আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভোট দিলাম - কিন্তু হেরে গেলাম

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি

গতকাল ছিল ওন্টারি প্রাদেশিক সংসদ নির্বাচন। ভোট দিলাম। ভোট কেন্দ্র ছিল বারবরে মতোই সাদা মাঠা । কর্মীরা বেশিরভাগই সিনিয়র সিটিজেন। ব্যালট পেপারের উপর ছাপানো প্রার্থীদের নামের পাশে বি‍‌ত্‌‌তের মধ্যে ক্রশ চিহ্ন দিয়ে ভোট দিয়ে পাশে রাখা শক্ত কাগজের বাক্সে ফেলে চলে এলাম।

কোন মার্কা নেই - নেই হৈ চৈ - শহরের জীবন স্বাভাবিক। মানুষ কাজে গেল - বাচ্চারা স্কুলে গেল আর ভোট হয়ে গেল একটা প্রদেশের সরকার নির্বাচনের জন্যে। যারা বিলিয়ন ডলারের বাজেট নিয়ে কাজ করে - তাদের নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি একটা নিয়মনীতির মধ্যে সম্পন্ন হয়ে গেল। বরাবরের মতোই মনে পড়ে গেল - দেশের নির্বাচনের কথা। বারবার মনে হয়েছে - কবে যে এইরকম একটা পরিবেশে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে? যাই হোক।

নির্বাচনে বিজয়ী হলো ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি (৭১ সিট) আর দ্বিতীয় হয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি (২৪) আর পরের টা হলো এনডিপি( ১১)। নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য দিক হলো - এবার লিবারলে পার্টি দুই যুগ পরে পরপর দুইবার মেজরিটি পেল। আর কনজারভেটিব পরপর তিনবার ক্ষমতায় থাকার পর দ্রুতগতিতে পুঁজিবাদের বিকাশের চেস্টা করতে গিয়ে গতবার হেরে গিয়েছিলো - এবার যদিও একটা সুযোগ ছিল। কিন্তু দলের প্রধান যিনি কানাডার বৃহত্তম কমিউনিকেসন প্রতিষ্ঠানের প্রধান ছিলেন - একটা বিষয়ে কথা বলেই দলকে বিরাট বিপদে ফেলে দিয়েছে। ওন্টারিওতে একমাত্র ক্যাথলিক স্কুলগুলো সরকারী সহায়তা পায়।

নির্বাচনের আগে মুসলিম-হিন্দু-শিখ-ইহুদি যৌথ প্রতিনিধি দল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে দেখা করে তাদের প্রতিষ্টানগুলোর জন্যে একই ভাবে ফান্ডিং এর দাবী জানালে একমাত্র কনজারবেটিভ পার্টি সমর্থন দেয়। এতে শুরু হয় বিতর্ক। নিজের দলের ভিতরে চাপে সে কিছুটা নমনীয় হলে ইহুদীরা প্রকাশ্য অসন্তোষ প্রকাশ করে। ফলাফল - ভোটের রাজনীতিতে শুন্য প্রাপ্তি। কনজারবেটিভের নেতা নিজেও নির্বাচিত হতে পারেনি।

(২) গতকাল একই সাথে অনুষ্ঠিত হয় গনভোট। বিষয় ছিল “পরবর্তী নির্বাচন হবে ভোটের সংখ্যানুপাতিক হারে”। অর্থাত ৭৫ ভাগ সদস্য নির্বাচিত হবে সরাসরি আর ২৫ ভাগ সদস্য নির্বাচিত হবে দলের প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে। নবগঠিত গ্রীন পার্টি আর এনডিপির এতে সবচেয়ে সুবিধা হবার কথা। কারন গ্রীন পার্টি ৮% মোট ভোট পেলেও সংসদে কেন আসন পায়নি।

সংখ্যানুপাতে এরা কমপক্ষে একটা সীট পেত। আমি এই পক্ষে “হ্যাঁ” ভোট দিলেও - প্রাপ্ত হ্যাঁ ভোটের হার হয় ৩৬% - যা টার্গেটের ৬০% থেকে অনেক নীচে হওয়া পরাজিত হয় প্রস্তাবটি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।