আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইতি, নিরবতা

Disclaimer: All writtings contain severe spelling errors. নিজ গুনে ক্ষমা করে পড়বেন।

“ চিঠি ” শব্দটা শুনতে আমার কাছে বেশ লাগে। কেমন যেন আপন একটা অনুভূতি সাজানো যায় চিঠির শব্দ গুলো দিয়ে। আমার লিটারেচার টিচার একদিন বলেছিলেন, চিঠি লেখা মানে হছে কারোর প্রতি দীর্ঘ ভালবাসা প্রকাশ করা। এর মাধ্যমে বুঝা যায় হাজার ব্যস্ততার মাঝেও আমরা আমাদের ভালবাসার মানুষদের ভুলে যাইনি।

ইলেকট্রনিকস ফ্যাশনের জুগে যুগে তাদের জন্য সময় করে নিজের হাতে কিছু লেখা, আমাদের চিন্তা চেতনায় আমাদের ভালবাসার মানুষগুলোর উপস্থিতির একটি প্রমান। ভালবাসার জন্য এর চেয়ে প্রিয় উপহার আর কি হতে পারে? প্রিয় মানুষগুলোর কাছে থেকে একটি করে চিঠি পাওয়া – কাজের ফাঁকে ফাঁকে সেই চিঠি বারে বারে পড়া এবং প্রতিবারই নতুন কিছু আনন্দ পেতে কার না ভাল লাগবে? হটমেইল এ ইমেইল আসার শব্দে মনে যেমন নাড়া পরে, লেটার বক্স এ চিঠির খচখচ শব্দে মনে যেন আরো ফুর্তি বেড়ে যায়। চিঠির লেখা গুলো কে ছোঁয়া যায়, আর তার সাথে অনুভব করা যায় চিঠি দেয়ার মানুষটার অনুভূতিগুলোকে। রুদ্র মুহম্মদ যেমন আকাশের ঠিকানায় চিঠি দিতে বলেছিলেন, আমার বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার পথে যেই পোষ্ট অফিস পরে, মাঝে মাঝে ইচ্ছে করত ওই পোষ্ট বক্সে আকাশের ঠিকানায় একটা চিঠি ফেলে দিয়ে আসি। অজানায় কোন এক ঠিকানায় হয়ত পৌঁছে যাবে আমার এই চিঠি।

চিঠিতে যেমন অতি সহজে অনেক কিছুর আবদার করা যায় আবার কিছু মিষ্টি অভিমান ও করা যায়। একটা চিঠি দিয়ে কি ক্ষমা চাওয়া যাবেনা? চিঠির যে জিনিস টি আমার সবচেয়ে প্রিয় তা হছে ইতি তে নাম লেখা। ইতি শব্দটা চিঠি শব্দের চেয়েও মধুর। একটা আদুরে ভাব মেশানো থাকে ইতি শব্দটি জুড়ে। ইতি তে কখনো লেখা থাকবে বিহন, কখনো বা থাকবে নীলাঞ্জনা।

কখন টুনটুনি পাখি হয়ে বাড়ির পিছনের শিমুল গাছটাকে চিঠি লিখব। কখনো ওয়ারী স্ট্রীট এর নাহার ভিল্লা থেকে চিঠি লিখব নয়ত শান্তিনিকেতনে বসে লিখব। কখনো শুভ কামনা দিয়ে আকাশে চিঠির ঘুড়ি উড়াবো আর বেলা শেষে সেই চিঠি যেয়ে পড়বে কোন এক নীরব মানুষের উঠোনে। কখন জোছনা দেখার আহবান জানিয়ে লিখব নয়ত গোপনে বিদায় নেবার সময় টেবিলের কোণায় রেখে যাব। যদি ফিরিয়ে দেয়ার ভয় থাকে তাহলে ছদ্ম নামে লিখব।

আমি হব বনলতা সেন, আর চিঠি লিখব জীবনানন্দ দাস কে। কুসুম কুমারী হয়ে নীল শার্ট পড়া ছেলেটাকে লিখলেও মন্দ হয় না। আমি কখনো বিহন হয়ে আমার ঘর থেকে তোমাকে লিখব নয়ত ইতি তে শুধুই লেখা থাকবে " নীরবতা "। বহু আগে থেকেই ভাবছি লেখার অ্যালবাম টা সাজিয়ে ফেলব কিন্তু সময়ের অভাবে কিংবা লেখার মত পরিবেশের কারনে সাজানো হইনি হয়নি। জীবন তো সাদা কাগজের মত, এর মধ্যে কেও কেও কেউ কেউ লিখে যেতে পারে।

কলমের কালি ফুরোনোর আগেই রাত্রি নেমে আসলে চিঠির ইতি ঘটানো যায় না। আমি আমার জীবনের চিহ্ন গুলোকে স্মৃতির পাতায় আটকে রাখব। ইতি, ~ নিরবতা ~


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।