আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যে বিষয়টিকে সঠিক গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন...

নতুন পৃথিবীতে সবাইকে স্বাগমতম!

একটু আগে এই বিষয়ে একটি পোস্ট ছেড়েছি। তারপর যায়যায়দিন-এর ওয়েব অ্যাড্রেসে ঢুকেই চমকে উঠলাম একই বিষয়ে প্রথম পাতার রিপোর্ট দেখে! তাই বিষয়টি সবাইকে না জানিয়ে স্বস্তি পাচ্ছি না। যদিও আমার পরীক্ষামূলক ২৪ ঘন্টা এরই মধ্যে পার হয়ে গিয়েছে, তবুও আমার পোস্ট এখনো প্রথম পাতায় ঠাঁই পায়নি! কথা না বাড়িয়ে রিপোর্টি এখানে তুলে ধরছি: মাদকাসক্ত ইউনিভার্সিটি ও কলেজ পড়–য়া ছাত্রছাত্রীর লিস্ট হচ্ছে ঢাকাসহ সারা দেশে অর্ধশতাধিক ইয়াবা ডিলারের সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দারা ঢাকাসহ সারা দেশে অর্ধশতাধিক ইয়াবা ডিলারের সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দারা। তাদের ধরতে র‌্যাব ও পুলিশের কয়েকটি টিম বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। ঢাকা থেকে আবারো ইউনিভার্সিটির ছাত্রসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উদ্ধার করা হয়েছে কিছু ইয়াবা ট্যাবলেট। ইয়াবায় আসক্ত ইউনিভার্সিটি ও কলেজ পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের লিস্ট তৈরি করছে গোয়েন্দারা। গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক সূত্রে জানা যায়, ঢাকাসহ সারা দেশে এক শ্রেণীর কালোবাজারি ইনডিয়া, থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারসহ আরো কয়েকটি দেশ থেকে মরণ নেশা জাতীয় ইয়াবা ট্যাবলেট এনে ইউনিভার্সিটি ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্রদের ব্যবহার করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকার অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কোটিপতি ছেলেরা ইয়াবা ট্যাবলেট খেয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।

এর মধ্যে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটাচ্ছে বেশি নেশাখোররা। তাছাড়া সুন্দরী মেয়েদের ব্যবহার করে পর্নো সিডি তৈরি করছে ধনী পরিবারের আদরের সন্তানরা। আবার দেখা যাচ্ছে ইউনিভার্সিটি ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীরাও ইয়াবা ট্যাবলেট সেবন করে উচ্ছৃঙ্খল হয়ে চলাফেরা করছে। ঢাকাসহ সারা দেশে অর্ধশতাধিক ইয়াবা ডিলারের সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যে তাদের ধরতে র‌্যাব ও পুলিশসহ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অভিযান চালাচ্ছে।

গত কয়েক দিনে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এলিট পরিবারের কিছু সদস্য গ্রেফতার হওয়ায় ডিলাররা গা-ঢাকা দিয়েছে। সূত্রমতে, মেথাম কেটামাইন ও ক্যাফেইনের মেডিসিন দিয়ে ইয়াবা ট্যাবলেট তৈরি করা হয়। এ মেডিসিনের পাশাপাশি আঙুর ও কমলার রস দেয়া হয়। ইয়াবা ট্যাবলেট খাওয়ার পর হৃদপিন্ডে আঘাত, শরীর খিচুনিসহ নানা অসুখের সৃষ্টি হয়। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে সেবনকারীদের।

ইয়াবা ট্যাবলেট খেলে যৌন উত্তেজনাও কাজ করে থাকে। গ্রেফতারকৃত এলিট পরিবারের সদস্যরা ইয়াবা ট্যাবলেট খেয়ে বিভিন্ন রোগে কাবু হয়ে পড়েছে। তাদের সেন্ট্রাল জেলে চিকিত্সা দেয়া হচ্ছে। র‌্যাব ও পুলিশের দুই অফিসার জানান, ডিলারদের ধরতে পারলে ইয়াবা ট্যাবলেটের ব্যবহার কমে যাবে। তাদের ধরতে গোয়েন্দারা বিভিন্ন স্থানে জাল পেতেছে।

