আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দি দি রমেশ চন্দ্র মজুমদার-২



দি দি রমেশ চন্দ্র মজুমদার চন্দ্রশীলার প্রেমে পড়েছিল। স্মৃতিময় চন্দ্রশীলার শরীর হতে জ্যোস্না বিচ্ছুরিত হতে থাকে আর অন্ধকার তাকে আরো ঘনিভূত এবং রহস্যময় করে তোলে; দি দি রমেশ চন্দ্র মজুমদার চন্দ্রাহত হয়ে ফিরে এসেছিল লোডশেডিং এর শহরে। কিন্তু লোকটিকে নিছক বসিয়ে রাখা যায় না সারারাত। ওকে ঘুমের দেশে পাঠিয়ে আমরা আমাদের মত করে বাকি রাত কাটিয়ে দিতে পারব অনায়াসে। কিন্তু অনেকে অনেক দেশে যেতে চেয়েও যেতে পারে না।

অনেকে গিয়েও ফিরে আসে। অনেকে যায় আর গিয়ে আর ফিরে আসে না। অনেকে এসে ফিরে যায়। অনেকে......... দি দি রমেশ চন্দ্র মজুমদার এবার একগ্লাস জল পান করে। তার দু'দিন পূর্বে শেভ করা মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি।

সে মোচে লেগে থাকা জল মুছবে, তখন তার শেভ করার ইচ্ছা হয়। সে শেভিং টুলস নিয়ে বেসিনে আয়নার সামনে দাড়াবে; প্রতিবিম্বে রহস্যময় আলো বিচ্ছুরিত হতে থাকবে; সে মুখে পানি ছিটাবে, ফোম লাগাবে। এরপর ডান হাত দিয়ে রেজারের হাতল ধরে বাম হাতটি দিয়ে চিপের ইঞ্চি-দেড়েক নিচে আঙুল ছুঁইয়ে ব্যালান্স ঠিক করে সে ব্লেড চালিয়ে দিল মুখের চামড়ায়। দি দি রমেশ চন্দ্র মজুমদার জ্যোস্না আর অন্ধকারের ব্লেন্ডার করা আলোয় বেসিনের সামনে দাড়িয়ে আয়নার দিকে তাকিয়ে কিছু না দেখে অথবা পরাবাস্তব অবয়ব ঠাহর করে ব্লেড চালাতে থাকে মুখে। সে একবার ব্লেড চালালো; তার দুদিনের দাড়ি চেঁছে ফেলে দিল।

সে দুইবার ব্লেড চালালো; তার হালকা বলিরেখা বহুল মুখের চামড়ার প্রথম আস্তরণ তুলে ফেলে দিল। সে তিনবার ব্লেড চালালো; তার জ্বলতে থাকা মুখের চামড়ার গভীরে মাংসের ভেতর এবার সে ব্লেড চালালো। এবার সে তার জীবনে প্রথমবরের মত আফটার শেভ লাগালো। এক আশ্চার্য যন্ত্রণা মুগ্ধতা তাকে আচ্ছাদিত করে রাখে। সে জ্যোস্না আর অন্ধকারের ব্লেন্ডার করা আলোয় ছাল চামড়া ছাড়ানো দগদগে মুখে ইজি চেয়ারে গা এলিয়ে শুয়ে থাকে।

সকাল আটটায় একজন চাপরাশি তার মিনবের ঘুম ভাঙ্গালো। আড়মোড়া ভেঙ্গে সে বিছানায় উঠে বসল চাদিতে বলে। চাকরটি চলে গেলে সে স্বীয় হাতে স্বীয় মুখে হাত বুলাতে বুলাতে চিন্তিত হয়ে পড়ল। ইতোমধ্যে চাকরটি চা নিয়ে ফিরে এলে সে হাত বাড়িয়ে কাপটি নেয় আর ছোট ছোট চুমুকে সাত মিনিট ধরে চা পা করে। এরপর প্রত্যাহিক কাজকর্ম খুব দ্রুত সেরে চাকরটিকে ডেকে দরজা লাগাতে বলল।

২০০৪।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।