আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার

তি তি - মাননীয় প্রধানমন্ত্রী : জি, বলেন। - আপনি কী? : আমি প্রধানমন্ত্রী। - আপনি কি প্রধানমন্ত্রী হয়ে জন্মেছিলেন? : না তো। - তাহলে? : মানুষ হয়ে জন্মেছি। - আর বাঙলাদেশের মানুষ কী হয়ে জন্মেছিলো? : তাঁরাও মানুষ হয়ে জন্মেছিলো।

- তাহলে আপনি কি তাদের মতো সাধারণ নন? : জি, না। - কেন? : কারণ আমি প্রধানমন্ত্রী। - প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে কী ছিলেন? : বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। - তাহলে এখন আপনি বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা নন? : কথা ভালোভাবে বলেন। - বাঙালি জাতির পিতা কি সারা বাঙালির পিতা নন? : অবশ্যই।

- তাহলে আপনি মানুষ, সারা বাঙালিও মানুষ। : তো আমি এখন কী করবো? - আপনি এত বিলাসিতায়, এত সুন্দরভাবে জীবন কাটাচ্ছেন। অন্য মানুষদের কি সে অধিকার নেই? : আছে। - কীভাবে তাঁরা এই অধিকার পাবে? : তাদের এই অধিকার আদায় করতে হবে। - আপনি বিভিন্ন জায়গায় একই কথা বলেছেন যে, আপনি যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তার বেশি করেছেন।

পরবর্তী নির্বাচনেও আপনাকে ভোট দিতে। : হ্যাঁ, বলেছি। - আপনি কি মনে করেন, আপনি যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তার বেশি করেছেন? : হ্যাঁ, তাই মনে করি। - আপনি প্রধানমন্ত্রীর আসনে থাকাকালীন যুদ্ধাপরাধীর বিচার হয়েছে, এতে আমরা বাঙালিরা আপনার কাছে সারাজীবন কৃতজ্ঞ। কিন্তু তাই বলে ভাববেন না, আমরা আওয়ামী লীগান্ধ, আমরা সরকারান্ধ।

: আপনি কী বলতে চাচ্ছেন? - দেশে এত খুন হচ্ছে, একদিন পর পর ধর্ষণ হচ্ছে, কর্মসংস্থানের অভাব দিনের পর দিন বাড়ছে। দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা কি আপনার প্রতিশ্রুতি ছিলো না? : হ্যাঁ, ছিলো। - তাহলে কেন করছেন না? : আমি আপনার কথানুযায়ী কাজ করবো না। আপনার ওত বোঝা লাগবে না। - অবশ্যই, বোঝা লাগবে।

গণতান্ত্রিক দেশ হয়ে স্বৈরতান্ত্রিক শাসন করবেন, তা কীভাবে আমরা মেনে নিবো! যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তার ১ ভাগও করেন নি। আপনার বলা লাগবে না, আমরা কাকে নির্বাচনে জয়ী করবো। জোর করে হাজার হাজার ভোট পেলেও, সব ভোট পাবেন না। দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনুন, খুন, ধর্ষণ কমিয়ে আনুন। যা যা পদক্ষেপ নেওয়া লাগে, তাই তাই পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।

মনে রাখবেন, আপনি ধর্ষণ, খুনের শিকার হবেন না, এর নিশ্চয়তা আপনি কাউকে দিতে পারবেন না। আপনিও আমাদের মতো সাধারণ মানুষ। তাই আমাদের, আপনার সঠিকভাবে বাঁচার নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। আপনি বাঙালি জাতির পিতার কন্যা, যার কারণে আমরা সংগ্রাম করতে শিখেছি, এই সোনার বাঙলাকে পেয়েছি; যিনি নিজের জীবন বাজি রেখে দেশ স্বাধীন করতে চেয়েছিলেন, দেশে শান্তি আনতে চেয়েছিলেন এবং তিনি তা করেছেন। কিন্তু আপনি এবং আপনাদের মতো রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা এই সোনার বাঙলাকে বসাবসের অনুপযোগী করেছে।

আর কতদিন? ৪০-৫০,০০০ টাকা বেতন পান। তারপরেও এত কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক আপনি কী করে? কীভাবে এত বাড়ি, গাড়ি করেছেন? জনগণের টাকা মেরে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করছেন। আপনি আমাদের আদর্শের কন্যা। বঙ্গবন্ধুর, বাঙালির আওয়ামী লীগকে আপনি পরিবর্তন করে নিজের আওয়ামী লীগ করেছেন। আপনি বাঙালি জাতির পিতার কন্যা।

তাই আমরা আপনাকে শ্রদ্ধা করি। তাই বলে দেশ ধ্বংস করবেন, তা আমরা কখনোই সহ্য করবো না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনুন। যা টাকা জনগণের কাছ থেকে মেরেছেন, তাতেই আপনার পরিবারের পরিবার কয়েক জীবন সুখে, শান্তিতে থাকতে পারবে। এবার আমাদের কথা ভাবুন, আমাদের শ্রদ্ধাকে সম্মান দিন; আমাদের জীবনের নিশ্চয়তা দিন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।