তারা আরো জানায়, ইয়াবায় আসক্ত ইউনিভার্সিটি ও কলেজ পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের লিস্ট তৈরি করা হচ্ছে। শনিবার বিকালে সিআইডির একটি টিম হাতিরপুল নাহার প্লাজার সামনে অভিযান চালিয়ে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্র ফয়সাল ওরফে তানভীর (২২), তার সহযোগী আল আমিন (২৫) ও শুভঙ্কর গুহকে (২৭) গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২০টি ইয়াবা ট্যাবলেট ও তিনটি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তানভীর জানায়, ঢাকা ইউনিভার্সিটিসহ বেসরকারি বেশির ভাগ ইউনিভার্সিটির অনেক ছাত্র ও ছাত্রী ইয়াবা ট্যাবলেটে আসক্ত হয়েছে। বন্ধুদের পাল্লায় সে নেশায় আক্রান্ত হয়েছে বলে পুলিশকে জানায়।

বাসায় টাকা না পেলে মাঝে-মধ্যে সে ছিনতাই করে থাকে। তার একটি গ্রুপ রয়েছে। ওই গ্রুপটি গুলশান ও উত্তরা থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট এনে ছাত্রছাত্রীদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করে থাকে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে গ্রেফতারকৃত এলিট পরিবারের ছয়জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়ার পর তাদের পরিবারের সদস্যরা চক্ষুলজ্জায় রাস্তায় বের হচ্ছে না বলে র‌্যাবের এক কর্মকর্তা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে পরিবারেরর সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মুশফিকুর রহমান ওরফে তমালের বাবা মৃত মজিবুর রহমান। পরিবারের সদস্যরা বারিধারায় থাকেন। তমাল পড়ালেখা শেষ করে ব্যবসায় নেমে পড়ে। সে একটি প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক।

দাইখান বীরের বাবার নাম মীর শহিদুল্লা। তিনি একজন গার্মেন্ট ব্যবসায়ী। তাদের বাসা গুলশানে। শেখ ওয়াহেদ শফিকের বাবার নাম শেখ মোহাম্মদ শফিক। তাদের বাসা পশ্চিম রাজাবাজার।

শফিক একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তার বাবা একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতি। সালমান রহিম জোয়ারদারের বাবার নাম জাহিদুর রহিম জোয়ারদার। লন্ডন থেকে সালমান এমবিএ শেষ করে। তার বাবার ঢাকায় কয়েকটি গার্মেন্ট রয়েছে।

পরিবারের সদস্যরা বনানী এলাকায় থাকেন। আলতাব আকমল কল্লোলের বাবার নাম মোহাম্মদ আকমল। তিনি রিয়াল এস্টেট ব্যবসায়ী। তাদের বাসা গুলশান। মাহমুদ আল জুররী ওরফে শ্যাননের বাবার নাম সাইফুল ইসলাম।

তিনি একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা। বাবার পরিচয় দিয়ে শ্যানন নানা অপরাধ করে আসছে। কয়েকটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির সুন্দরী মেয়েদের সঙ্গে তার ভালো যোগাযোগ রয়েছে। তার মাধ্যমে অনেক মেয়ে ইয়াবা ট্যাবলেটে আসক্ত হয়েছে বলে পুলিশ ও র‌্যাবের কাছে সে স্বীকার করে। র‌্যাবের এক অফিসার বলেন, শরীর স্লিম ও ফিলিংস লাইফ চেঞ্জ হওয়ার আশ্বাস পেয়ে মেয়েরা ইয়াবা ট্যাবলেট সেবন করছে।

এ পথ থেকে তাদের ফিরিয়ে আনতে সামাজিক উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। রিপোর্টার: সরোয়ার আলম দৈনিক যায়যায়দিন ২২ অক্টোবর ২০০৭ লিংক: Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।