনো ছড়াটাই এটু ঘষেমেজে দিয়ে দিলাম] ***************************************** দেলোয়ার স্যার স্যালোয়ার ছেড়ে শার্ট-প্যান্ট পরা ধরলেন; আলামত দেখে সালামত স্যার একচোট হেসে বললেন, 'ওহে দেলোয়াড়, যত ভাব তুমি খেলোয়াড় তত পাকা নও', দেলোয়ার কন, 'সালামতো বাপু, ভালমতো ভেবে কথা কও।' সব দেখে পীর স্যার বীর বেগে তেড়ে এসে কন, 'ওহে ভাই, খোদায়ী পোশাক ছাড়িলে অথচ গোঁফখানা ঠিকই ছাড়নাই!' শুধু 'গোঁফ' শুনে গফরগাওয়ের শফিক স্যারের হুঁশ হয়, কহিলেন, 'ধুর্, এমন টপিকে কথা বলা মোর কাজ নয়।' 'আহারে টপিক!' বলিয়া রফিক স্যারও ফিক হাসি হেসে নেন, ফিক হাসি দেখে হাসিনা ম্যাডাম ঠিক কাশি শুরু করলেন। কাশির শব্দে কাশিম স্যারের কাজের ব্যাঘাত ঘটে, মাথা তুলে সব দেখেশুনে তিনি বলিলেন শুধু, 'বটে!' ভুল শুনে চাপরাশি বটু ভাই ছুটে আসে, বলে, 'জি-হ্যাঁ স্যার, ডেকেছেন বুঝি? বান্দা হাজির, বলুন শুধু কি দরকার?' বটুকে দেখিয়া চমকান সবে, তবু কন, 'শোনো বটু মিয়া, দুই-তিন হালি কলা নিয়ে আসো তাড়াতাড়ি এক দৌড় দিয়া।' 'দুই-তিন হালি?' আজগর আলী স্যার লাফ দিয়ে বললেন, 'আমার একাই চারটা লাগবে, কাজটা কি ঠিক করলেন?' 'কলা এক হালি!' হালিম স্যারের টিপ্পনী বুঝি শোনা যায়, শুনে টিপ্পনী টিপু স্যার হাসে, আমাদেরও যেন হাসি পায়। মুর্গীর রান স্যার ইমরান চিবোতে চিবোতে ঢুকলেন, হাকিম স্যারের সাথে তিনি বুঝি আমাদের হাসি শুনলেন। 'কে রে ঐখানে!? কি করিস তোরা!?' হাকিম স্যারের হাঁক, 'টিচার্স কমন-রুমে উঁকি দিস! দূর হ ব্যাটারা ভাগ!!'


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।