আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লঘু চাপ থাকে নিম্ন চাপ

কোথায় রাখো আমাকে তুমি বলোনা।

অনেকদিন খড়ার পর বৃষ্টি শুরু হলো হত সোমবার। আমার ডিউটি ছিলো সকাল বেলা। কিন্তু ইফতারের পর যখন দেখলাম বাইরে প্রচন্ড বাতাস আর সাথে বৃষ্টি তো আছেই তখন ঠিক করলাম, নয়টার গাড়িতেই যাই। তখন বাজে মাত্র ছয়টা।

অফিসে ঘোরাঘুরি করতে থাকলাম। অন্যান্য কলিগদের কাজের স্ট্যাইল দেখতে থাকলাম। যাইহোক সময়কে ডিঙ্গিয়ে এলাম নয়টায়। আমি নামলাম। আমার সাথে নামলো আমারই তিন কলিগ।

শুটিং কমপ্লেক্সে যেতে না যেতেই শুরু হয়ে গেলো জ্যাম। আমি দেখছি সেই জ্যাম আর ছোটার কোন রাস্তা নেই। আমি চেষ্টা করলাম একটা ঘুম দিতে। আমার বাকী তিন কলিগরা মিলে তো চুটিয়ে আড্ডা জমালো। ওদের আড্ডার বিষয় বস্তুর মধ্যে ছিলো, ঈদে কে কত কম খরচে নিজেদের শপিং সেরে নিয়েছে।

কার বউ কত দাম দিয়ে তার স্বামীর জন্য বা বয় ফ্রেন্ডের জন্য ঈদের শপিং করেছে। আর বাইরের আলাপের মধ্যে ছিলো, সি এস বি নিউজ চ্যানেল ক্যানো বন্ধ হয়েছে, ই টি ভির অবস্থা কি আছে এখন। আমাদের প্রগ্রামের মান এখন কোন পযার্য়ে আছে এখন। সামনে আর কি কি সম্ভাবনা আছে। এই সব আর কি।

বাইরে প্রচন্ড জ্যাম, বৃষ্টি আর বাতাশ। একটা মাইক্র বাসের মধ্যে আমরা কয়একজন খুব হাল্কা করে এসি ছেরে দেয়া আছে। কিযে সুখময় একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিলো সেখানে। মনেহচ্ছিলো বাইরো দুর্জোগের ঘনঘটা আর আমরা কেবল কয়একজন মানুষ এত সেভে আছি। প্রকৃতির আমাদের কিছুই করতে পারছে না।

এরই মধ্যে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি বুঝতে পারি নি। এক সময় দেখি আমি আছি পান্থপথে। আর ঘড়ির দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ছি কারণ তভন বাজে সাড়ে ১১টা। প্রায় অনেকটা সময় ঘুমিয়ে কাটিয়েছি কিন্তু বুঝতেই পারিনি। জিগাতলা এসেই পড়লাম বিপাকে।

ড্রাইভার বললো ভেতরে যেতে পারবে না। রাত তখন ১২টা। আমি বললাম এসময় নেমে যাওয়া মানে নির্ঘাত ভিজে বাসায় যাওয়া। কিন্তু ড্রাইভারের বেয়াদবি মূলক কথায় আমি নেমে গেলাম। কিন্তু তারপর ও কি, রিক্সা পরাম না।

পরে কাক ভেজা হয়ে বাসায় ফিরলাম। গরম পানি দিয়ে গোসল করলাম। তারপর ঘুম। আহ! কিযে শান্তি.............. মনেহলো কতোদিন যানি এমন শান্তির ঘুম ঘুমাইনি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।