আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যার গলায় দড়ি, সেই বেশী চালাক!

সুখের দিনে তোমার কথা ভাবি....দুখের সাথে একলা রয়ে যাই....

গাধা, গরু আর ছাগলের মধ্যে লেগেছে ঝগড়া। কে বেশী চালাক। তারা তিনজন মিলে পশুরাজ সিংহের শরনাপন্ন হল। পশুরাজ সব শুনে বললেন- তোমরা নিজেদের মধ্যে ডিসকাশন কর, আমি বিচারক হিসাবে থাকছি। আলোচনার ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিচারক ঘন্টা বাজালে আলোচনা শুরু হল: গরু: গাধা সবচেয়ে বোকা। কারন ওর জীবনটাই কাটে ভার বহন করে। গরুর মধ্যে কোনো কোনো বলদকে দিয়ে যদিও বা হাল বহানো হয় বা গাড়ি টানানো হয়। গাধা কিন্তু ভার বহন করার ব্র্যান্ড নেম হয়ে গেছে। এছাড়া মানুষের মধ্যে দেখ- যারা পড়াশুনা করে, ভাল চাকরী বা ব্যবসা করে তারা কিন্তু অনেক আয় করে সুখে থাকে।

অন্যদিকে যারা ভার বহনের কাজ করে তারা বেশী আয় করতে পারেনা বলে অনেকটাই দুঃখে জীবন যাপন করে। গাধা: তোর কথা শুনে মনে হচ্ছে তুই অনেক পড়াশুনা করে পি.এইচ.ডি করেছিস। আর দুদিন পর দেশের প্রেসিডেন্ট হবি। আমি ভার বহন করি, গায়ে যা জোর আছে, এক ঘুষিতে তোকে খতম করে দিতে পারি। ছাগল: মারামারি কেন! খুন করে জেলে যাবার ইচ্ছা? আর ওখানে গিয়ে সরকারের পয়সায় বসে বসে খাওয়ার বুদ্ধি? জেনে রাখ, আজকাল জেলে বসে বসে খাওয়াবে না- কাজ করতে হবে।

এছাড়া জেলের মধ্যেও মারপিট হয়। তুইও খতম হয়ে যেতে পারিস। জেলে যদি কোন বোঁটকা গন্ধওয়ালা ছাগল থাকে তার গন্ধে অসুস্থ হয়েও যেতে পারিস। (জেলের ছাগলের কথা শুনেই চেঁচামেচি শুরু হয়ে গেল) বিচারক: হ্যা ঠিক ঠিক। ছাগল ঠিকই বলেছে।

অর্ডার অর্ডার। গাধা: তোর তো না মরলে বুদ্ধি হবেনা। তোর জন্মই হয়েছে মানুষের পেটে যাওয়ার জন্য। গরু: মানুষের পেটেই যাক আর বাঘের পেটেই যাক-মরতে তো একদিন হবেই। দু দিন আগে আর পরে।

তবে একটা ব্যাপার। ছাগলকে কিন্তু কোন ভার বহন করতে হয় না। মোটামুটি হেসে খেলে, বেড়িয়ে, খাওয়া দাওয়া করেই জীবন টা কাটে। আর হঠাৎ একদিন শেষ। ঐ দিনই যা কষ্ট।

বিচারক: হ্যা, এটা একটা একসিডেন্টের মতো। যেমন আমার বা বাঘের ক্ষিধে পেলে ছাগল প্রেফার করবো না। গরু, গাধাই প্রেফার করবো। কারণ তাদের চেহারাটা তুলনায় বড় আর মাংসও বেশী। গাধা: আরে বেশী চালাক ছাগল, মানুষ তোর শুধু তোর মাংসই খায় না।

দুধও খায়। তোর বাচ্চাকে বঞ্চিত করে। ছাগল: না , এই ব্যাপার টা কিন্তু গরুর ক্ষেত্রে বেশী প্রযোজ্য। গরু: হ্যা, মহামান্য বিচারপতি। আমার ক্ষেত্রে সব গুলিই প্রযোজ্য।

দুধ খাওয়া, মাংস খাওয়া, খাটানো। (পশুরাজ আড়চোঁখে হাতঘড়িটা দেখে নিলেন। আর বেশী সময় দেওয়া যাবেনা) বিচারক: তোমার গলায় কি সব সময় দড়ি লাগানো থাকে? গরু: হ্যা মহামান্য বিচারপতি। এমনকি মরার সময়ও। বিচারক: ছাগল, তোমার ক্ষেত্রে? ছাগল: শুধু দুধ দুইবার সময় আর মাঠে বিচরণের সময় কোনো কোনো ক্ষেত্রে।

মরবার সময় থাকেনা। বিচারক: গাধা তোমার বেলায়? গাধা: এটা হিসাব করা খুব মুশকিল-মহামান্য বিচারপতি। বিচারক: তাহলে এবার তুমি আর ছাগল মিলে ঠিক কর কার গলায় বেশীক্ষন দড়ি থাকে। আমার এখন লাঞ্চটাইম। একটা ব্যাপার পরিস্কার যে গরুর গলায় দড়ি বেশীক্ষন থাকে।

তোমরা তো জানো যে একটা কথা আছে "অতি চালাকের গলায় দড়ি"। গরুর গলায় সব সময়ই দড়ি। তাই ও সবচেয়ে বেশী চালাক। ছাগল: আমার এখন গলায় দড়ি দিয়ে মরতে ইচ্ছে হচ্ছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।