নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য কর ফাঁকির মামলার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যারি হার্ফ সাংবাদিকদের প্রশ্নের লিখিত জবাবে বলেন, ‌বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষ, বিশেষ করে নারীদের জীবনমান উন্নয়নে ড. ইউনূসের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা থাকায় যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে তাকে সমর্থন দিয়ে আসছে। ড. ইউনূসের বিষয়ে বাংলাদেশের আইন ও প্রক্রিয়া যথাযথ ও স্বচ্ছভাবে অনুসরণ করা হোক এটাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা।

গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকাকালে ড. ইউনূসের আয়কর অব্যাহতি নেওয়া, বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিধি লঙ্ঘন এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। যদিও ড. ইউনূসের পক্ষ থেকে এসব অনিয়মের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এ প্রতিষ্ঠানের অব্যাহত কার্যকারিতা ও অখণ্ডতার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংকের প্রশাসনিক কাঠামোকে ‘অনন্য’ অভিহিত করে তার ধারাবাহিকতা রক্ষার প্রতিও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কথা জানান মুখপাত্র। তিনি বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণকে একটি অর্থনৈতিক মডেল হিসেবে দাঁড় করানোর পাশাপাশি  সাধারণ মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে তাদের জীবনমানের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। এখন আমরা এ ব্যাংকের একজন যোগ্য ও গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং একজন নতুন চেয়ারম্যানের অপেক্ষায় আছি, যারা হবেন ব্যাংকের সাফল্য ধরে রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

গত বছর দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসে যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেন, তার সরকার ইউনূসকে নিয়ে ঘটনাপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করছে।

হিলারি সে সময় আশা প্রকাশ করেন, সরকার এমন কিছু করবে না, যাতে গ্রামীণ ব্যাংকের উন্নতি বাধাগ্রস্ত হয়।  

।